মনে পড়ে আজ সে কোন্‌ জনমে

বাণী

মনে পড়ে আজ সে কোন জনমে বিদায় সন্ধ্যাবেলা –
আমি দাঁড়ায়ে রহিনু এপারে তুমি ওপারে ভাসালে ভেলা।।
সেই সে বিদায় ক্ষণে
শপথ করিলে বন্ধু আমার, রাখিবে আমারে মনে,
ফিরিয়া আসিবে খেলিবে আবার সেই পুরাতন খেলা।।
আজো আসিলে না হায়,
মোর অশ্রুর লিপি বনের বিহগী দিকে দিকে লয়ে যায়,
তোমারে খুঁজে না পায়।
মোর গানের পাপিয়া ঝুরে
গহন কাননে তব নাম লয়ে আজো পিয়া পিয়া সুরে;
গান থেমে যায়, হায় ফিরে আসে পাখী বুকে বিঁধে অবহেলা।।

যদি শালের বন হ’ত শালার বোন

বাণী

যদি	শালের বন হ’ত শালার বোন,
	ক’নে বউ হ’ত ঐ গৃহেরই কোণ,
ছেড়ে	যেতাম না গো শালার বোন,
আমি	থাকতাম পড়ে সদা, খেতাম না গো, শালার বোনথ —
	বনে হারিয়ে যেতাম,
	শালার বোন ঐ বৃন্দাবনে না হয় চারিয়ে যেতাম —
	দাদা গো, ওগো দাদা —
আর	মাকুন্দ হত যদি কুন্দবালা,
হ’ত	দাড়িম্ব সুন্দরী দাড়িওয়ালা,
আমি	ঝুলে যে পড়তাম দাড়ি ধ’রে তার —
	জয়নাথ তরকনাথ বলে আমি ঝুলে যে পড়তাম দাড়ি ধ’রে,
বাবা	দুগ্‌গা ব’লে আমি ঝুলে যে পড়তাম দাড়ি ধ’রে তার —
	দাদা গো, ওগো দাদা —
আহা	বাচ্চা হইত যদি চৌবাচ্চায়
নিতি	পানকৌড়ি হ’য়ে ডুবে থাকিতাম তায়,
যদি	দামড়ার ল্যাজ হ’ত কুন্তল দাম
	বেণী রূপে ল্যাজ ধ’রে মাঠে দাঁড়াতাম — ঘুরে যে বেড়াতাম, তার
	আমি ল্যাজ ধ’রে ঘুরে যে বেড়াতাম, দাদা গো —
যদি	ভাগ্যগুণে এক মিলিল শালী —
বাবা	বিশাল বপু তার সে যে বিশালী,
ওযে	শালী নয় শালী নয়, শাল্মলী তরু সম
	সে যে বিশালী গো, শাল্মলী তরু সম সে যে বিশালী গো —
আহা	চিম্‌টি শালীর হ’ত বাবলা কাঁটা,
হ’ত	শর-বন তার খ্যাংড়া ঝ্যাঁটা
	খ্যাংড়া মেরে বিষ ঝেড়ে যে দিত গো —

তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী

বাণী

তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী।
শিশির-সজল ভোরের আকাশে ভাসে তোমারি উদাস ছবি।।
	বিষাদ গভীর কার কল্পনা
	রূপ ধ’রে তুমি ফের আনমনা,
তোমারি মূরতি ধেয়ায় স্বপনে বিরহী সুরের কবি।।
তুমি ধরা দিতে যেন আস নাই ধরণীতে,
একা-একা খেলা খেল সারাবেলা সাথিহীন তরণীতে।
	আঘাত হানিয়া সে-কোন্ নিঠুর
	জাগাবে তোমাতে আশাবরি সুর,
পাষাণ টুটিয়া গলিয়া পড়িবে অশ্রুর জাহ্নবী।।

আসিছেন হাবিব-এ খোদা

বাণী

আসিছেন হাবিব-এ খোদা আরশ্‌পাকে তাই উঠেছে শোর,
চাঁদ পিয়াসে ছুটে আসে আকাশ পানে যেমন চকোর।
কোকিল যেমন গেয়ে ওঠে ফাগুন আসার আভাস পেয়ে,
তেমনি ক’রে হরষিত ফেরেশ্‌তা সব উঠলো গেয়ে:
দেখ আজ আরশে আসেন মোদের নবী কম্‌লিওয়ালা।
হের সেই খুশিতে চাঁদ-সুরুজ আজ হ’ল দ্বিগুণ আলা।।
ফকির দরবেশ্‌আউলিয়া যাঁরে, ধ্যানে জ্ঞানে ধ’রতে নারে,
যাঁর মহিমা বুঝিতে পারে এক সে আল্লাহ তালা।।
বারেক মুখে নিলে যাঁহার নাম, চিরতরে হয় দোজখ্‌হারাম,
পাপীর তরে দস্তে যাঁহার কওসরের পিয়ালা।।
‘মিম্‌’ হরফ না থাকলে সে আহাদ, নামে মাখা তার শিরিন শাহাদ্,
নিখিল প্রেমাষ্পদ আমার মোহাম্মদ ত্রিভুবন উজালা।।

আঁখি-পাতা ঘুমে জড়ায়ে আসে

বাণী

আঁখি-পাতা ঘুমে জড়ায়ে আসে
ওগো চাঁদ জাগিয়া থেকো সুদূর আকাশে।।
জাগিয়া থেকো কবরীর মালা
পথ যেন পায় সে তোমার সুবাসে।।

পরদেশি বঁধুয়া এলে কি এতদিনে

বাণী

পরদেশি বঁধুয়া, এলে কি এতদিনে
আসিলে এতদিন কেমনে পথ চিনে।।
তোমারে খুঁজিয়া কত রবি-শশী
অন্ধ হইল প্রিয় নিভিল তিমিরে
তব আশে আকাশ-তারা দ্বীপ জ্বালি'
জাগিয়াছে নিশি ঝুরিয়া শিশিরে।
শুকায়েছে স্বরগ দেবতা তোমা বিনে।।
কত জনম ধরি' ছিলে বল পাসরি'
এতদিনে বাঁশরি বাজিল কি বিপিনে।।