বাণী

ওমা	যা কিছু তুই দিয়েছিলি ফিরিয়ে দিলাম তোকে।
	তুই ছাড়া আর বলতে আপন (কেউ) রইল না ত্রিলোকে।।
	তুই	কোলে নেবার দায় এড়িয়ে
		রেখেছিলি মন ভুলিয়ে খেলনা দিয়ে,
তুই	পালিয়েছিলি ঘুম পাড়িয়ে (মায়ার) কাজল দিয়ে চোখে।।
	কোটি জনম কাট্ল কেঁদে মাগো তোকে ভুলে,
(মা)	তোরে মনে পড়েছে আজ, (এবার) নে মা কোলে তু’লে।
	এই	পুত্র জায়া মায়ার ছবি
		তুই ছাড়া মা মিথ্যা সবই,
	ভুলব না আর এবার আমি জড়াব না দুঃখ-শোকে।।

বাণী

	টারালা টারালা টারালা টা টারালা টারালোল্লা
নাচে	শুটকী শুকনো সাহেবকে ধ'রে মুটকি মিস আরসোল্লা।
		হা-হা- হা-হা- হা।।
	খুরওয়ালা জুতা পরে খটখট ঠেংরী নাড়ে
	চাবুক খেয়ে জোড়া ঘোড়ায় যেন পেছলি ঝাড়ে!
দেখে	পাদ্রি, পুরুত, মোল্লা বাবাজী কাছা খোল্লা।
		আর বাবাজী কাছা খোল্লা।।
দেখে	আণ্ডাওয়ালা ভাবে বুঝি খেল ডাণ্ডাগুলি
হা	গণ্ডার মার্কা ষণ্ডা বিবি খেল ডাণ্ডাগুলি
হা	ভাব-আবেশের নয়ন তাহার হলো নয়ান ঝুলি;
	নেকু বাবুর ঢেকুর ওঠে পেটে মেকুর আচড়ায়!
	কাল্লু ভাবে মেম পালোয়ান সাহেবকে বুঝি পাছড়ায়। ( হায় হায় হায়)
	যতো কাবলিওয়ালা মাউড়া সব হো গিয়া ভাই বাউড়া
	মোষের গাড়োয়ান প্রেম-রসে হলো রসগোল্লা।।

বাণী

প্রাণের ঠাকুর লীলা করে আমার দেহের আঙিনাতে
রসের লুকোচুরি খেলা নিত্য আমার তারই সাথে।।
তারে নয়ন দিয়ে খুঁজি যখন
অন্তরে সে লুকায় তখন
অন্তরে তায় ধরতে গেলে লুকায় গিয়ে নয়ন-পাতে।।
ঐ দেখি তার হাসির ঝিলিক আমার ধ্যানের ললাট-মাঝে
ধরতে গেলে দেখি সে নাই কোন্ সুদূরে নূপুর বাজে।
এত কাছে রয় সে তবু পাই না তারে হাতে হাতে।।

বাণী

হরি হে তুমি তাই দূরে থাক স’রে
হরি প্রভু বলে মোরা দূরে রাখি
পাষাণ দেউলে রাখিয়াছি হায় তোমারে পাষাণ করে॥
তোমায় চেয়েছিল গোপিনীরা
সেদিনও চেয়েছি মীরা ডেকে প্রিয়তম বলে
তোমায় গোপাল বলিয়া ডাকিয়া পাইল যশোদা মা শচী কোলে
অন্তরতম হতে নিশিদিন থাক তুমি অন্তরে॥
দেবতা ভাবিয়া পূজা দিই মোরা তুমি তাহা নাহি খাও
তুমি লুকায়ে ভিখারি সাজিয়া মোদের পাতের অন্ন চাও।
রাখাল ছেলের আধ খাওয়া ফল
কেড়ে খাও তুমি হে চির সজল
মোরা ভয় করি তাই লুকাইয়া থাক তুমি অভিমান ভরে॥

বাণী

হায় আঙিনায় সখি আজো সেই চাঁপা ফোটে।
হায় আকাশে সখি আজো কি সেই চাঁদ ওঠে।।
	সখি তাহার হাতের হেনা গাছে
	বুঝি প্রথম মুকুল ধরিয়াছে।
হায় যমুনায়, বাঁশি বাজে কি আর ছায়ানটে।।
শিয়রে জানালা খুলে দে বাহিরে চাহিয়া দেখি
আমার বাগানে আবার বসন্ত আসিয়াছে কি?
দেখি সে ডালিম ফুলে হায় আছে কি সে রঙ আগেকার।
ও-বাড়ির ছাদের টবে সই বেলফুল ফুটলো কি আবার?
	আজি আসিবে সে মনে লাগে
	তারি আসার আভাস মনে জাগে
হায় বুঝি তাই, মোর মরণ মধুর হয়ে ওঠে।।

বাণী

মালার ডোরে বেঁধো না গো বাহুর ডোরে বাঁধো।
কাঁদোই যদি, আমার বুকে মুখ লুকিয়ে কাঁদো।।
	তোমার পূজার আসন হতে
	নামাও এবার ধূলির পথে,
দেবতা ব’লে সেধো না গো, প্রিয় ব’লে সাধো।।
পূজারিণী, জাগো জাগো — হৃদয় দুয়ার খোলো।
নিবেদনের ফুলে বরণ-মালা গেঁথে তোলো।।