যেন ফিরে না যায় এসে

বাণী

যেন	ফিরে না যায় এসে আজ বঁধুয়া ফিরে না যায়।
সখি	দিস্‌নে তোরা তা’রে লাজ বঁধুয়া ফিরে না যায়।।
	পথ ভুল ক’রে যায় আন-ঘরে জানি সই,
তবু	আমারি সে রাজাধিরাজ বঁধুয়া ফিরে না যায়।।
	ফুল চুরি ওর পেশা ও শুধু চোখের নেশা, জানি সই,
একা	আমারি ছবি তার হিয়া-মাঝ বঁধুয়া ফিরে না যায়।।
	সুন্দর ব’লে তায় সকলে পাইতে চায়,
সে	পরালে মোরে প্রেমের তাজ বঁধুয়া ফিরে না যায়।।

আমি দেখন-হাসি

বাণী

আমি দেখন-হাসি
আমায়দেখ্‌লে পরে হাসতে হাসতে পেয়ে যাবে কাশী।।
আমিহাসির হাঁসলী ফিরি করি এলে আমার হাসির দেশে
বুড়োরা সব ছোঁড়া হয়, আর ছোঁড়ারা যায় টেসে।
আমারহাস-খালিতে বাড়ি, আমি হাস্নু হানার মাসি।।
এলেআমার হাসির হেঁসেলে তার হাঁসফাঁসানি লেগে
অন্তে শুধু দন্ত থাকে শরীরটা যায় ভেগে।
(আমি)পাতি হাঁসির আন্ডা বেচি আর হাসির ময়দা খাঁসি।।
সেদিন পথে যাচ্ছিল সব রাজার হাতি ঘোড়া উট
তারা না আমায় দেখি হাসতে হাসতে
‘চোঁ চোঁ চোঁ’ এই না বলি’ অমনি দিলে ছুট
হেসে পালিয়ে গেল দড়ি ছিঁড়ে মটরু মিঞার খাসি।।

বিদায়-সন্ধা আসিল ঐ ঘনায় নয়নে অন্ধকার

বাণী

বিদায়-সন্ধা আসিল ঐ ঘনায় নয়নে অন্ধকার।
হে প্রিয়, আমার, যাত্রা-পথ অশ্রু-পিছল ক’রো না আর॥
	এসেছিনু ভেসে স্রোতের, ফুল
	তুমি কেন প্রিয় করিলে ভুল
তুলিয়া খোঁপায় পরিয়া তা’য় ফেলে দিলে হায় স্রোতে আবার॥
	হেথা কেহ কারো বোঝে না মন
	যারে চাই হেলা হানে সে’ জন
যারে পাই সে না হয় আপন হেথা নাহি হৃদি ভালোবাসার।
	তুমি বুঝিবে না কি অভিমান
	মিলনের মালা করিল ম্লান
উড়ে যাই মোর, দূর বিমান সেথা গা’ব গান আশে তোমার॥

নিশির পাহারা ভেঙে চোর এসেছে

বাণী

	নিশির পাহারা ভেঙে চোর এসেছে ঘর,
	ধরতে গিয়ে দেখি ওলো চোর নয় সে বর।
	বর এসেছে, বর এসেছে, বর এসেছে বর।।
	এ পালিয়েছিল চুরি ক’রে মোদের সখির নিদ্,
(এই)	হৃদয়-বনের শিকারীকে নয়ন দিয়ে বিঁধ্।
এ যে	ফুলের মালায় বন্দী ক’রে পরাল টোপর —
	বর এসেছে, বর এসেছে, বর এসেছে বর।।

নাটক : ‘মধুমালা’

নিশি কাজল শ্যামা আয় মা

বাণী

	নিশি কাজল শ্যামা আয় মা নিশীথ রাতে।
	যেমন কালো বাদল নামে নীল আকাশের নয়নপাতে।।
	কুল-কুণ্ডলিনী রূপে ওঠ মা জেগে চুপে চুপে,
	মা ছেলেতে যাব মা চল্‌ ভোলানাথের ঘুম ভাঙাতে।।
	তোর বরাভয় রূপ দেখায়ে দূর কর মা আঁধার ভীতি,
	কৃষ্ণা চতুর্দশীতে মা দেখা পূর্ণ চাঁদের জ্যোতি।
	পাতার কোলে কুঁড়ি সম মাগো হৃদয় কমল মম
তোর	চরণ অরুণ দেখার আশায় রাত্রি জাগে রাতের সাথে।।

আমি পূরব দেশের পুরনারী

বাণী

আমি পূরব দেশের পুরনারী (গো)।
গাগরি ভরিয়া এনেছি গো অমৃত-বারি।।
পদ্মকুলের আমি পদ্মিনী-বধূ
এনেছি শাপলা-পদ্মের মধু
ঘন বন ছায়ায় শ্যামলী মায়ায়
শান্তি আনিয়াছি ভরি’ হেমঝারি।।
আমি শঙ্খ-নগর হতে আনিয়াছি শাখা, অভয়শঙ্খ,
ঝিল্‌ ছেনে এনেছি সুনীল কাজল গো —
বিল্‌ ছেনে অনাবিল চন্দন-পঙ্ক (এনেছি)।
এনেছি, শত ব্রত-পার্বণ-উৎসব
এনেছি, সারস হংসের কলরব
এনেছি, নব আশা-ঊষার সিন্দুর
মেঘ-ডম্বরু সাথে মেঘ-ডুমুর শাড়ি।।