দেশে দেশে গেয়ে বেড়াই তোমার নামের গান

বাণী

দেশে দেশে গেয়ে বেড়াই তোমার নামের গান
হে খোদা, এ যে তোমারই হুকুম, তোমারই ফরমান।।
এমনি তোমার নামের আছর –
নামাজ রোজার নাই অবসর,
তোমার নামের নেশায় সদা মশগুল মোর প্রাণ।।
তকদিরে মোর এই লিখেছ হাজার গানের সুরে
নিত্য দিব তোমার আজান আঁধার মিনার-চূড়ে।
কাজের মাঝে হাটের পথে
রণ-ভূমে এবাদতে
আমি তোমার নাম শোনাব, করব শক্তি দান।।

হৃদি-পদ্মে চরণ রাখো বাঁকা ঘনশ্যাম

বাণী

নারদ	:	হৃদি-পদ্মে চরণ রাখো বাঁকা ঘনশ্যাম।
ধ্রুব	:	বাঁকা শিখী-পাখা নয়ন বাঁকা বঙ্কিম ঠাম॥
নারদ	:	তুমি দাঁড়ায়ো ত্রিভঙ্গে!
ধ্রুব	:	অধরে মুরলী ধরি দাঁড়ায়ো ত্রিভঙ্গে॥
নারদ	:	সোনার গোধূলি যেন নিবিড় সুনীল নভে
		পীতধড়া প’রো কালো অঙ্গে (হরি হে)
ধ্রুব	:	নীল কপোত সম চরণ দুটি
		নেচে যাক অপরূপ ভঙ্গে (হরি হে)
উভয়	:	যেন নূপুর বাজে
		হরি সেই পায়ে যেন নূপুর বাজে।
		বনে নয় শ্যাম মনোমাঝে যেন নূপুর বাজে।
		ঐ চরণে জড়ায়ে পরান আমার
		(যেন) মঞ্জির হয়ে বাজে॥

চলচ্চিত্রঃ ‘ধ্রুব’ (ধ্রুব ও নারদের গান)

মাতল গগন-অঙ্গনে ঐ

বাণী

মাতল গগন-অঙ্গনে ঐ আমার রণ-রঙ্গিণী মা।
সেই মাতনে উঠল দুলে ভূলোক দ্যুলোক গগন-সীমা।।
	আঁধার-অসুর-বক্ষপানে
	অরুণ-আলোর খড়গ হানে,
মহাকালের ডম্বরূতে উঠল বেজে মা’র মহিমা।।
সৃষ্টি-প্রলয় যুগল নূপুর বাজে শ্যামার যুগল পায়ে,
গড়িয়ে পড়ে তারার মালা উল্কা হয়ে গগন-গায়ে।
লক্ষ গ্রহের মুন্ডমালা দোলে গলে দোলে ঐ
বজ্র-ভেরীর ছন্দ-তালে নাচে শ্যামা তাথৈ থৈ,
অগ্নি-শিখায় ঝলকে ওঠে খড়গ-ঝরা লাল শোণিমা।।

আমার আনন্দিনী উমা আজো এলো না

বাণী

(আমার) 	আনন্দিনী উমা আজো এলো না তার মায়ের কাছে।
		হে গিরিরাজ! দেখে এসো কৈলাসে মা কেমন আছে॥
			মোর মা যে প্রতি আশ্বিন মাসে
			মা মা ব’লে ছুটে আসে,
		‘মা আসেনি’ ব’লে আজও ফুল ফোটেনি লতায় গাছে ॥
		তত্ত্ব-তলাশ নিইনি মায়ের তাই বুঝি মা অভিমানে,
		না এসে তার মায়ের কোলে ফিরিছে শ্মশান মশানে।
			ক্ষীর নবনী ল’য়ে থালায়
			কেদে ডাকি, ‘আয় উমা আয়’।
		যে কন্যারে চায় ত্রিভুবন তাকে ছেড়ে মা কি বাঁচে॥

তোমার কথার পারাবতগুলি

বাণী

তোমার কথার পারাবতগুলি আকাশে উড়িয়া যায়।
অঞ্চল মেলি’ চঞ্চল মন তাহারে ধরিতে চায়।।
	ব্যাকুল বক্ষে কোন্‌ তরুণীর
	উহারা কি কভু বাঁধিবে না নীড়?
(ওরা) শূন্য মনের কথা কি গো তাই শূন্যে মিলায় হায়।।
গানের আড়ালে ওগো ও-সুরের দেবতা কেন এ লুকিয়ে রাখা,
কেন কামনার কপোতগুলি ছড়াও দিগ্বিদিকে পরায়ে সুরের পাখা!
	যে বুকে জাগে এ সুর, এত কথা
	সারা বিশ্বের বিরহের ব্যথা,
বল বল সেথা একটি হৃদয় ঠাঁই কেন নাহি পায়।।

গীতি-আলেখ্য : ‘আকাশবাণী’

১. ভবনে বসিয়া উন্মুখ মন তাহারে ধরিতে চায়, ২. কবি, ৩. থাকা

উতল হ'ল শান্ত আকাশ তোমার কলগীতে

বাণী

উতল হ'ল শান্ত আকাশ তোমার কলগীতে
বাদল ধারা ঝরে বুঝি তাই আজ নিশীথে।।
সুর যে তোমার নেশার মত, মনকে দোলায় অবিরত,
ফুলকে শেখায় ফুটতে গো, পাখিকে শিস দিতে।।
কেন তুমি গানের ছলে বঁধু, বেড়াও কেঁদে?
তীরের চেয়েও সুর যে তোমার প্রাণে অধিক বেঁধে।
তোমার সুরে কোন সে ব্যথা, দিলো এতো বিহ্বলতা
আমি জানি (ওগো) সে বারতা তাই কাদিঁ নিভৃতে।।