ভালোবাসায় বাঁধব বাসা

বাণী

উভয়ে	: 	ভালোবাসায় বাঁধব বাসা
			আমরা দু'টি মাণিক-জোড়।
			থাকব বাঁধা পাখায় পাখায়
			মাখামাখি প্রেম-বিভোর।। 
পুরুষ		:	আমার বুকে যত মধু
স্ত্রী		:	আমার বুকে ঢালবে বঁধু
পুরুষ		:	আমি 	কাঁদব যখন দুখে
স্ত্রী		:	আমি 	মুছাব সে নয়ন-লোর।।
পুরুষ		:	আমি	যদি কভু মনের ভুলে
				তোমায় প্রিয় থাকি ভুলে,
স্ত্রী		:	আমি	রইব তাতেই ফুলের মালায়
			লুকিয়ে যেমন থাকে ডোর।
উভয়ে	:	মোরা	নীল গগনের নীল স্বপনে
			চির-কালের চাঁদ-চকোর।। 

তোমার নাম নিয়ে খোদা আমি যে কাজ করি

বাণী

		তোমার নাম নিয়ে খোদা আমি যে কাজ করি।
		আমার তা’তে নাই লাজ ভয় মরি কিম্বা তরি।।
		আমার ভালো মন্দ তুমি খোদা জানো,
(তাই)	দুখের শমন দিয়ে এমন বুকের কাছে টানো, (খোদা)
(আমি)	দুঃখ দেখে তোমার থেকে না যেন যাই সরি’।।
		সুখ-দুঃখ যশ নিন্দা মান ও অপমান
		আমার ব’লে নাইতো কিছু সবই তোমার দান,
(যত)		বাইরে আঘাত আসে তত তোমায় যেন ধরি।।
(এই)		ফেরেববাজীর দনিয়া ভরা কেবল মায়া ফাঁকি
(তাই)	তোমার নামের বাতি জ্বেলে বুকের কাছে রাখি,
		ঐ নামের আঁচের আমি যেন মোমের মত ঝরি।
খোদা		তোমার প্রেমে গ’লে যেন মোমের মত ঝরি।।

ঘুমে জাগরণে বিজড়িত প্রাতে

বাণী

ঘুমে জাগরণে বিজড়িত প্রাতে।
কে এলে সুন্দর আমারে জাগাতে।।
শাখে শাখে ফুলগুলি হাসিছে নয়ন মেলি’
শিহরিছে উপবন ফুলেল হাওয়াতে।।
দেখিনি তোমায় তবু অন্তর কহে,
ছিলে তুমি লুকায়ে আমার বিরহে।
চম্পার পেয়ালায় রস উছলিয়া যায় —
ঝরিয়া পড়ার আগে ধর তা’রে হাতে।।

ওমা নির্গুণেরে প্রসাদ দিতে

বাণী

ওমা	নির্গুণেরে প্রসাদ দিতে তোর মত কেউ নাই।
তোর	পায়ে মা তাই রক্তজবা গায়ে শ্মশান-ছাই।।
		দৈত্য-অসুর হনন ছলে
		ঠাঁই দিস্ তুই চরণ তলে,
আমি	তামসিকের দলে মা গো তাই নিয়েছি ঠাঁই।।
	কালো ব’লে গৌরী তোরে কে দিয়েছে গালি,
(ওমা)	ত্রিভুবনের পাপ নিয়ে তোর অঙ্গ হ’ল কালি।
		অপরাধ না করলে শ্যামা
		ক্ষমা যে তোর পেতাম না মা,
(আমি)	পাপী ব’লে আশা রাখি চরণ যদি পাই।।

বল্ মা শ্যামা বল্ তোর বিগ্রহ কি মায়া জানে

বাণী

	বল্ মা শ্যামা বল্ তোর বিগ্রহ কি মায়া জানে।
আমি	যত দেখি তত কাঁদি ঐ রূপ দেখি মা সকলখানে॥
	মাতৃহারা শিশু যেমন মায়ের ছবি দেখে,
	চোখ ফিরাতে নারে মাগো, কাঁদে বুকে রেখে।
তোর	মূর্তি মোরে তেমনি ক’রে টানে মাগো মরণ টানে॥
ও-মা,	রাত্রে নিতুই ঘুমের ঘোরে দেখি বুকের কাছে,
যেন,	প্রতিমা তোর মায়ের মত জড়িয়ে মোরে আছে।
	জেগে উঠে আঁধার ঘরে
	কাঁদি যবে মা তোরই তরে
দেখি	প্রতিমা তোর কাঁদছে যেন চেয়ে চেয়ে আমার পানে॥

একেলা গোরী জল্‌কে চলে গঙ্গাতীর

বাণী

একেলা গোরী জল্‌কে চলে গঙ্গাতীর
অঙ্গে ঢুলিয়া পড়ে লালসে অলস সমীর।।
কাঁকনে কলসে বাজে
কত কথা পথ মাঝে
		আঁচল চুমিছে শিশির।।
তটিনীতে চলে কি গো
সোনার বরণ মায়া-মৃগ
		নয়নে আবেশ মদির।।