তৃষিত আকাশ কাঁপে রে

বাণী

তৃষিত আকাশ কাঁপে রে।
প্রখর রবির তাপে রে।।
চাহিয়া তৃষ্ণার বারি
চাতক ওঠে ফুকারি’
করুণ-শান্ত বিলাপে রে।।
রুদ্রযোগী ও-কে দূর বিমানে,
নিমগ্ন রহিয়াছে যেন ধ্যানে।
শকুন্তলা সম ভয়ে
কাঁপে ধরা র’য়ে র’য়ে,
অগ্নি-ঋষির অভিশাপ রে।।

বিদায়-সন্ধা আসিল ঐ ঘনায় নয়নে অন্ধকার

বাণী

বিদায়-সন্ধা আসিল ঐ ঘনায় নয়নে অন্ধকার।
হে প্রিয়, আমার, যাত্রা-পথ অশ্রু-পিছল ক’রো না আর॥
	এসেছিনু ভেসে স্রোতের, ফুল
	তুমি কেন প্রিয় করিলে ভুল
তুলিয়া খোঁপায় পরিয়া তা’য় ফেলে দিলে হায় স্রোতে আবার॥
	হেথা কেহ কারো বোঝে না মন
	যারে চাই হেলা হানে সে’ জন
যারে পাই সে না হয় আপন হেথা নাহি হৃদি ভালোবাসার।
	তুমি বুঝিবে না কি অভিমান
	মিলনের মালা করিল ম্লান
উড়ে যাই মোর, দূর বিমান সেথা গা’ব গান আশে তোমার॥

এমনি মধুর ক্ষণে প্রিয়তম নাহি

বাণী

এমনি মধুর ক্ষণে প্রিয়তম নাহি পাশে।
আকুল পরান মম চম্পা-ফুল-সুবাসে।।
উতলা সমীরে বাজে ব্যাকুল বাঁশি
কাননে উছলি’ পড়ে সুরের রাশি,
আলোকে সুরভি তারি গগন ভরিয়া হাসে।।
বাতায়নে মোর নিশীথের তারা সুধায় নীরবে ডাকি,
‘হায় গো উদাসী এমন নিশায় সজল কেন গো আঁখি।’
	সুদূরে রহিল বঁধু একেলা আমি
	অসহ বিরহ সহি দিবসযামী,
আশার মালিকা রচি’, বসিয়া তাহারি আশে।।

বল রাঙা হংসদূতি তা’র বারতা

বাণী

		বল রাঙা হংসদূতি তা’র বারতা।
		দাও তা’র বিরহ-লিপি, বল সে কোথা।।
		কেমনে কাটে তা’র অলস বেলা
		আজো কি গাঙের ধারে কাঁদে একেলা,
		দু’জনের আশা-তরী ডুবিল যথা।।
		দীপ জ্বালেনি কি কেউ তাহার ঘরে,
		ভাঙা ঘর বেঁধেছে কি নূতন ক’রে।
		দেখা হ’লে তা’রে কহিও নিরালায়
		আমি মরিয়াছি — মোর প্রেম মরেনি, হায়!
(মোর)	অন্তরে সে আজো অন্তর-দেবতা।।

আগের মত আমের ডালে

বাণী

আগের মত আমের ডালে বোল ধরেছে বউ।
তুমিই শুধু বদ্‌লে গেছ, আগের মানুষ নও।।
	তেম্‌নি আজো তোমার নামে
	উথলে মধু গোলাপ-জামে,
উঠ্ল পু’রে জামরুলে রস, মহুল ফুলে মউ।।
ডালিম-দানায় রং ধরেছে, ডাঁশায় নোনা আতা,
তোমার পথে বিছায় ছায়া ছাতিম তরুর ছাতা।
	তেম্‌নি আজো নিমের ফুলে
	ঝিম্‌ হয়ে ঐ ভ্রমর দুলে,
হিজল-শাখায় কাঁদছে পাখি বউ গো কথা কও।।

আয় ইরানি মেয়ে জংলা-পথ বেয়ে

বাণী

আয় ইরানি মেয়ে জংলা-পথ বেয়ে আয় লো।
	নদী যেমন চাঁদে
	ঢেউ-এর মালায় বাঁধে,
তেমনি চাঁদে বাঁধব চিরুনির মত এলো খোঁপায় লো।।
দুপুর রাতে ঝিঁ ঝিঁ ঝিল্লি-নূপুর বাজে
বেদের বাঁশি কাঁদে বৌ-এর বুকের মাঝে,
কাঁটা দিয়ে ওঠে গোলাপ-লতার গায়ে বুলবুলি কোথায় লো।।
বেদে গেছে বনে গো হরিণী শিকারে,
হরিণ-আঁখি তার প্রেয়সী তাঁবুতে কাঁদে মনের বিকারে।
আমাদের জল্‌সায় সাকি-শিরাজি নাই
আসমানের তারা-ফুল নিঙ্‌ড়ে তাই মধু খাই,
	বঁধূ যখন আসবে
	চেয়ে চেয়ে হাসবে,
কবরীর যুঁই ছুঁড়ে ফেলে দিব পায় লো।।

১. তারই