বাণী
(হায়) তুমি চ’লে যাবে দূরে লায়লী তব মজনু কাঁদিবে একা। বুঝি পাব না তোমায় জীবনে বুঝি এই নিয়তির লেখা।।
নাটিকা: ‘লায়লী-মজনু’
রাগ ও তাল
রাগঃ ভৈরবী
তালঃ বৈতালিক
স্বরলিপি

(হায়) তুমি চ’লে যাবে দূরে লায়লী তব মজনু কাঁদিবে একা। বুঝি পাব না তোমায় জীবনে বুঝি এই নিয়তির লেখা।।
নাটিকা: ‘লায়লী-মজনু’
রাগঃ ভৈরবী
তালঃ বৈতালিক

এসো এসো রস-লোক বিহারী এসো মধুকর-দল। এসো নভোচারী — স্বপন-কুমার এসো ধ্যান-নিরমল।। এসো হে মরাল কমল-বিলাসী, বুলবুল পিক সুর-লোক-বাসী, এসো হে স্রষ্টা এসো অ-বিনাশী এসো জ্ঞান-প্রোজ্জ্বল।। দীওয়ানা প্রেমিক এসো মুসাফির — ধূলি-ম্লান তবু উন্নত শির, আমরা-অমৃত-জয়ী এসো বীর আনন্দ বিহ্বল।। মাতাল মানব করি’ মাতামাতি দশ হাতে যবে লুটে যশ খ্যাতি, তোমরা সৃজিলে নব দেশ জাতি অগোচর অচপল।। খেল চির-ভোলা শত ব্যথা স’য়ে সংঘাত ওঠে সঙ্গীত হ’য়ে, শত বেদনার শতদল ল’য়ে লীলা তব অবিরল।। ভুলি’ অবহেলা অভাব বিষাদ ধরণীতে আনো স্বর্গের স্বাদ, লভি’ তোমাদের পুণ্য প্রসাদ পেনু তীর্থের ফল।।
রাগঃ ভৈরবী
তালঃ একতাল
হোরি খেলে নন্দলালা প্রেমের রঙে মাতোয়ালা॥ বিশ্বরাধা সে সাথে রঙে খেলায় মাতে রঙে ত্রিভুবন ছায় রাঙা আলোক আবির ছড়ায় হোরি রবি-শশী থালা॥ আজি বনে বনে মনে মনে হোরি মনের মরুতে লতায় তরুতে রাঙা ফুল ফোটে মরি মরি। আজি প্রাণে প্রাণে ফুল দোল দোল পূর্ণিমা রাতি রাঙা ফুল তারা বাতি ধরণীতে আকাশে জ্বালা॥
রাগঃ
তালঃ ফের্তা (দ্রুত-দাদ্রা ও কাহার্বা)

দিন গেল মোর মায়ায় ভুলে মাটির পৃথিবীতে। কে জানে কখন নিয়ে যাবে গোরে মাটি দিতে রে।। পাঁচ ভূতে আর চোরে মিলে রোজগার মোর কেড়ে নিলে; এখন কেউ নাই রে পারে যাবার দুটো কড়ি দিতে রে।। রাত্রি শুয়ে আবার যে ভাই উঠব সকাল বেলা, বলতে কি কেউ পারি তবু খেলি মোহের খেলা। বাদ্শা আমির ফকির কত এলো আবার হল গত রে; দেখেও বারেক আল্লার নাম জাগে নাকো চিতে। এবার বসবি কবে ও ভোলা মন আল্লার তস্বিতে রে।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা

তুমি ভাগিয়াছ ভাগ্লুয়া দলের সাথে। (হায় প্রিয়া!) তুমি যে ভেগেছ ভাগ্লুয়া দলের সাথে। নিয়ে গেছ হায় বাক্সের চাবি দিয়েছ দাদার হাতে।। বোমা না পড়িতে বাপের বাড়িতে ছুট দিলে স্বামীরে ভুলে, আমি পথে ফিরি হায়, কর্পোরেশনের ষাঁড় যেন কলকাতাতে। এখন পথে ফিরি হায়, কর্পোরেশনের ষাঁড় যেন কলকাতাতে।। যখন ভালুক নাচাতে এই স্বামী লয়ে (তখন) ভুলেছিলে বাবা দাদা; (তখন) তোমার বেণীটি আমার টিকি-টি একদিকে ছিল বাঁধা। সে-বেণী খুলিল সে-টিকি ছিঁড়িল ঘরের উনুন নিভিল; আমি আবার প্রেমের হাট বসাব ফিরে এসো হাটখোলাতে।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা

মরণ ডাকে — ‘আয় রে চ’লে!’ জীবন বলে — ‘যাই গো যাই।’ জীবনে হায় পায়নি ব’লে (আমার) মরণে তাই চাই গো চাই।। জীবন শুধু কাঁটায় ভরা তাই বুঝি সে দেয়নি ধরা, ফুল-বিছানো কবরে তার মধুর পরশ পাই গো পাই। মরণ-বঁধূর ডাক শুনে আর জীবনে সাধ নাই গো নাই।।
নাটকঃ ‘কাফন চোরা’
রাগঃ
তালঃ তেওড়া
