বাণী

পুরুষ 	: 	পরান হরিয়া ছিলে পাশরিয়া
		কেমনে প্রিয়া আনন্দে (হায়)।
স্ত্রী 	: 	হায় ছিনু কি যেন স্বপনে মগ্না,
পুরুষ 	: 	হায় আজি হবে কি এ কণ্ঠলগ্না,
স্ত্রী 	: 	না — না — 
পুরুষ	 : 	হায় ফুল ফুটবে নাকি এ বসন্তে,
স্ত্রী 	: 	না — না — 
উভয়ে 	: 	হায় বাঁশরি বাজে ব্যাকুল ছন্দে,
		ফুল জাগানো হাওয়ার সাথে।
পুরুষ 	: 	মালঞ্চে পাপিয়া উঠিছে ডাকয়িা
স্ত্রী 	: 	বিরহিণী হিয়া উঠিছে কাঁপিয়া,
পুরুষ 	: 	হৃদয় চাপিয়া থেকো না আর
		খোল গো মনের দ্বার
স্ত্রী 	: 	মুখে আসে না বুকের ভাষা,
		ওগো কেমনে জানাই ভালোবাসা 
পুরুষ 	: 	প্রেমের দরিয়া ওঠে উছলিয়া
স্ত্রী 	: 	কে করে সে-প্রেমের আশা
পুরুষ 	: 	চাও — চাও — 
স্ত্রী 	: 	যাও — যাও — 
উভয়ে 	: 	খেলিব দুজনে মানে অভিমানে
			এমনি মধুর দ্বন্দ্বে (হায়)।।

বাণী

		ইয়া আল্লাহ, তুমি রক্ষা কর দুনিয়া ও দ্বীন।
		শান-শওকতে হোক পূর্ণ আবার নিখিল মুসলেমিন।
			আমিন আল্লাহুম্মা আমিন।।
(খোদা)	মুষ্টিমেয় আরববাসী যে ঈমানের জোরে
তোমার	নামের ডঙ্কা বাজিয়েছিল দুনিয়াকে জয় ক’রে
(খোদা)	দাও সে ঈমান, সেই তরক্কী, দাও সে একিন।
			খোদা দাও সে একিন।
			আমিন আল্লাহুম্মা আমিন।।
হায়!		যে-জাতির খলিফা ওমর শাহানশাহ হয়ে
		ছেঁড়া কাপড় প’রে গেলেন উপবাসী র’য়ে
		আবার মোদের সেই ত্যাগ দাও, খোদা
		ভোগ-বিলাসে মোদের জীবন ক’রো না মলিন।
			আমিন আল্লাহুম্মা আমিন।।
(খোদা)	তুমি ছাড়া বিশ্বে কারো করতাম না ভয়
		তাই বিশ্বে হয়নি মোদের কভু পরাজয়
		দাও সেই দিক্ষা শক্তি সেই ভক্তি দ্বিধাহীন।
			আমিন আল্লাহুম্মা আমিন।।

বাণী

		এবার যখন উঠ্‌বে সন্ধ্যাতারা — সাঁঝ আকাশে
		দেখতে পাবে দু’টি নতুন তারা — তাহার পাশে।।
			চেয়ে’ দেখ ভালো ক’রে
			কা’র দু’টি চোখ যেন ম’রে,
		তারা হয়ে ধরার পানে চাহে তোমার আঁখি দেখার আশে।।
		যে দু’টি চোখ নিত্য লোকের মাঝে তোমায় দিত লাজ
		পড়বে মনে গো —
		সেই দু’টি চোখ চিরতরে এই পৃথিবী হতে হারিয়ে গেছে আজ।
			পায়নি গো, তাই অভিমানে
			চ’লে গেলে দূর বিমানে,
(দেখো)	সেদিন যেন আজের মত চাইতে ওদের পানে
							দ্বিধা নাহি আসে।।

বাণী

মজনু		:	আবার কেন বাতায়নে দীপ জ্বালিলে, হায়!
			আমার যে প্রাণ-পতঙ্গ ওই প্রদীপ পানেই ধায়॥
লায়লী	:	আমার প্রেম যে অনল শিখা জ্বলে তিমির রাতে
			পতঙ্গরে পোড়াই আমি নিজেও পুড়ি সাথে।
মজনু		:	একি ব্যথা একি নেশা 
			এই কি গো প্রেম গরল-মেশা!
লায়লী	:	তত আলো দান করে সে যত সে জ্বালায়॥

রেকর্ড-নাটিকাঃ ‘লায়লী মজনু’

বাণী

ওকে ট'লে ট'লে চলে একলা গোরী
নব-যৌবনা নীল-বাসনা কাঁখে গাগরি।।
মদির মন্দ বায় অঞ্চল দোলে
খোঁপা খুলে দোলে আকুল কবরী।
তারে ছল ছল দূরে ডাকে নদী
তা'রিনাম যপে পাপিয়া নিরবধি
ডাকে বনের কিশোর বাজায়ে বাঁশরি।।

বাণী

মোরে পূজারি কর তোমার ঠাকুর ঘরে হে ত্রিজগতের নাথ।
মোর সকল দেহ লুটাক তোমার পায়ে (হয়ে) একটি প্রণিপাত।।
	নিত্য যেন তোমারি মন্দিরে
	চিত্ত আমার ব্যাকুল হয়ে ফিরে
গ্রহ যেমন সূর্যলোক ঘিরে ঘুরে দিবস রাত।।
মোর নয়ন যেন তোমারি রূপ হেরে সকল দেখার মাঝে
যেন এ রসনা জপে তোমারি নাম হে নাথ সকল কাজে।
	তোমার চরণ রয় যে শতদলে
	তারি পানে মোর মন যেন চলে
নিত্য তোমায় নমস্কারের ছলে (যেন) যুক্ত থাকে হাত।।