চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না

বাণী

চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না এ নয়ন পানে।
জানিতে নাইকো বাকি, সই ও আঁখি কি যাদু জানে।।
একে ঐ চাউনি বাঁকা সুর্মা আঁকা তা’য় ডাগর আঁখি রে
বধিতে তা’য় কেন সাধ? যে মরেছে ঐ নয়ন বাণে।
			মরেছে ঐ আঁখির বাণে।।
চকোর কি প’ড়ল ধরা পীযূষ ভরা ঐ মুখ-চাঁদে (রে),
কাঁদিছে নার্গিসের ফুল লাল কপোলের কমল-বাগানে।
জ্বলিছে দিবস রাতি মোমের বাতি রূপের দেওয়ালি (রে),
নিশিদিন তাই কি জ্বলি’ পড়ছ গলি’ অঝোর নয়ানে।
মিছে তুই কথার কাঁটায় সুর বিঁধে হায় হার গাঁথিস কবি (রে)।
বিকিয়ে যায় রে মালা এই নিরালা আঁখির দোকানে।।

গঙ্গার বালুতটে খেলিছে কিশোর

বাণী

গঙ্গার বালুতটে খেলিছে কিশোর গোরা।
চরণতলে চলে পুলকে বসুন্ধরা।।
	পড়িল কি রে খসি
	ভূতলে রাকা শশী
ঝরিছে অঝোর ধারায় রূপের পাগল-ঝোরা।।
শ্রীমতি ও শ্রীহরি খেলিছে এক অঙ্গে,
দেব-দেবী নর-নারী গাহে স্তব এক সঙ্গে।
	গঙ্গা জোয়ার জাগে
	তাহারি অনুরাগে,
ফিরে এলো কি নদীয়ায় ব্রজের ননী-চোরা।।

পিয়া পিয়া পিয়া পাপিয়া পুকারে

বাণী

পিয়া পিয়া পিয়া পাপিয়া পুকারে।
চোখ গেল বিরহিণীর বধূর মনের কথা —
	কাঁদিয়া বেড়ায় বাদল-আঁধারে॥
প্রথম বিরহ অল্প-বয়সী
ভুলি’ গৃহকাজ রহে বাতায়নে বসি’,
পাখির পিয়া-স্বর বুকে তার তোলে ঝড় —  
	অঞ্চলে আঁখি-জল মোছে বারে বারে ॥
পরেনি বেশ, বাঁধেনি কেশ ম্লান-মুখী দীপালিকা,
নীরব দেহে যেন শুকায়ে যায় ওগো মালতীর মালিকা।
বনের বিহঙ্গ ছাড়ি’ বিহগীরে
যায় না বিদেশে, রহে সুখ-নীড়ে,
বলো কেমনে, ওগো প্রেমের বিধাতা —
	বিরহ-দাহ সহি’ হিয়ার মাঝারে ॥

সই কই লো আমার ঘর নিকোবার

বাণী

স্ত্রী	:	সই কই লো আমার ঘর নিকোবার ন্যাতা।
পুরুষ	:	আহা ন্যাতা নয় গো শীতের কাঁথা এই যে আমি হেথা॥
স্ত্রী	:	সই-লো ওলো সই, আমার ছাই ফ্যালবার ভাঙাদ কুলো কই ?
পুরুষ	:	কুলোর বাতাস চুলোর ছাই
		স্বামী বলো কিম্বা ভাই, (ওলো) এই যে তোমার আমি।
উভয়ে	:	মিলেছি রাজ যোটক দুয়ে
পুরুষ	:	গিঁটে বাত ওরে বাবা রে বাবা গিঁটে বাত
স্ত্রী	:	আর ফিকের ব্যথা, ওরে মা রে, মা আর ফিকের ব্যথা॥
		ওলো সই বাপের বাড়ি যাব আমি এ ঘরে রব না,
পুরুষ	:	দেখো পুরুষের রাগ করে আনাগোনা
		আমিও যাব শ্বশুর বাড়ি, ওরে রেমো নিয়ে আয় ব্যাগ ছাতা।
উভয়ে	:	নথে এবং নাথে এম্‌নি যুদ্ধ।
পুরুষ	:	গুঁতোগুতি
স্ত্রী	:	জড়াজড়ি
পুরুষ	:	ছাতা-ছড়ি
স্ত্রী	:	খুনতি-বেড়ী
উভয়ে	:	হাতা॥

রুম্ ঝুম্ বাদল আজি বরষে

বাণী

রুম্ ঝুম্ বাদল আজি বরষে
আকুল শিখি নাচে ঘন দরশে॥
বারির দরশনে আজি ক্ষণে ক্ষণে
নব নীরদ শ্যাম রূপে পড়ে মনে
না-জানি কোন্ দেশে কোন্ প্রিয়া সনে
রয়েছে ভুলিয়া নটবর সে॥

ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ

বাণী

ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ।।
গেলেন মদিনা যবে হিজরতে হজরত
মদিনা হলো যেন খুশিতে জিন্নত,
ছুটিয়া আসিল পথে মর্দ ও আওরত
লুটায়ে পায়ে নবীর, গাহে সব উম্মত
ঐ হের রসুলে-খোদা এলো ঐ।।
হাজার সে কাফের সেনা বদরে,
তিন শত তের মমিন এধারে;
হজরতে দেখিল যেই, কাঁপিয়া ডরে
কহিল কাফের সব তাজিমের স্বরে
ঐ হের রসুলে-খোদা এলো ঐ।।
কাঁদিয়া কেয়ামতে গুনাহগার সব,
নবীর কাছে শাফায়তী করিবেন তলব,
আসিবেন কাঁদন শুনি সেই শাহে আরব
অমনি উঠিবে সেথা খুশির কলরব
ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ।।