আমি হব মাটির বুকে ফুল

বাণী

আমি হব মাটির বুকে ফুল
প্রভাত বেলা হয়ত পাব তোমার চরণ মূল।।
	ঠাঁই পাব গো তোমার থালায়
	রইব তোমার গলার মালায়
সুগন্ধ মোর মিশবে হাওয়ায় আনন্দ আকুল।।
আমার রঙে রঙিন হবে বন
পাখির কণ্ঠে আনব আমি গানের হরষণ।
	নাই যদি নাও তোমার গলে
	তোমার পূজা বেদীর তলে
শুকাবে গো সেই হবে মোর মরণ অতুল।।

নিরজন ফুলবন এসো প্রিয়া

বাণী

নিরজন ফুলবন, এসো প্রিয়া
রহি’ রহি’ বলে কোয়েলিয়া।।
পথ পানে চাহি, নাহি নিদ নাহি
ঝরা ফুল জড়ায়ে ঝুরে হিয়া।।

প্রাণ নিয়ে নিঠুর খেল

বাণী

(মম)	প্রাণ নিয়ে নিঠুর খেল এ কি খেলা (হায়)।
	ক্ষণে ভালোবাসা হায় ক্ষণে অবহেলা।।
	সকালে গাঁথিয়া মালা পায়ে দল বিকালে তায়।
	তেমনি দলিতে চাহ আমার পরান কি হায়।
	সহিতে পারি না আর এই হেলাফেলা।।
	জলরূপী একি কোন্ মরীচিকা তুমি কি গো।
	ডেকে এনে মরুভূমে বধিবে এ বনমৃগ।
	বুঝিয়াছি কখন হায় ফুরায়েছে বেলা।।

আধো-আধো বোল লাজে-বাধো-বাধো বোল

বাণী

আধো আধো বোল্ লাজে-বাধো-বাধো বোল
				ব’লো কানে কানে।
যে কথাটি আধো রাতে মনে লাগায় দোল
				ব’লো কানে কানে।।
যে কথার কলি সখি আজও ফুটিল না, হায়
শরমে মরম-পাতে দোলে আন্‌মনা, হায়
যে কথাটি ঢেকে রাখে বুকের আঁচল
				ব’লো কানে কানে।।
যে কথা লুকায়ে থাকে লাজ-নত চোখে
না বলিতে যে কথাটি জানাজানি লোকে
যে কথাটি ধ’রে রাখে অধরের কোল
লুকিয়ে ব’লো নিরালায় থামিলে কলরোল।
যে কথাটি বলিতে চাও বেশভূষার ছলে
যে কথা দেয় ব’লে তব তনু পলে পলে
যে কথাটি বলিতে সই গালে পড়ে টোল্ —
				ব’লো কানে কানে।।

রঘুকুলপতি রামচন্দ্র আওধকে অধিকারী

বাণী

রঘুকুলপতি রামচন্দ্র আওধকে অধিকারী।
সুর-নর-জন পূজে চরণ, মুনি-জন ভয়হারী।।
	ঝলকে অরুণ বদন-কমল,
	নীল-পদ্ম নয়ন যুগল
দশরথ-সুত সীতাপতি তপবন বনচারী।।
সত্য ধর্ম পালক-প্রভু, রাজমুকট-ত্যাগী
রত্নাকর শাসক অরু, অনুজকে অনুরাগী।
	শিলা সতী অহল্যা ত্রাতা,
	জগৎ-পূজ্য, জগৎ-পাতা।
লঙ্কা-পতি মোক্ষদাতা অসুর-নিধনকারী।।

ওর নিশীথ-সমাধি ভাঙিও না

বাণী

ওর নিশীথ-সমাধি ভাঙিও না।
মরা ফুলের সাথে ঝরিল যে ধূলি-পথে —
সে আর জাগিবে না, তারে ডাকিও না।।
তাপসিনী-সম তোমারি ধ্যানে
সে চেয়েছিল তব পথের পানে,
জীবনে যাহার মুছিলে না আঁখি ধার আজি তাহার পাশে কাঁদিও না।।
মরণের কোলে সে গভীর শান্তিতে পড়েছে ঘুমায়ে,
তোমারি তরে গাঁথা শুকানো মালিকা বক্ষে জড়ায়ে
যে মরিয়া জুড়ায়েছে, ঘুমাইতে দাও তারে জাগিও না।।