বাণী
মদন : আহা! সুনীল নীরদে ঢাকিল অরুণ, নীহারে ঢাকিল শশী। মধু : চন্দন মেখে শুকতারা হাসে মোর বাতায়নে বসি।।
নাটক : ‘মধুমালা’ (মদনকুমার ও মধুমালার গান)
রাগ ও তাল
রাগঃ
তালঃ
মন দিয়ে যে দেখি তোমায় তাই দেখিনে নয়ন দিয়ে। পরান আছে বিভোর হয়ে তোমার নামের ধেয়ান নিয়ে॥ হৃদয় জুড়ে আছ ব’লে, এড়িয়ে চলি নানান ছলে। আছ আমার অন্তরে, তাই অন্তরালে রই লুকিয়ে॥ আমার কথা শুনাই না গো তোমার কথা শোনার আশায়, ভরে আছে অন্তর মোর বন্ধু তোমার ভালোবাসায়। তোমায় ভালো বাসতে পেরে পেয়েছি মোর আনন্দেরে অমর হলাম হে প্রিয় মোর তোমার প্রেমের সুধা পিয়ে॥
রাগঃ কাফি-সিন্ধু
তালঃ যৎ (৮ মাত্রা)
তুমি দুখের বেশে এলে বলে ভয় করি কি হরি। দাও ব্যথা যতই তোমায় ততই নিবিড় করে ধরি। আমি ভয় করি কি হরি।। আমি শূন্য করে তোমার ঝুলি দুঃখ নেব বক্ষে তুলি, আমি করব দুঃখের অবসান আজ সকল দুঃখ বরি।। কত সে মন কত কিছুই হজম করে ফেলি নিতুই, এক মনই তো দুঃখ দেবে তারে নাহি ডরি।। তুমি তুলে দিয়ে সুখের দেয়াল, ছিলে আমার প্রাণের আড়াল, আজ আড়াল ভেঙে দাঁড়ালে মোর সকল শূন্য হরি।।
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা
এলো শিবানী-উমা এলো এলোকেশে। এলো রে মহামায়া দনুজদলনী বেশে।। এলো আনন্দিনী গিরি-নন্দিনী রবে না কেহ আর বন্দী-বন্দিনী, শক্তি প্রবাহ বহিল মৃতদেশে।। এলো রে বরাভয়া ভয় হরিতে, শ্মশান কঙ্কালে বজ্র গড়িতে। এলো মা অন্নদা, আয় রে ভিখারি বর চেয়ে নে যার যে অধিকারী মুক্তি বন্যায় ভারত যাক্ ভেসে।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
হে প্রিয় আমারে দিব না ভুলিতে মোর স্মৃতি তাই রেখে' যাই শত গীতে।। বিষাদিত সন্ধ্যায় শুনিবে দূরে বিরহী বাঁশি ঝুরে আমারি সুরে আমারি করুণ গাথা গাহিবে কে কোথা সজল মেঘ-ঘেরা নিশীথে।। গোধূলি-ধূসর ম্লান আকাশে হেরিবে আমার মূরতি ভাসে তব পদদলিত ফুলের বাসে পড়িবে মনে আমারে চকিতে।।
রাগঃ পটদীপ
তালঃ ত্রিতাল
শিল্পীঃ খায়রুল আনাম শাকিল
শিল্পীঃ সুকুমার মিত্র
শিল্পীঃ শবনম আবেদি
এলো ফুলের মরশুম শরাব ঢালো সাকি বকুল শাখে কোকিল ওঠে ডাকি’।। গেয়ে ওঠে বুলবুল আঙ্গুর-বাগে নীল আঁখি লাল হলো রাঙ্-অনুরাগে আজি ফুল-বাসরে শিরাজির জল্সা বরবাদ্ হবে না-কি।। চাঁপার গেলাস ভরি’ ভোমরা মধু পিয়ে মহুয়া ফুলের বাসে আঁখি আসে ঝিমিয়ে। পাপিয়া পিয়া পিয়া ডাকে বন-মাঝে গোলাপ-কপোল রাঙে গোলাপী লাজে হৃদয়-ব্যথার সুধা আছে তব কাছে রেখো না তারে ঢাকি’।।
রাগঃ পাহাড়ি
তালঃ দ্রুত-দাদ্রা