বাণী
সুনয়না চোখে কথা ক’য়ে যায় বনের রানী, দুটি ফুলে শুনি নয়ন ফাঁকে প্রাণ লুকিয়ে চায়॥ দেহ দেউলে, দুটি দীপ দুলে হেরি সারা অন্তর তায়॥
রাগ ও তাল
রাগঃ খাম্বাজ মিশ্র
তালঃ আদ্ধা
সুনয়না চোখে কথা ক’য়ে যায় বনের রানী, দুটি ফুলে শুনি নয়ন ফাঁকে প্রাণ লুকিয়ে চায়॥ দেহ দেউলে, দুটি দীপ দুলে হেরি সারা অন্তর তায়॥
রাগঃ খাম্বাজ মিশ্র
তালঃ আদ্ধা
মুখে কেন নাহি বলো আঁখিতে যে কথা কহো
অন্তরে যদি চাহো মোরে তবে কেন দূরে দূরে রহো।।
প্রেম -দীপ শিখা অন্তরে যদি জ্বলে
কেন চাহো তারে লুকাইতে অঞ্চলে
পূজিবে না যদি সুন্দরে রূপ -অঞ্জলি কেন বহো।।
ফুটিলে কুসুম -কলি রহে না পাতার তলে,
কুণ্ঠা ভুলিয়া দখিনা-বায়ের কানে কানে কথা বলে।
যে অমৃত-ধারা উথলে হৃদয় মাঝে
রুধিয়া তাহারে রেখো না হৃদয় লাজে
প্রাণ কাঁদে যার লাগি, তারে কেন বিরহ দহনে দহো।।
রাগঃ
তালঃ দাদরা

আকাশের মৌমাছি-তারকার দল, পিয়ে চৈতালী চাঁদের মধু, হ’ল বিহ্বল।। মোর মাধবী বনে মৌমাছি আসে না আমার আকাশে আর চাঁদ হাসে না। ভালো লাগে না এ চাঁদের আলো পুষ্পল পরিমল-ছাওয়া বনতল।। দক্ষিণ সমীরণে বন বিঘোর গানে, মন ভরে না। বিধুর বাঁশরি বাজে, মধু মঞ্জরী, তবু মঞ্জুরে না। বুলবুলি এসেছিল, ভুল সে কি ভুল? তেমনি তো ফোটে হেনা চম্পার ফুল। বেণী বাঁধা বধু লো ধূলায় লুটায় কাঁদে এলো-কুন্তল।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
এই যুগল মিলন দেখ্ব ব’লে ছিলাম আশায় ব’সে। আমি নিত্যানন্দ হলাম, পিয়ে, মধুর ব্রজ-রসে।। রাই বিষ্ণুপ্রিয়া আর কানাই গৌর হের নদীয়ায় যুগল রূপ সুমধুর, তোরা দেখে যা দেখে যা মধুর মধুর। মধুর রাই আর মধুর কানাইরে দেখে যা দেখে যা মধুর মধুর।।
নাটক : ‘বিষ্ণুপ্রিয়া’ (নিত্যানন্দের গান)
রাগঃ
তালঃ
বিষাদিনী এসো শাওন সন্ধ্যায় কাঁদিব দুজনে। দীপালির উৎসবে আঁধারের ঠাঁই নাহি কাহারো হাসি যদি নিভে যায়। তোমারি মতো তাই ম্লান-মুখ চিরদিন লুকায়ে রাখি অবগুণ্ঠনে॥
রাগঃ শাওন্ত কল্যাণ
তালঃ ত্রিতাল
ঝঞ্ঝার ঝাঁঝর বাজে ঝনঝন বনানী-কুন্তল এলাইয়া ধরণী কাঁদিছে পড়ি চরণে শনশন শনশন।। দোলে ধূলি-গৈরিক পতাকা গগনে, ঝামর কেশে নাচে ধূর্জটি সঘনে। হর-তপোভঙ্গের ভুজঙ্গ নয়নে, সিন্ধুর মঞ্জীর চরণে বাজে রনরন রনরন।।
রাগঃ কেদারা-হাম্বীর
তালঃ কাওয়ালি