বাণী
কত খুঁজিলাম নীল কুমুদ তোরে। আছে নীল জল শূন্যে সরসী ভ’রে।। উঠেছে আকাশে চাঁদ, ফুটেছে তারা আছে সব একা মোর কুমুদ হারা, অভিমানে সে কি গিয়াছে ঝ’রে।।
নাটক : ‘মহুয়া’
রাগ ও তাল
রাগঃ
তালঃ
চপল আঁখির ভাষায়, হে মীনাক্ষী ক’য়ে যাও। না-বলা কোন্ বাণী বলিতে চাও॥ আড়ি পাতে নিঝ্ঝুম বন আঁখি তুলি’ চাহিবে কখন, আঁখির তিরস্কারে ঐ বন-কান্তারে ফুল ফোটাও॥ নিটোল আকাশ টোল খায় তোমারি চাওয়ায়, হে মীনাক্ষী, নদী-জলে চঞ্চল সফরী লুকায়, হে মীনাক্ষী! ওই আঁখির করুণা ঢালো রাগ অরুণা, আঁখিতে আঁখিতে ফুল-রাখি বেঁধে দাও॥
রাগঃ মীনাক্ষী (নজরুল-সৃষ্ট রাগ)
তালঃ ত্রিতাল
সখি সাপের মণি বুকে করে কেঁদে নিশি যায় কাল-নাগিনী ননদিনী দেখতে পাছে পায় (লো সখি)।। সই প্রানের গোপন কথা মম পিঞ্জরেরি পাখির সম পাখা ঝাপটিয়া কাঁদে বাহির হতে চায়।। পাড়ার বৌ-ঝি যদি জলের ঘাটে কানে কথা কয় আমার কথাই কইলো বুঝি মনে জাগে ভয় (সখি) আমি চাইতে নারি চোখে চোখে পাছে মনের কথা জানে লোকে। আমার একি হলো দায় সখি লুকানো না যায় সখি কাঙাল যেমন পেয়ে রতন থুইতে ঠাঁই না পায়।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
কী দশা হয়েছে মোদের দেখ্ মা উমা আনন্দিনী। তোর বাপ হয়েছে পাষাণ গিরি, মা হয়েছে পাগলিনী।। (মা) এ দেশে আর ফুল ফোটে না গঙ্গাতে আর ঢেউ ওঠে না তোর হাসি-মুখ দেখলে যে মা পোহায় না মোর নিশীথিনী।। আর যাবি না ছেড়ে মোদের বল্ মা আমায় কন্ঠ ধরি সুর যেন তার না থামে আর বাজালি তুই যে বাঁশরি।। (মা) না পেলে তুই শিবের দেখা রইতে যদি নারিস্ একা, আমি শিবকে বেঁধে রাখব মা গো হয়ে শিব-পূজারিণী।।
রাগঃ খাম্বাজ মিশ্র
তালঃ যৎ (৮ মাত্রা)
মেরে শ্রীকৃষ্ণ ধরম শ্রীকৃষ্ণ করম শ্রীকৃষ্ণহি তন-মন-প্রাণ। সব্সে নিয়ারে পিয়ারে শ্রীকৃষ্ণজী নয়নুঁকে তারে সমান॥ দুখ সুখ সব শ্রীকৃষ্ণ মাধব কৃষ্ণহি আত্মা জ্ঞান কৃষ্ণ কণ্ঠহার আঁখকে কাজর কৃষ্ণ হৃদয়মে ধ্যান শ্রীকৃষ্ণ ভাষা শ্রীকৃষ্ণ আশা মিটায়ে পিয়াস উয়ো নাম (মেরে) স্বামী-সখা-পিতা-মাতা শ্রীকৃষ্ণজী ভ্রাতা-বন্ধু-সন্তান॥
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা