আবির-রাঙা আভীরা নারী সনে

বাণী

আবির-রাঙা আভীরা নারী সনে কৃষ্ণ কানাই খেলে হোলি।
হোরির মাতনে চুড়ি ও কাঁকনে উঠিছে কল-কাকলি।।
শ্যামল তনু হ’ল রাঙা আবিরে রেঙে,
ইন্দ্রধনু-ছটা যেন কাজল মেঘে,
				রাঙিল রঙে নীল চোলি।।
লহু লহু হাসে মুহু মুহু ভাসে রাঙা কুঙ্কুম ফাগের রাগে,
দোঁহে দুহু ধরি’ মারে পিচকারি চাঁদ-মুখে কলঙ্ক জাগে।
অঙ্গে অপাঙ্গে অনঙ্গ-রঙ্গিমা ইঙ্গিতে উঠিছে উছলি’।।

মাগো তোরি পায়ের নূপুর বাজে

বাণী

মাগো তোরি পায়ের নূপুর বাজে
এই বিশ্বের সকল ধ্বনির মাঝে।।
জীবের ভাষায় পাখির মধুর গানে,
সাগর রোলে নদীর কলতানে
সমীরণের মরমরে শুনি সকাল সাঁঝে।।
আমার প্রতি নিঃশ্বাসে মা রক্তধরার মাঝে
প্রাণের অনুরণনে তোর চরণধ্বনি বাজে।
গভীর প্রণব ওঙ্কারে তোর কালি (মা গো মহাকালী)
সেই নৃত্যলীলার স্তবগাথা গান চরণতলে নটরাজে।।

সুনয়না চোখে কথা ক’য়ে যায়

বাণী

সুনয়না চোখে কথা ক’য়ে যায়
বনের রানী, দুটি ফুলে শুনি
নয়ন ফাঁকে প্রাণ লুকিয়ে চায়॥
দেহ দেউলে, দুটি দীপ দুলে
হেরি সারা অন্তর তায়॥

বিরহের গুলবাগে মোর ভুল ক'রে আজ

বাণী

বিরহের গুলবাগে মোর ভুল ক'রে আজ ফুটলো কি বকুল।
অবেলায় কুঞ্জবীথি মুঞ্জরিতে এলে কি বুলবুল।
এলে কি পথ ভুলে মোর আঁধার রাতে ঘুম-ভাঙানো চাঁদ,
অপরাধ ভুলেছ কি, ভেঙেছে কি অভিমানের বাঁধ।
মরণ আজ মধুর হলো পেয়ে তব চরণ রাতুল।।
ওগো প্রদীপ নিভে আসে ইহারি ক্ষীণ আলোকে,
দেখে নিই শেষ দেখা যত সাধ আছে চোখে।
হে চির-সুন্দর মোর, বিদায়-সন্ধ্যা মম
রাঙালে এ কি রঙে উদয় ঊষার সম
ঝ'রে পড়ুক তব পায়ে আমার এই জীবন-মুকুল।।

নয়ন যে মোর বারণ মানে না

বাণী

নয়ন যে মোর বারণ মানে না।
বারণ মানে না মন কাঁদন মানে না।।
	নিশিদিন তব আশে
	আছি চেয়ে পথ পাশে
দুকূল বেয়ে সলিল আসে কাজল মানে না।।
	সবার মাঝে থেকেও একা
আমি	তাই তো তোমার চাই গো দেখা,
মরম যে গো, তোমায় ছাড়া কারেও জানে না।।

ভাদরের ভরা নদীতে ভাসায়ে

বাণী

ভাদরের ভরা নদীতে ভাসায়ে কেতকী পাতার তরণী কে আসে গো।
বলাকার রঙ পালক কুড়ায়ে বাহি-ছায়া-পথ-সরণী কে আসে গো।।
		দলি শাপলা শালুক শতদল
		আসে রাঙায়ে কাহার পদতল,
নীল লাবনি ঝরায়ে ঢলঢল — ভরাইয়া সারা ধরণী কে আসে গো।।
		মৃদু মধুর মধুর হাসিয়া
		সমীরণ সম ভাসিয়া,
আসে কারে ভালোবাসিয়া — বলো কার মনোহরণী কে আসে গো।