বাণী

ওরে		আজই না হয় কালই তোরে কালী কালী বল্‌তে হবে।
তুই 		কাঁদ্‌বি ধ’রে কালীর চরণ মহাকাল আসিবে যবে।।
		তুই জন্মের আগে ছিলি শিখে মা বল্‌তে মা কালীকে,
তুই 		ভুল্‌লি আদি-জননীকে দু’দিন মা পেয়ে ভবে।।
তুই 		কালি দিয়ে লিখ্‌লি হিসাব কেতাব-পুঁথি শিখ্‌লি পড়া,
তোর		মাঠে ফসল ফুল্ ফুটালো কালো মেঘের কালি-ঝরা।
		তোর চোখে জ্বলে কালীর কালো তাই জগতে দেখিস্ আলো,
(কালি)	প্রসাদ গুণে সেই আলো তুই হৃদ্‌পদ্মে দেখ্‌বি কবে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ দ্রুত-দাদ্‌রা

স্বরলিপি

বাণী

তোমার আমার এই বিরহ সইব কত আর
রইবে কত আড়াল টেনে গ্রহ-তারকার।।
	তৃষিত মোর হৃদয় যাচে
	এসো আমার বুকের কাছে
যেমন দূরের চাঁদকে ডাকে ব্যাকুল পারাবার।।
হাত চাহে মোর ব'সো কাছে করবো সেবা তব,
নয়ন বলে নয়ন পাতায় রাখবো হে বল্লভ।
	হে নাথ তোমার তীর্থ পথে
	এ প্রাণ চাহে ধূলি হ'তে
ঘুচবে কবে মোদের মাঝে অসীম অন্ধকার।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ দাদ্‌রা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

	কোন্‌ সুদূরের চেনা বাঁশির ডাক শুনেছিস্‌ ওরে চখা?
			ওরে আমার পলাতকা!
তোর প’ড়লো মনে কোন্‌ হানা–ঘর,
			স্বপন-পারের কোন্‌ অলকা?
			ওরে আমার পলাতকা।।
তোর জল ভ’রেছে চপল চোখে,
বল কোন্‌ হারা–মা ডাক্‌লো তোকে রে
ঐ গগন–সীমায় সাঁঝের ছায়ায় —
	হাতছানি দেয় নিবিড় মায়ায় —
	উতল পাগল! চিনিস্‌ কি তুই চিনিস্‌ ওকে রে?
যেনবুক–ভরা ও’ গভীর স্নেহে ডাক দিয়ে যায়, ‘আয়,
			ওরে আয় আয় আয়,
কোলে আয় রে আমার দুষ্টু খোকা!
‌ওরে আমার পলাতকা।।‘
			দখিন হাওয়ায় বনের কাঁপনে —
	দুলাল আমার! হাত–ইশারায় মা কি রে তোর
				ডাক দিয়েছে আজ?
			এতদিনে চিনলি কি রে পর ও আপনে!
	নিশি ভোরেই তাই কি আমার নামলো ঘরে সাঁঝ?
			ধানের শীষে, শ্যামার শিষে —
			যাদুমণি! বল্‌ সে কিসে রে,
		তুই শিউরে চেয়ে ছিঁড়্‌লি বাঁধন!
			চোখ ভরা তোর উছলে কাঁদন রে!
তোরে কে পিয়ালো সবুজ স্নেহের কাঁচা বিষে রে!
‌‌যেন আচম্‌কা কোন্‌ শশক–শিশু চম্‌কে ডাকে হায়,
			‘ওরে আয় আয় আয় —
		বনে আয় ফিরে আয় বনের সখা।
		ওরে চপল পলাতকা।।

রাগ ও তাল

রাগঃ 

তালঃ দাদ্‌রা

অডিও

শিল্পীঃ সুধীন দাস

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

ওরে	আজ ভারতের নব যাত্রা পথের
	বাঁশি বাজলো, বাজলো বাঁশি
	ফেলে তরুর ছায়া ভুলে ঘরের মায়া
	এলো তরুণ পথিক ছুটে রাশি রাশি॥
	তারা আকাশকে আজ চাহে লুটে নিতে
	তারা মন্থর ধরায় চাহে দুলিয়ে দিতে
	তারা তরুণ তরুণ প্রাণ জাগায় মৃতে
	সাহস জাগায় চিতে তাদের অট্টহাসি॥
	মোরা প্রাচীরের পরে রে প্রাচীর তুলে
	ভাই হয়ে ভাইকে হায় ছিলাম ভুলে।
	আজ ভেঙে প্রাচীর হল ঘরের বাহির
	একই অঙ্গনে দাঁড়ালো উন্নত শির
	এলো মুক্ত গগন তলে প্রাণ পিয়াসি
	এলো তরুণ পথিক ছুটে রাশি রাশি॥

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ ফের্‌তা (দ্রুত-দাদ্‌রা ও কাহার্‌বা)

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

শ্রাবণ রাতের আঁধারে নিরালা ব’সে আছি বাতায়নে
রেবা নদীর খরস্রোত বহে বেগে আমার মনে॥
		দিগন্তে করুণ কাতর
		শুনি কার ক্রন্দন স্বর
ভেসে বন-মর্মর ঝরঝর সজল উতল পুবালি পবনে॥
বিরহী যক্ষ কাঁদে একাকী কোথায় কোন্ দূর চিত্রকূটে
আমার গানে যেন তার বেদনার সকরুণ ভাষা ফুটে।
		আমার মনের অলকায়
		কোন্ বিরহিণী পথ চায়
মালবিকার আঁখি-ধার ঝরে হায় অঝোর ধারায় মোর নয়নে॥

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

 

বাণী

চাঁদিনী রাতে কানন-সভাতে আপন হাতে গাঁথিলে মালা।
সয়েছি বুকে নিবিড় সুখে তোমারি হাতের সূচিব জ্বালা।।
আজিও জাগে লোহিত রাগে রঙিন গোলাবে তাহারি ব‍্যথা
তব ও গলে দুলিব ব’লে দিয়েছি কুলে কলঙ্ক-কালা ।।
যদি ও গলে নেবে না তুলে কেন বধিলে ফুলের পরান
অভিমানে হায় মালা যে শুকায় ঝ’রে ঝ’রে যায় লাজে নিরালা।।

নাটকঃ‘আলেয়া’

রাগ ও তাল

রাগঃ সিন্ধু-ভৈরবী

তালঃ কাহার্‌বা

স্বরলিপি