দুপুর বেলাতে একলা পথে

বাণী

দুপুর বেলাতে একলা পথে,
	ও কে হেলিয়া দুলিয়া চলিয়া যায়।
ক্ষ্যাপা হাওয়াতে উড়িছে আঁচলা,
খোঁপা খুলিয়া খুলিয়া খুলিয়া যায়।।
	ছল ক’রে জল যায় সে আনিতে
	দেখিয়া গুরুজন ঘোমটা দিতে,
ও সে ভুলিয়া ভুলিয়া ভুলিয়া ভুলিয়া যায়।।
	কাহার গলার মালার তরে
	আপন মনে আঁচল ভ’রে,
ফুল তুলিয়া তুলিয়া তুলিয়া তুলিয়া যায়।।
	কার বিরহে পরান দহে
	কিসের নেশায় মদির মোহে,
ও সে ঢুলিয়া ঢুলিয়া ঢুলিয়া ঢুলিয়া যায়।।

বহিছে সাহারায় শোকেরই 'লু' হাওয়া

বাণী

বহিছে সাহারায় শোকেরই 'লু' হাওয়া
দোলে অসীম আকাশ আকুল রোদনে।
নূহের প্লাবন আসিল ফিরে যেন,
ঘোর অশ্রু-শ্রাবণ ধারা ঝরে সঘনে।।
'হায় হোসেনা' 'হায় হোসেনা' বলি'
কাঁদে গিরি নদী, কাঁদে বনস্থলী
কাঁদে পশু ও পাখী তরুলতার সনে।।
ফকির বাদশাহ গরীব ওমরাহে
কাঁদে তেমনি আজো তাঁরি মর্সিয়া গাহে,
বিশ্বে যাবে মুছে মুছিবে না এ আঁসু,
চিরকাল ঝরিবে কালের নয়নে।।
সেই সে কারবালা সেই ফোরাত নদী
কুল-মুসলিম-হৃদে গাহিছে নিরবধি,
আসমান জমীন রহিবে যতদিন
সবে কাঁদিবে এমনি আকুল কাঁদনে।।

কথার কুসুমে গাঁথা গানের মালিকা

বাণী

কথার কুসুমে গাঁথা গানের মালিকা কার।
ভেসে এসে হতে চায় গো আমার গলার হার।।
		আমি তারে নাহি জানি
		তার সুরের সূত্রখানি,
তবু বিজড়িত হয় কেন গো, আমার কঙ্কনে বারবার।।
তার সুরের তুলির পরশে, ওঠে আমার ভুবন রাঙ্গি’,
কোন বিস্মৃত জনমের যেন কত স্মৃতি ওঠে জাগি’।
		আমার রাতের নিদে
		তার সুর এসে প্রাণে বিঁধে,
যার সুর এত চেনা, কবে দেখা পাবো সেই অচেনার।।

তুমি কোন্ পথে এলে

বাণী

তুমি	কোন্ পথে এলে হে মায়াবী কবি
	বাজায়ে বাঁশের বাঁশরি।
এলো	রাজ-সভা ছাড়ি’ ছুটি,
	গুণিজন তোমার সে সুরে পাশরি’।।
তোমার	চলার শ্যাম-বনপথ
	কদম-কেশর-কীর্ণ,
তুমি	কেয়ার বনের খেয়াঘাটে হলে
	গোপনে কি অবতীর্ণ?
তুমি	অপরাজিতার সুনীল মাধুরী
	দু’চোখে আনিলে করিয়া কি চুরি?
তোমায়	নাগ-কেশরের ফণী-ঘেরা মউ
	পান করাল কে কিশোরী?
	জনপুরী যবে কল-কোলাহলে
	মগ্নোৎসব রাজ সভাতলে,
তুমি	একাকী বসিয়া দূর নদী-তটে
	ছায়া-বটে বাঁশি বাজালে,
তুমি	বসি’ নিরজনে ভাঁট ফুল দিয়া
	বালিকা বাণীরে সাজালে।।
যবে	রুদ্র আসিল ডম্বরু-করে
	ত্রিশূল বিঁধিয়া নীল অম্বরে,
তুমি	ফেলিয়া বাঁশরি আপনা পাশরি,
	এলে সে-প্রলয় নাটে গো,
তুমি	প্রাণের রক্তে রাঙালে তোমার
	জীবন-গোধূলি পাটে গো।।
	হে চির-কিশোর, হে চির-তরুণ,
	চির-শিশু চির-কোমল করুণ।
	দাও অমিয়া আরো অমিয়া,
দাও	উদয়-ঊষারে লজ্জা গো তুমি
	গোধূলির রঙে রঙিয়া।
	প্রখর রবি-প্রদীপ্ত গগনে,
	তুমি রাঙা মেঘ খেল আন্‌মনে,
	উৎসব-শেষে দেউলাঙ্গনে
	নিরালা বাজাও বাঁশরি,
আমি	স্বপন-জড়িত ঘুমে সেই সুর
	শুনিব সকল পাশরি’।।

ঝুম্‌কো লতায় জোনাকি

বাণী

ঝুম্‌কো লতায় জোনাকি, মাঝে মাঝে বৃষ্টি।
আবোল-তাবোল বকে কে, তারও চেয়ে মিষ্টি।।
আকাশে সব ফ্যাকাশে, ডালিম-দানা পাকেনি
চাঁদ ওঠেনি কোলে তার, মা ব’লে সে ডাকেনি।।
রাগ করেছে বাঘিনী, বারো বছর হাসে না
স্বপ্ন তাহার ভেঙ্গে যায়, খোকা কেন আসে না।।
পাথর হয়ে আছে ঝিনুক, দুধের বাটি, দোলনা!
মাকে বলে ‘খোকা কই?’ কিছুই খেলা হ’ল না।।
তেমনি আছে ঘরের জিনিস, কিছুই ভাল লাগে না
পা আছড়ে মা কেঁদে কয় ‘খোকা কেন ভাঙে না!’

চলচ্চিত্র : ‘দিকশূল’

আল্লাহ্‌ রসুল জপের গুণে

বাণী

	আল্লাহ্‌ রসুল জপের গুণে কি হ'ল দেখ চেয়ে —
সদা	ঈদের দিনের খুশিতে তোর পরাণ আছে ছেয়ে।।
		আল্লাহ্‌র রহমত ঝরে
		ঘরে বাইরে তোর উপরে,
	আল্লাহ্‌ রসুল হয়েছেন তোর জীবন-তরীর নেয়ে।।
	দুখে সুখে সমান খুশি নাই ভাবনা ভয়,
তুই	দুনিয়াদারী করিস তবু আল্লাহ্‌তে মন রয়।
		মরণকে আর ভয় নাই তোর,
		খোদার প্রেমে পরাণ বিভোর,
	তিনি দেখেন তোর সংসার, তোরই ছেলেমেয়ে।।