বাণী

সো’জা সো’জা সো’জা জগ নরনারী
বাদল গ্যর‍্যজো বিজলি চ্যম্যকে
র‍্যজ্যনী হো রহ্ আঁধিয়ারী।।

নাটিকাঃ ‘জন্মষ্টমী’

বাণী

বেদনার সিন্ধু-মন্থন শেষ, হে ইন্দ্রানী,
জাগো, জাগো করে সুধা-পাত্রখানি।।
রোদন-সায়রে ধুয়ে পুষ্পতনু
এসো অশ্রুর বরষার ইন্দ্র-ধনু,
হের কুলে অনুরাগে জীবন-দেবতা জাগে
	ধরিবে বলিয়া তব পদ্মপাণি।।
তব দুখ-রাত্রির তপস্যা শেষ- এলো শুভ দিন,
অতল-তমসা-লক্ষ্মী গো তুমি অমরার
এসো এসো পার হ'য়ে ব্যথার পাথার।
অশ্রুত অশ্রুর নীরবতা কর দূর
	কূলে কূলে হাসির তরঙ্গ হানি।।

বাণী

এসো কল্যাণী চির-আয়ুষ্মতী।
তব নির্মল করে ভবন-প্রদীপ জ্বালো জ্বালো জ্বালো সতী।।
মঙ্গল-শঙ্খ বাজাও বাজাও সুমঙ্গলা
সকল অকল্যাণ সকল অমঙ্গল কর দূর (শুভ) সমুজ্জ্বলা!
এ মাটির কুটিরে দূর আকাশের অরুন্ধতী।।
এসো লক্ষ্মী গৃহের আঁকো অঙ্গনে মঙ্গল আল্‌পনা
তব পুণ্য-পরশ দিয়ে ধূলি-মুঠিরে কর গো সোনা,
তুমি দেবতার শুভ বর মূর্তিমতী।।
স্নান-শুদ্ধা তুমি পূজা-দেউলে যবে কর আরতি,
আনত আকাশ যেন তব চরণে করে প্রণতি।
	তব কুণ্ঠিত গুণ্ঠন-তলে
	চির শান্তির ধ্রবতারা জ্বলে,
সংসার অরণ্যে ধ্যান-মগ্না তুমি তপতী।।

বাণী

রুম্ ঝুম্ বাদল আজি বরষে
আকুল শিখি নাচে ঘন দরশে॥
বারির দরশনে আজি ক্ষণে ক্ষণে
নব নীরদ শ্যাম রূপে পড়ে মনে
না-জানি কোন্ দেশে কোন্ প্রিয়া সনে
রয়েছে ভুলিয়া নটবর সে॥

বাণী

নয়নে তোমার ভীরু মাধুরীর মায়া
বন-মৃগী সম উঠিছ চমকি' হেরিয়া আপন ছায়া।।
	প্রাতে ঊষার প্রায়
	রেঙে ওঠো লজ্জায়,
এলায়িত লতিকায় ভঙ্গুর তব কায়া।।
দৃষ্টিতে তব আরতি-দীপের দ্যুতি
তুমি নিবেদিতা সন্ধ্যা-পূজা-আরতি।
	ভূমি অবলুণ্ঠিতা
	বনলতা কুণ্ঠিতা
কোলাহল-শঙ্কিতা যেন গো তাপস-জায়া।।

বাণী

জাগো ভারত রানী ভারতজন্ তুম্ হে চাহে
গগনমে উঠত যো বাণী সো হি জগজন গাহে॥
		রোবত ভারতকে ন্যরনারী
		বোলাতা জ্যগ মাই হামারী
দুঃখ-দৈন্য ভারতকো ঘেরি তুম অব সেবত কাহে॥
		নীল সিন্ধু তুম্‌হা লাগি
		গ্যরজত ঘন অনুরাগী
কেঁউ নাহি উঠত জাগি যব্ ভারত প্রেম গাহে॥