পুষ্পধনুর ইঙ্গিতে হায় হারানো

বাণী

পুষ্পধনুর ইঙ্গিতে হায় হারানো হিয়ার বনে,
মন দেয়া-নেয়া খেলা চলে নিরজনে।
মায়া-মৃগ যেন রচিত ছলনার কায়া,
বাঁধা পড়িল নিজে? একি রে প্রেমের মায়া।।
দু’জনে রচিত মিলন-স্বর্গ ধূলিতলে রমণীয়,
দু’জনের কাছে বন্দী দু’জনে প্রিয়তমা আর প্রিয়।
আঁখির মিলনে সারা দিন-যামী ক্লান্ত না হয় আঁখি,
আঁখির কুলায় চলে গো আঁখির পাখি।
দু’জনে কুজনে একটি গানের কলি,
অনাহত সুরে বারে বারে যায় বলি’।।

মিশ্র সুর

ঝুলে কদমকে ডারকে ঝুলনা পে

বাণী

ঝুলে কদমকে ডারকে ঝুলনা পে কিশোরী কিশোর।
দেখে দোউ এক এককে মুখকো চন্দ্রমা চকোর,
য্যায়সে চন্দ্রমা চকোর হোকে প্রেম নেশা বিভোর।।
মেঘ মৃদং বাজে ওহি ঝুলনাকে ছন্দ্‌ মে
রিম্‌ঝিম্‌ বাদর বরসে আনন্দ্‌ মে,
দেখনে যুগল শ্রীমুখ চন্দকো গগন ঘেরি ঘনঘটা ঘোর।।
নব নীর বরসনে কো চাতকিনী চায়
ওয়সে গোপী ঘনশ্যাম দেখ তৃষ্ণা মিটায়,
সব দেবদেবী বন্দনা গীত গায় — 
ঝরে বরসামে ত্রিভুবনকি প্রেমাশ্রুলোর।।

নিশীথ জাগিয়া সে কি মোর

বাণী

নিশীথ জাগিয়া সে কি মোর গান শোনে।
যে গান ভাসিয়া যায় আজি নিশি-পবনে।।
বলাকা মালার মত আকাশের কোলে,
তারা যেতে যেতে হায়,
ছায়া ফেলিয়া কি যায় —
		তার মন-বাতায়নে।।
মোর কুণ্ঠিতা বাণী সুরের গুণ্ঠনে শিহরায় আবেশে,
শুনিয়া আমার গান আমার চেয়ে কি গো মোর কথা ভাবে সে।
আমার সঙ্গীত-ইঙ্গিত তাহারে,
আনিবে না কি মোর পথের ধারে।
সুমুখে যে কথা তায়,
বলিতে পারি না হায় —
গানের আড়ালে তাই জানাই গোপনে।।

গিরিধারী গোপাল ব্রজ গোপ দুলাল

বাণী

গিরিধারী গোপাল ব্রজ গোপ দুলাল
অপরূপ ঘনশ্যাম নব তরুণ তমাল॥
বিশাখার পটে আঁকা মধুর নিরুপম
কান্ত ললিতার শ্রীরাধা প্রীতম
রুক্মিণী-পতি হরি যাদব ভূপাল॥
যশোদার স্নেহডোরে বাঁধা ননীচোর
নন্দের নয়ন-আনন্দ-কিশোর
শ্রীদাম-সুদাম-সখা গোঠের রাখাল॥
কংস-নিসূদন কৃষ্ণ মথুরাপতি
গীতা উদ্‌গাতা পার্থসারথি
পূর্ণ ভগবান বিরাট বিশাল॥

নবীন বসন্তের রানী তুমি

বাণী

পুরুষ		: 	নবীন বসন্তের রানী তুমি গোলাব-ফুলী রঙ।
স্ত্রী		: 	তব অনুরাগের রঙে আমি উঠিয়াছি আজ রেঙে
						প্রিয় এই অপরূপ ঢঙ।।
পুরুষ		: 	পলাশ কৃষ্ণচূড়ার কলি
			রাঙা ও-পায়ে এলে কি দলি’?
স্ত্রী		:	বেয়ে প্রেমের পথের গলি
			এলাম কঠোর হৃদয় দলি’,
			হের পায়ে তাহারি রঙ।।
পুরুষ		:	হায়, হৃদয়-হীনা হৃদয়-সাথি হয় না তা জানি,
			অবুঝ হৃদয় তবু চাহে তায় জানে সে-পাষাণী।
স্ত্রী		:	ধরিয়া পায়ে প্রেম জানায়ে
			যাও পালায়ে শেষে কাঁদায়ে
			কাঁদাই যতই, কাঁদি যে ততই;
পুরুষ		:	বায়ু কেঁদে যায় ফুল ঝরায়ে।
স্ত্রী		:	না, না, যাও যাও মন চেয়ো না
			গন্ধ লহ, ফুল চেয়ো না;
			আছে কাঁটা ফুলের সঙ্গ।।
উভয়ে		:	যাই চল সেই কাননে
			নাই কাঁটা ফুলের সনে
			যথা নাই বিরহ, শুধু মিলন।।

যাও যাও তুমি ফিরে

বাণী

	যাও যাও তুমি ফিরে এই মুছিনু আঁখি
	কে বাঁধিবে তোমারে হায় গানের পাখি॥
মোর	আজ এত প্রেম আশা এত ভালোবাসা
	সকলি দুরাশা আজ কি দিয়া রাখি॥
	তোমার বেঁধেছিল নয়ন শুধু এ রূপের জালে
	তাই দুদিন কাঁদিয়া হায় এ বাঁধন ছাড়ালে।
	আমার বাঁধিয়াছে হিয়া আমি ছাড়াব কি দিয়া
	আমার হিয়া তো নয়ন নহে ও সে ছাড়ে না কাঁদিয়া,
	ওগো দুদিন কাঁদিয়া।
	এই অভিমান জ্বালা মোর একেলারি কালা
	ম্লান মিলনেরি মালা দাও ধূলাতে ঢাকি॥