বেদনার সিন্ধু-মন্থন শেষ হে ইন্দ্রানী
বাণী
বেদনার সিন্ধু-মন্থন শেষ, হে ইন্দ্রানী, জাগো, জাগো করে সুধা-পাত্রখানি।। রোদন-সায়রে ধুয়ে পুষ্পতনু এসো অশ্রুর বরষার ইন্দ্র-ধনু, হের কুলে অনুরাগে জীবন-দেবতা জাগে ধরিবে বলিয়া তব পদ্মপাণি।। তব দুখ-রাত্রির তপস্যা শেষ- এলো শুভ দিন, অতল-তমসা-লক্ষ্মী গো তুমি অমরার এসো এসো পার হ'য়ে ব্যথার পাথার। অশ্রুত অশ্রুর নীরবতা কর দূর কূলে কূলে হাসির তরঙ্গ হানি।।
এসো কল্যাণী চির-আয়ুষ্মতী
বাণী
এসো কল্যাণী চির-আয়ুষ্মতী। তব নির্মল করে ভবন-প্রদীপ জ্বালো জ্বালো জ্বালো সতী।। মঙ্গল-শঙ্খ বাজাও বাজাও সুমঙ্গলা সকল অকল্যাণ সকল অমঙ্গল কর দূর (শুভ) সমুজ্জ্বলা! এ মাটির কুটিরে দূর আকাশের অরুন্ধতী।। এসো লক্ষ্মী গৃহের আঁকো অঙ্গনে মঙ্গল আল্পনা তব পুণ্য-পরশ দিয়ে ধূলি-মুঠিরে কর গো সোনা, তুমি দেবতার শুভ বর মূর্তিমতী।। স্নান-শুদ্ধা তুমি পূজা-দেউলে যবে কর আরতি, আনত আকাশ যেন তব চরণে করে প্রণতি। তব কুণ্ঠিত গুণ্ঠন-তলে চির শান্তির ধ্রবতারা জ্বলে, সংসার অরণ্যে ধ্যান-মগ্না তুমি তপতী।।