কুহু কুহু কুহু কুহু কোয়েলিয়া

বাণী

কুহু কুহু কুহু কুহু কোয়েলিয়া
কুহরিল মহুয়া-বনে
চমকি জাগিনু নিশীথ শয়নে।।
শূন্য ভবনে মৃদুল সমীরে
প্রদীপের শিখা কাঁপে ধীরে ধীরে
চরণ-চিহ্ন রাখি দলিত কুসুমে
	চলিয়া গেছ তুমি দূর-বিজনে।।
বাহিরে ঝরে ফুল আমি ঝুরি ঘরে
বেণু-বনে সমীরণ হাহাকার করে
ব’লে যাও কেন গেলে এমন ক’রে
	কিছু নাহি ব’লে সহসা গোপনে।।

তুমি শুনিতে চেয়ো না আমার মনের কথা

বাণী

তুমি	শুনিতে চেয়ো না আমার মনের কথা
	দখিনা বাতাস ইঙ্গিতে বোঝে
			কহে যাহা বনলতা।।
	চুপ ক'রে চাঁদ সুদুর গগনে
	মহা-সাগরের ক্রন্দন শোনে,
	ভ্রমর কাদিঁয়া ভাঙিতে পারে না
			কুসুমের নীরবতা।।
	মনের কথা কি মুখে সব বলা যায়?
	রাতের আঁধারে যত তারা ফোটে
			আঁখি কি দেখিতে পায়?
	পাখায় পাখায় বাঁধা যবে রয়
	বিহগ-মিথুন কথা নাহি কয়,
	মধুকর যবে ফুলে মধু পায়
			রহে না চঞ্চলতা।।

গীতিচিত্রঃ ‌‘অতনুর দেশ’

কবে সে মদিনার পথে

বাণী

কবে সে মদিনার পথে, গিয়াছে সুজন।
বহায়ে নয়ন বারি, ভিজিল বসন।।
	রমজানের ঐ চাঁদ নবী,
	পাঠাইলেন নূরের খুবী,
পাগল করে আমার হিয়া করেছে হরণ।।
	পশুপাখি তরুলতা,
	তারা শুধায় পারের কথা,
আমি একলা বসে ভাবছি হেথা নবীজীর কারণ।।
	বেড়াই আমি পথে পথে,
	খুঁজে না পাই মদিনাতে,
কোথায় গেলেন পাক মোস্তফা অমূল্য রতন।।

[দুখুমিয়ার লেটোগান, সংগ্রহ ও সম্পাদনা : মুহম্মদ আয়ুব হোসেন, বিশ্বকোষ পরিষদ, কলকাতা, ২০০৩]

রেকর্ড

কবে সে মদিনা পথে গিয়াছে সুজন।
বহায়ে নয়ন-বারি (আমার) ভিজায়ে বদন।।
	রমজানের চাঁদে নবী, 
	পাঠায় সদা নূরের ছবি, 
পাগল করে আমার মন করেছে হরণ।।
	পশুপাখি তরুলতা, 
	তাদের শুধাই পথের কথা, 
কেমনে পাবো সে চাঁদে জীবন-শরণ।।
	খুঁজে সে মদিনা-নাথে, 
	কেঁদে ফিরি পথে পথে, 
কোথা গেলে পাবো আমি ও রাঙা চরণ।।

খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকা

বাণী

খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকা
মেঘের এলোকেশে ওড়ে পুবালি বায়
দোলে গলায় বলাকার মালিকা।।
চপল বিদ্যুতে হেরি' সে চপলার
ঝিলিক হানে কণ্ঠের মণিহার,
নীল আঁচল হতে তৃষিত ধরার পথে
ছুড়ে ফেলে মুঠি মুঠি বৃষ্টি শেফালিকা।।
কেয়া পাতার তরী ভাসায় কমল-ঝিলে
তরু-লতার শাখা সাজায় হরিৎ নীলে।
ছিটিয়ে মেঠো জল খেলে সে অবিরল
কাজলা দীঘির জলে ঢেউ তোলে
আনমনে ভাসায় পদ্ম-পাতার থালিকা।।

খোদার হবিব হলেন নাজেল

বাণী

খোদার হবিব হলেন নাজেল খোদার ঘর ঐ কাবার পাশে।
ঝুঁকে’ প’ড়ে আর্শ কুর্‌সি, চাঁদ সূরয তাঁয় দেখতে আসে।।
ভেঙে পড়ে মূরত মন্দির, লা’ত মানাত, শয়তানী তখ্ত,
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’র উঠিছে তক্‌বির আকাশে।।
খুশির মউজ তুফান তোরা দেখে যা মরুভূমে,
কোহ-ই-তূরের পাথরে আজ বেহেশ্‌তী ফুল ফুটে’ হাসে।।
য়্যেতিম-তারণ য়্যেতিম হয়ে এলো রে এই দুনিয়ায়,
য়্যেতিম মানুষ-জাতির ব্যথা নৈলে বুঝ্ত না সে।।
সূর্য ওঠে, ওঠে রে চাঁদ, মনের আঁধার যায় না তায়,
হৃদ-গগন যে কর্‌ল রওশন্, সেই মোহাম্মদ ঐ রে হাসে।
আপন পুণ্যের বদ্লাতে যে মাগিল মুক্তি সবার,
উম্মতি উম্মতি ক’য়ে দেখ্ আঁখি তাঁর জলে ভাসে।।

ললাটে মোর তিলক একো মুছে বঁধুর চরণ-ধুলি

বাণী

ললাটে মোর তিলক একো মুছে বঁধুর চরণ-ধুলি
আঁখিতে মোর কাজল মেখো ঘন শ্যামের বরণগুলি।।
	বঁধুর কথা মধুর প্রিয়
	কর্ণ মূলে দুলিয়ে দিও
বক্ষে আমার হার পরিও বঁধুর পায়ের নূপুর খুলি।।
তার পীত বসন দিয়ে ক'রো এই যোগিনীর উত্তরীয়
হবে অঙ্গেরই চন্দন আমার কলঙ্ক তার মুছে নিও।
	সে দেয় যা ফেলে মনের ভুলে
	তাই অঞ্চলে মোর দিও তুলে
তার বনমালার বাসি ফুলে ভ'রো আমার ভিক্ষা ঝুলি।।