যোগী শিব শঙ্কর ভোলা দিগম্বর

বাণী

যোগী শিব শঙ্কর ভোলা দিগম্বর
ত্রিলোচন দেবাদিদেব ধ্যানে সদা মগন॥
চির শ্মশানচারী অনাদি সমাধিধারী
স্তব্ধ ভয়ে চরণে তাঁরি প্রণতি করে গগন॥
ত্রিশূল-বিষাণ রহে পড়িয়া পাশে
ললাটে শশী নাহি হাসে
গঙ্গা তরঙ্গ-হারা ভীত ভুবন।
ত্রাহি হে শম্ভু শিব, ত্রাসে কাঁপে জড় ও জীব
ভোলো এ ভীষণ তপ গাহিতেছে সঘন॥

দেবতা গো দ্বার খোলো

বাণী

দেবতা গো, দ্বার খোলো।
অভিসার নিশি বাহির দুয়ারে দাঁড়ায়ে প্রভাত হ’ল॥
	পাষাণের আবরণে তুমি যদি
	এমনি গোপন রবে নিরবধি,
বেণুকার সুরে হৃদি যমুনায় কেন এ লহর তোলো॥
আর	সহিতে পারি না একা,
প্রাণে	কেন দিয়ে আশা এত ভালোবাসা
যদি	নাহি দিবে দেখা।
	বহিতে পারি না আর এই ভার,
	এই ফুল সাজ পূজা-সম্ভার
তুমি	দেখা দেও একবার দেখা দেও —
দেখা	দিয়ে চিরতরে মোরে ভোলো॥

কে পরালো মুণ্ডমালা আমার শ্যামা-মায়ের গলে

বাণী

কে পরালো মুণ্ডমালা আমার শ্যামা-মায়ের গলে।
সহস্র দল জীবন কমল দোলে রে যার চরণ-তলে।।
	কে বলে মোর মা-কে কালো,
	মায়ের হাসি দিনের আলো
মায়ের আমার গায়ের জ্যোতি গগন পবন জলে স্থলে।।
শিবের বুকে চরণ যাঁহার কেশব যাঁরে পায় না ধ্যানে,
শব নিয়ে সে রয় শ্মশানে কে জানে কোন অভিমানে।
	সৃষ্টিরে মা রয় আবরি'
	সেই মা নাকি দিগম্বরী?
তাঁরে অসুরে কয় ভয়ঙ্করী ভক্ত তাঁয় অভয়া বলে।।

জ্যোতির্ময়ী মা এসেছে আঁধার আঙিনায়

বাণী

জ্যোতির্ময়ী মা এসেছে আঁধার আঙিনায়।
ভুবনবাসী ছেলেমেয়ে আয় রে ছুটে আয়॥
আনন্দ আজ লুট হতেছে কে কুড়াবি আয়,
আনন্দিনী দশভূজা দশ হাতে ছড়ায়,
মা অভয় দিতে এলো ভয়ের অসুর’ দ’লে পায়॥
বুকের মাঝে টইটম্বুর ভরা নদীর জল,
ওরে দুলছে টলমল, ওরে করছে ঝলমল।
ঝিলের জলে ফুটল কত রঙের শতদল
	ছুঁতে মায়ের পদতল।
দেব সেনারা বাইচ্ খেলে রে আকাশ গাঙের স্রোতে,
সেই আনন্দে যোগ দিবি কে? আয় রে বাহির পথে,
আর দেব না যেতে মাকে রাখব ধ’রে পায়
মাতৃহারা মা পেলে কি ছাড়তে কভু চায়॥

কে দুয়ারে এলে মোর তরুণ ভিখারি

বাণী

কে দুয়ারে এলে মোর তরুণ ভিখারি
কি যাচে ও আঁখি বুঝিতে যে নারি॥
হৃদি প্রাণ মন বিভব রতন
ডারিনু চরণে লহ পথচারী॥
দুয়ারে মোর নিতি গেয়ে যায় যে গীতি
নিশিদিন বুকে বেঁধে তারি স্মুতি।
কি দিয়ে এ ব্যথা নিবারিতে পারি॥
মিলন বিরহ যা চাও প্রিয় লহ
দাও ভিখারিনী বেশ দাও ব্যথা অসহ
মোর নয়নে দাও তব নয়ন বারি॥

নাটকঃ ‘আলেয়া’

দেবযানীর মনে প্রথম প্রীতির কলি জাগে

বাণী

দেবযানীর মনে প্রথম প্রীতির কলি জাগে।
কাঁপে অধর-আঁখি অরুণ অনুরাগে।।
	নব-ঘন-পরশে
	কদম শিহরে যেন হরষে,
ভীরু বুকে তা’র তেমনি শিহরণ লাগে।।
দেব-গুরু-কুমার ভোলে সঞ্জীবনী-মন্ত্র,
তপোবনে তার জাগে ব্যাকুল বসন্ত।
	নব-সুর-ছন্দ
	আনিল অজানা আনন্দ,
পূজা-বেদী তার রাঙিল চন্দন-ফাগে।।

১. হরষণ