আমার সুরের ঝর্না-ধারায়
বাণী
আমার সুরের ঝর্না-ধারায় করবে তুমি স্নান। ওগো বধূ! কণ্ঠে আমার তাই ঝরে এই গান।। কেশে তোমার পর্বে বালা তাই গাঁথি এই গানের মালা, তোমার টানে ভাব-যমুনায় বহিছে উজান।। আমার সুরের ইন্দ্রাণী গো, উঠ্বে তুমি ব’লে, নিত্য বাণীর সিন্ধুতে মোর মন্থন তাই চলে। সিংহাসনের সুর-সভাতে বসবে রানীর মহিমাতে, সৃজন করি’ সেই গরবে সুরের পরীস্থান।।
বন-মল্লিকা ফুটিবে যখন গিরি-ঝর্নার তীরে
বাণী
বন-মল্লিকা ফুটিবে যখন গিরি-ঝর্নার তীরে। সেই চৈতালি গোধূলি-লগনে এসো তুমি ধীরে ধীরে — গিরি-ঝর্নার তীরে।। বনের কিশোর এসো সেথা হেসে হেসে সাজায়ো আমায় বন-লক্ষ্মীর বেশে, ধোওয়াব তোমার চরণ-কমল বিরহ-অশ্রু নীরে।। ঘনায়ে গহন সন্ধ্যার মায়া আসিও সোনার রথে, অতি সুকোমল শিঁরিশ, কুসুম বিছায়ে রাখিব পথে। মালতী-কুঞ্জে ডাকিবে পাপিয়া পাখি তুমি এসে বেঁধো আলোক-লতার রাখি, ভ্রমরের সম পিপাসিত মোর আঁখি কাঁদিবে তোমারে ঘিরে।।
ঘনশ্যাম কিশোর নয়ন-আনন্দ
বাণী
ঘনশ্যাম কিশোর নয়ন-আনন্দ ব্রজপুর চন্দ শ্রী ব্রজপুর চন্দ। বনমালা-ভূষিত কৌস্তুভ শোভিত শ্রীচরণে ঝংকৃত নূপুর-ছন্দ।। অলকা-তিলক-ধারী কানন-বিহারী শিরে শিখী-পাখা বামে রাধা-প্যারী, বিকশিত ফুলে যাঁর তনুর সুগন্ধ।। কদম্ব-মূলে যমুনার কূলে বাঁশরি বাজায়ে নাচে হেলে দুলে, যাঁর প্রেমে গোপিনীরা কেঁদে হ’ল অন্ধ।। সেই হরি মম, সখা প্রিয়তম (সে) হৃদয়ে উদয় হ’য়ে হাসে মৃদু-মন্দ।।
কত আর এ মন্দির দ্বার হে প্রিয় রাখিব খুলি
বাণী
কত আর এ মন্দির দ্বার, হে প্রিয়, রাখিব খুলি' বয়ে যায় যে লগ্নের ক্ষণ, জীবনে ঘনায় গোধূলি।। নিয়ে যাও বিদায়-আরতি, হ'ল ম্লান আঁখির জ্যোতি; ঝরে যায় শুষ্ক স্মৃতির মালিকা-কুসুমগুলি।। কত চন্দন ক্ষয় হ'ল হায়, কত ধূপ পুড়িল বৃথায়; নিরাশায় সে পুষ্প কত ও পায়ে হইল ধূলি।। ও বেদী-তলে কত প্রাণ — হে পাষাণ নিলে বলিদান; তবু হায় দিলে না দেখা — দেবতা, রহিলে ভুলি'।।