তুমি আমারে কাঁদাও নিজেরে আড়াল রাখি

বাণী

তুমি আমারে কাঁদাও নিজেরে আড়াল রাখি',
তুমি চাও আমি নিশি-দিন যেন তব নাম ধরে ডাকি।।
হে লীলা-বিলাসী অন্তরতম, অন্তর-মধু চাও বুঝি মম
গোপনে করিতে পান, ওগো বঁধু, অন্তরালে সে থাকি।।
বিরহ তোমার ছল, কেন নাহি বুঝি!
আমাতে রহিয়া কাঁদাও আমারে তবু কেন মরি খুঁজি'।
ভুলিয়া থাকি সুখের মোহে তাই বুঝি প্রিয় কাঁদাও বিরহে —
বন্ধু, ওগো বন্ধু;
তুমি অন্তরে এলে রাজ-সমারোহে নয়নেরে দিয়ে ফাঁকি।।

বিদায় সন্ধ্যা আসিল ওই

বাণী

বিদায়–সন্ধ্যা আসিল ওই ঘনায় নয়নে অন্ধকার।
হে প্রিয়, আমার, যাত্রা–পথ অশ্রু–পিছল ক’রোনা আর।।
		এসেছিনু ভেসে স্রোতের, ফুল
		তুমি কেন প্রিয় করিলে ভুল
তুলিয়া খোঁপায় পরিয়া তা’য় ফেলে দিলে হায় স্রোতে আবার।।
		হেথা কেহ কারো বোঝে না মন
		যারে চাই হেলা হানে সে’ জন
যারে পাই সে না হয় আপন হেথা নাই হৃদি ভালোবাসার।
		তুমি বুঝিবেনা কি অভিমান
		মিলনের মালা করিল ম্লান
উড়ে যাই মোর, দূর বিমান সেথা গা’ব গান আশে তোমার।।

যোগী শিব শঙ্কর ভোলা দিগম্বর

বাণী

যোগী শিব শঙ্কর ভোলা দিগম্বর
ত্রিলোচন দেবাদিদেব ধ্যানে সদা মগন॥
চির শ্মশানচারী অনাদি সমাধিধারী
স্তব্ধ ভয়ে চরণে তাঁরি প্রণতি করে গগন॥
ত্রিশূল-বিষাণ রহে পড়িয়া পাশে
ললাটে শশী নাহি হাসে
গঙ্গা তরঙ্গ-হারা ভীত ভুবন।
ত্রাহি হে শম্ভু শিব, ত্রাসে কাঁপে জড় ও জীব
ভোলো এ ভীষণ তপ গাহিতেছে সঘন॥

আকাশে আজ ছড়িয়ে দিলাম প্রিয়

বাণী

	আকাশে আজ ছড়িয়ে দিলাম প্রিয়।
	আমার কথার ফুল গো,
	আমার গানের মালা গো —
			কুড়িয়ে তুমি নিও।।
	আমার সুরের ইন্দ্রধনু
	রচে আমার ক্ষণিক তনু,
	জড়িয়ে আছে সেই রঙে মোর
			অনুরাগ অমিয়।।
আমার	আঁখি-পাতায় নাই দেখিলে
			আমার আঁখি-জল,
আমার	কণ্ঠের সুর অশ্রুভারে
			করে টলমল।
	আমার হৃদয়-পদ্ম ঘিরে
	কথার ভ্রমর কেঁদে ফিরে,
	সেই ভ্রমরের কাছে আমার
			মনের মধু পিও।।

গীতি আলেখ্য: ‌‘আকাশবাণী’

হায় ভিখারি কাহার কাছে হাত পাতিলে হায়

বাণী

হায় ভিখারি কাহার কাছে হাত পাতিলে হায়।
তোমার চেয়েও আমি যে দীন কাঙাল অসহায়।।
	আমার হয়ত কিছু ছিল কভু
	সব নিয়েছেন কেড়ে প্রভু
আমায় তিনি নেননি তবু তাঁহার রাঙা পায়।।
তোমায় তিনি পথ দেখালেন ভাবনা কিসের ভাই
তোমার আছে ভিক্ষা ঝুলি আমার তাহাও নাই।
	চাইনে তবু আছি পড়ে
	সংসারে জড়িয়ে ধরে
কবে তোমার মতন পথের ধূলি মাখব সারা গায়।।

পথে পথে কে বাজিয়ে চলে বাঁশি

বাণী

পথে পথে কে বাজিয়ে চলে বাঁশি
হ’ল বিশ্ব-রাধা ঐ সুরে উদাসী।।
শুনে ঐ রাখালের বেণু
আসে ছুটে আলোক-ধেনু,
ঐ নীল গগনে রাঙা মেঘে ওড়ে গো-খুর রেণু,
ওসে শ্যাম-পিয়ারী গোপ-ঝিয়ারি গ্রহ তারার রাশি।।
	সেই বাঁশির অন্বেষণে
	যত মন-বধু যায় বনে,
তাদের প্রেম যমুনায় বান ডেকে যায় কুল খোয়ায় গোপনে।
তারা রাস দেউলে রসের বাউল আনন্দ-ব্রজবাসী।।