আজ শ্রাবনের লঘু মেঘের সাথে

বাণী

আজ	শ্রাবনের লঘু মেঘের সাথে মন চলে মোর ভেসে',
	রেবা নদীর বিজন তীরে মালবিকার দেশে।।
		মন ভেসে যায় অলস হাওয়ায়
		হালকা-পাখা মরালী-প্রায়
	বিরহিনী কাদেঁ যথা একলা এলাকেশে।।
	কভু মেঘের পানে কভু নদীর পানে চেয়ে,'
	লুকিয়ে যথা নয়ন মোছে গায়েঁর কালো মেয়ে,
	একলা বধূ বসে থাকে যথায় বাতায়নে
				বাদল দিনের শেষে।।

বিদেশিনী বিদেশিনী চিনি চিনি

বাণী

বিদেশিনী বিদেশিনী চিনি চিনি
ঐ চরণের নূপুর রিনিঝিনি॥
দীপ জেগে ওঠে পাথার জলে তোমার চরণ-ছন্দে,
নাচে গাঙচিল সিন্ধু-কপোত তোমারি সুরে আনন্দে।
মুকুতা কাঁদিছে হার্‌ হ’তে ওগো তোমার বেণীর বন্ধে।
মলয়ে শুনেছি তোমার বলয় চুড়ির রিনিঠিনি॥
সাগর-সলিল হয়েছে সুনীল তোমার তনুর বর্ণে,
তোমার আঁখির আলো ঝলমল দেবদারু তরু-পর্ণে।
অস্ত-তপন হয়েছে রঙিন তোমার হাসির স্বর্ণে
শঙ্খ-ধবল বেলাভূমে খেল সাগর-নটিনী॥

গোধূলির শুভ লগন এনে

বাণী

গোধূলির শুভ লগন এনে সে কেন বিদায়ের বাঁশি বাজায়।
ওর মিলনের মালা ভালো লাগে না বুঝি গো, ও-শুধু বিরহের অশ্রু চায়।।
	কে জানিত ও-বিরহ-বিলাসী
	সকালের ফুল চায়, সন্ধ্যায় উদাসী,
দিনে যে ধরা দেয় দীনের মতন রাতে সে শূন্যে কেন মিশে যায়।।
	ঘরে এনে কেন ভোলাতে চায় ঘর
	আত্মা জড়ায়ে কাঁদে, আত্মীয়ে করে পর,
প্রেম-কৃপা-ঘন সে নাকি সুন্দর — কেন তবে অসহ দুঃখ দিয়ে কাঁদায়।।

তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী

বাণী

তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী।
শিশির-সজল ভোরের আকাশে ভাসে তোমারি উদাস ছবি।।
	বিষাদ গভীর কার কল্পনা
	রূপ ধ’রে তুমি ফের আনমনা,
তোমারি মূরতি ধেয়ায় স্বপনে বিরহী সুরের কবি।।
তুমি ধরা দিতে যেন আস নাই ধরণীতে,
একা-একা খেলা খেল সারাবেলা সাথিহীন তরণীতে।
	আঘাত হানিয়া সে-কোন্ নিঠুর
	জাগাবে তোমাতে আশাবরি সুর,
পাষাণ টুটিয়া গলিয়া পড়িবে অশ্রুর জাহ্নবী।।

ভারত শ্মশান হ’ল মা তুই শ্মশানবাসিনী ব’লে

বাণী

ভারত শ্মশান হ’ল মা, তুই শ্মশানবাসিনী ব’লে।
জীবন্ত-শব নিত্য মোরা, চিতাগ্নিতে মরি জ্ব’লে।।
আজ হিমালয় হিমে ভরা,
দারিদ্র্য-শোক-ব্যাধি-জরা,
নাই যৌবন, যেদিন হতে শক্তিময়ী গেছিস্ চ’লে।।
(মা) ছিন্নমস্তা হয়েছিস্ তাই হানাহানি হয় ভারতে,
নিত্য-আনন্দিনী, কেন টানিস্ নিরানন্দ পথে?
শিব-সীমন্তিনী বেশে
খেল্ মা আবার হেসে হেসে,
ভারত মহাভারত হবে, আয় মা ফিরে মায়ের কোলে।।

ভুল করিলে বনমালী এসে বনে ফুল-ফোটাতে

বাণী

ভুল করিলে বনমালী এসে বনে ফুল-ফোটাতে।
বুলবুলি সে ফুলও ফোটায় বন-মাতানোর সাথে সাথে।।
		আঘাত দিলে, দিলে বেদন
		রাঙাতে হায় পারলে না মন,
প্রেমের কুঁড়ি ফুটলো না তাই, পড়লো ঝ’রে নিরাশাতে।।
আমায় তুমি দেখলে নাকো, দেখলে আমার রূপের মেলা
হায় রে দেহের শ্মশান-চারী, শব নিয়ে মোর করলে খেলা,
শয়ন-সাথী হ’লে আমার, রইলে নাকো নয়ন-পাতে।।

গজলের সুরে কৃষ্ঞপ্রেম