আজি ঘুম নহে নিশি জাগরণ
বাণী
আজি ঘুম নহে, নিশি জাগরণ। চাঁদেরে ঘিরি’ নাচে ধীরি ধীরি তারা অগণন।। প্রখর-দাহন দিবস-আলো, নলিনী-দলে ঘুম তখনি ভালো। চাঁদ চন্দন চোখে বুলালো খোলো গো নিঁদ-মহল-আবরণ।। ঘুরে ঘুরে গ্রহ, তারা, বিশ্ব, আনন্দে নাচিছে নাচুনি ঘূর্ণির ছন্দে। লুকোচুরি-নাচ মেঘ তারা মাঝে নাচিছে ধরণী আলোছায়া-সাজে, ঝিল্লির ঘুমুর ঝুমুঝুমু বাজে খুলি’ খুলি’ পড়ে ফুল-আভরণ।।
তিমির বিদারী অলখ-বিহারী কৃষ্ণ মুরারি
বাণী
তিমির বিদারী অলখ-বিহারী কৃষ্ণ মুরারি আগত ঐ টুটিল আগল নিখিল পাগল সর্বসহা আজি সর্বজয়ী।। বহিছে উজান অশ্রু-যমুনায় হৃদি-বৃন্দাবনে আনন্দ ডাকে, (ওরে) ‘আয়’, বসুধা যশোদার স্নেহধার উথলায় (ওগো) কাল্-রাখাল নাচে থৈ-তা-থৈ।। বিশ্ব ভরি' ওঠে স্তব নমো নমঃ অরির পুরী-মাঝে এলো অরিন্দম। ঘিরিয়া দ্বার বৃথা জাগে প্রহরী জন বন্ধ কারায় এলো বন্ধ-বিমোচন, ধরি' অজানা পথ আসিল অনাগত জাগিয়া ব্যথাহত ডাকে, মাভৈঃ।।
দোলে বন-তমালের ঝুলনাতে
বাণী
দোলে বন-তমালের ঝুলনাতে কিশোরী-কিশোর চাহে দুঁহু দোঁহার মুখপানে চন্দ্র ও চকোর, যেন চন্দ্র ও চকোর প্রেম-আবেশে বিভোর।। মেঘ-মৃদঙ বাজে সেই ঝুলনের ছন্দে রিম ঝিম বারিধারা ঝরে আনন্দে হেরিতে যুগল শ্রীমুখ চন্দে গগনে ঘেরিয়া এলো ঘন-ঘটা ঘোর।। নব নীরদ দরশনে চাতকিনী প্রায় ব্রজ-গোপিনী শ্যামরূপে তৃষ্ণা মিটায় গাহে বন্দনা-গান দেব-দেবী অলকায় ঝরে বৃষ্টিতে সৃষ্টির প্রেমাশ্রু-লোর।।
বাঁকা চোখে চাহে ও কে
বাণী
বাঁকা চোখে চাহে ও কে ওকি ভয়ে, না লাজে, না ভালোবাসায়? বটের ঝুরি ধ’রে হেসে তাকায় দীঘির জলে কভু কল্সি ভাসায়॥ (আমার) পাখি শিকার দেখে তাহার আঁখি ছলছল যেন দুটি ঝিনুক ভরা কাজলা দীঘির জল তার আঁজলা ভরা শাপলা কাঁপে টলমল্ গো সে বাঁকিয়ে জোড়া ভুরু মোরে শাসায়॥ কভু এলায়ে গা বাঁধে খোঁপা কোমরে জড়ায় আঁচল মট্কায় আঙুল, কভু ঘসে সে পা গো কভু জলে ডোবে কভু সাঁতার কাটে নানান ছলে সে দেরি করে জলের ঘাটে মোরে জানায় যেন ও সে আছে ব’সে কাহার আসার আশায়॥