বাণী

	আল্লা ব’লে কাঁদ বারেক্ রসুল ব’লে কাঁদ্।
	সাফ্ হবে তোর মনের আকাশ উঠবে ঈদের চাঁদ।।
	ভোগে কেবল দুর্ভোগ সার, বাড়ে দুখের বোঝা
	ত্যাগ শিখ্ তুই সংযম শিখ, সেই তো আসল রোজা,
এই	রোজার শেষে ঈদ আস্‌বে, রইবে না বিষাদ।।
	আস্‌বে খোদার দরগা থেকে শিরনি তোর তরে
	কমলিওয়ালা নবীর দেখা পাবি রে অন্তরে,
	খোদার প্রেমের স্রোত বইবে ভেঙ্গে মনের বাঁধ।।
	তোর হৃদয়ের কারবালাতে বইবে ফোরাত নদী
	শহীদের দর্‌জা তোরে দেবেন আল্লা হাদী,
	দুনিয়াদারি ক’রেই পাবি বেহেশ্‌তেরি স্বাদ।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

তাপসিনী গৌরী কাঁদে বেলা শেষে,
উপবাস-ক্ষীণ তবু যোগিনী বেশে।।
বুকে চাপি’ করতল বিল্বপত্র-দল,
কেঁপে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে শিব-আবেশে।।
অস্ত রবি তা’র সহস্র করে
চরণ ধ’রে বলে ফিরে যেতে ঘরে,
‘শিব দাও শিব দাও’ ব’লে লুটায় ধূলি-তলে —
কৈলাস-গিরি পানে চাহে অনিমেষে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ গৌরী (পূর্বী ঠাট)

তালঃ ত্রিতাল

স্বরলিপি

বাণী

নাচে নন্দ-দুলাল।
নদী-তরঙ্গে অধীর রঙ্গে — বাজে মঞ্জির চঞ্চল তাল।।
	চরণের নূপুর খুলে
	ফুল হয়ে ঝরে তরুমূলে,
পূবালী পবনে বন-ভবনে দোলে সে-ছন্দে পিয়াল তমাল।।
	মধুকর কল-গুঞ্জনে
	কাজরি গাহে নীপবনে,
ময়ূর পাপিয়া উঠিল মাতিয়া বাজে বৃষ্টির বীণা করতাল।।

রাগ ও তাল

রাগঃ নটমল্লার

তালঃ ত্রিতাল

বাণী

আমি নিজেরে আড়াল রাখি, বঁধু সারাদিন গৃহ-কাজে।
হাসে গুরুজন আশেপাশে তাই চাহিতে পারি না লাজে।।
	ওগো প্রিয় তুমি অহরহ
	কেন বাহির ভবনে রহ?
তব মৌন এ অভিমান বুকে কাঁটার মতন বাজে।।
আমি তোমারি ঘরের বধূ, বঁধু এ-লাজ তোমারি লাগি’,
আমি দিনের কুমুদ কলি, ওগো চাঁদ আমি রাতে জাগি।
	মোর দেহ গৃহ-কাজ করে
	তব পায়ে থাকে মন প’ড়ে,
মোর লাজ-গুণ্ঠন টানি’ লাজ দিও না সভার মাঝে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ

বাণী

	খয়বর-জয়ী আলী হায়দার, জাগো জাগো আরবার।
	দাও দুশমন দুর্গ-বিদারী দু'ধারী জুলফিকার।।
	এসো শেরে খোদা ফিরিয়া আরবে,
	ডাকে মুসলিম ‘ইয়া আলী’ রবে, —
	হায়দারী হাঁকে তন্দ্রা-মগনে করো করো হুঁশিয়ার।।
	আল-বোর্জের চূড়া গুঁড়া-করা গোর্জ আবার হানো,
	বেহেশতী সাকী মৃত এ জাতিরে আবে কওসার দানো।
আজি	বিশ্ব-বিজয়ী জাতি যে বেহোঁশ
	দাও তারে নব কুয়ৎ ও জোশ;
এসো	নিরাশায় মরু-ধূলি উড়ায়ে দুল্‌দুল্-আস্ওয়ার।।

রাগ ও তাল

রাগঃ শিবরঞ্জনী মিশ্র

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

আমার বিদায়-রথের চাকার ধ্বনি ঐ গো এবার কানে আসে।
পুবের হাওয়া তাই কেঁদে যায় ঝাউ-এর বনে দীঘল শ্বাসে।।
	ব্যথায়-বিবশ গুলঞ্চ ফুল
	মালঞ্চে আজ তাই শোকাকুল,
মাটির মায়ের কোলের মায়া ওগো আমার প্রাণ উদাসে।।
অঙ্গ আসে অলস হ’য়ে নেতিয়ে-পড়া অলস ঘুমে,
স্বপন-পারের বিদেশিনীর হিম-ছোঁওয়া যায় নয়ন চুমে।
	হাতছানি দেয় অনাগতা
	আকাশ ডোবা বিদায়-ব্যথা,
লুটায় আমার ভুবন ভরি’ বাঁধন-ছেঁড়ার কাঁদন-ত্রাসে।।
মোর বেদনার কর্পূর-বাস ভরপুর আজ দিগ্বলয়ে,
বনের আঁধার লুটিয়ে কাঁদে হরিণটি তার হারার ভয়ে।
	হারিয়ে-যাওয়া মানসী হায়
	নয়ন-জলে শয়ন তিতায়,
ওগো, এ কোন্ যাদুর মায়ায় দু’চোখ আমার জলে ভাসে।।
আজ আকাশ-সীমায় শব্দ শুনি অচিন পায়ের আসা-যাওয়ার,
তাই মনে হয় এই যেন শেষ আমার অনেক দাবিদাওয়ার।
	আজ কেহ নাই পথের সাথি
	সামনে শুধু নিবিড় রাতি,
আমায় দূরের বাঁশি ডাক দিয়েছে, রাখ্‌বে কে আর বাঁধন-পাশে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ