এলো শোকের সেই মোহর্রম কারবালার
বাণী
এলো শোকের সেই মোহর্রম কারবালার স্মৃতি ল’য়ে। কাঁদিছে বিশ্বের মুসলিম সেই ব্যথায় বেতাব হয়ে।। মনে পড়ে আসগরে আজি পিয়াসা দুধের বাচ্চায় পানি চাহিয়া পেল শাহাদৎ হোসেনের বুকে র’য়ে।। একহাতে বিবাহের কাঙন একহাতে কাশেমের লাশ, বেহোঁশ্ খিমাতে সকিনা অসহ বেদনা স’য়ে।। পাশে শহীদ কাঁদে বীর জব্বার পানির মশক মুখে হল শহীদ কাঁদে জয়নব কুলসুম আকুল হয়ে।। শূন্য পিঠে কাঁদে দুলদুল্ হজরত হোসেন শহীদ্, ঝরিতেছে শোকের বারিষ্ আসমান জমিন ছেয়ে।।
প্রিয়তম হে আমি যে তোমারি
বাণী
প্রিয়তম হে, আমি যে তোমারি চির-আরাধিকা। তব নাম গেয়ে প্রেম-বৃন্দাবনে ফিরি ব্রজ-বালিকা।। মম নয়ন দুটি তব দেবালয়ে জ্বলে নিশিদিন আরতি-প্রদীপ হয়ে নাম-কলঙ্ক তব হরি-চন্দন মোর গলার মালিকা।। মোরে শরণ দাও তব চরণে কর অবনমিতা, জনমে জনমে হয়ো প্রভু তুমি, আমি হব দয়িতা। শুধু নাম শুনি, নাথ মনে মনে আমি স্বয়ম্বরা হয়েছি গোপনে, বড় সাধ প্রাণে র’ব তোমারি ধ্যানে হব শ্যাম-সাধিকা।।
খোদা এই গরীবের শোন শোন মোনাজাত
বাণী
খোদা এই গরীবের শোন শোন মোনাজাত। দিও তৃষ্ণা পেলে ঠান্ডা পানি ক্ষুধা পেলে লবণ-ভাত।। মাঠে সোনার ফসল দিও, দিও গৃহ ভরা বন্ধু প্রিয়, দিও হৃদয় ভরা শান্তি দিও – (খোদা) সেই তো আমার আবহায়াত।। আমায় দিয়ে কারুর ক্ষতি হয় না যেন দুনিয়ায়, আমি কারুর ভয় না করি, মোরেও কেহ ভয় না পায়, খোদা। (যবে) মস্জিদে যাই তোমারি টানে (যেন) মন নাহি ধায় দুনিয়া পানে আমি ঈদের চাঁদ দেখি যেন আস্লে দুখের আঁধার রাত।।
তোমার কথার পারাবতগুলি
বাণী
তোমার কথার পারাবতগুলি আকাশে উড়িয়া যায়। অঞ্চল মেলি’ চঞ্চল মন তাহারে ধরিতে চায়।।১ ব্যাকুল বক্ষে কোন্ তরুণীর উহারা কি কভু বাঁধিবে না নীড়? (ওরা) শূন্য মনের কথা কি গো তাই শূন্যে মিলায় হায়।। গানের আড়ালে ওগো ও-সুরের দেবতা২ কেন এ লুকিয়ে রাখা,৩ কেন কামনার কপোতগুলি ছড়াও দিগ্বিদিকে পরায়ে সুরের পাখা! যে বুকে জাগে এ সুর, এত কথা সারা বিশ্বের বিরহের ব্যথা, বল বল সেথা একটি হৃদয় ঠাঁই কেন নাহি পায়।।
গীতি-আলেখ্য : ‘আকাশবাণী’
১. ভবনে বসিয়া উন্মুখ মন তাহারে ধরিতে চায়, ২. কবি, ৩. থাকা
আসল যখন ফুলের ফাগুন
বাণী
আসল যখন ফুলের ফাগুন, গুল্-বাগে ফুল চায় বিদায়। এমন দিনে বন্ধু কেন বন্ধুজনে ছেড়ে যায়॥ মালঞ্চে আজ ভোর না হতে বিরহী বুলবুল কাঁদে, না ফুটিতে দলগুলি তার ঝর্ল গোলাব হিম-হাওয়ায়॥ পুরানো গুল-বাগ এ ধরা, মানুষ তাহে তাজা ফুল, ছিঁড়ে নিঠুর ফুল-মালী আয়ুর শাখা হতে তায়॥ এই ধূলিতে হল ধূলি সোনার অঙ্গ বে-শুমার, বাদশা অনেক নূতন বধূ ঝরল জীবন-ভোরবেলায়॥ এ দুনিয়ার রাঙা কুসুম সাঁজ না হতেই যায় ঝ’রে, হাজার আফ্সোস, নূতন দেহের দেউল ছেড়ে প্রাণ পালায়॥ সামলে চরণ ফেলো পথিক, পায়ের নিচে মরা ফুল আছে মিশে এই সে ধরার গোরস্থানে এই ধূলায়॥ হল সময় — লোভের ক্ষুধা মোহন মায়া ছাড় হাফিজ, বিদায় নে তো ঘরের কাছে দূরের বঁধূ ডাকছে আয়॥