সখি আর অভিমান জানাব না
বাণী
সখি আর অভিমান জানাব না বাস্ব ভালো নীরবে। যে চোখের জলে গল্ল না, (তার) মুখের কথায় কি হবে॥ অন্তর্যামী হয়ে অন্তরে মোর দিবা-নিশি রহে যে চিত-চোর, অন্তরে মোর কোন্ সে-ব্যথা বোঝে না সে, কে ক’বে॥ সখি এবার আমার প্রেম নিবেদন গোপনে, সূর্যমুখী চাহে যেমন তপনে। কুমুদিনী চাঁদে ভালোবাসে তাই চিরদিন অশ্রুর সায়রে ভাসে, চির জীবন জানি কাঁদিতে হবে তাহারে চেয়েছি যবে॥১ ১. শেষ পাঁচ পঙক্তির পাঠ্যন্তর : সখি এবার আমার প্রেম বিবেদন আপন মনে গোপনে, সূর্যমুখী চাহে যেমন চাওয়ার নেশা তপনে। কুমুদিনী চাঁদে ভালোবাসে তাই সে অশ্রু সায়রে ভাসে, হাজার জনম কাঁদিতে হইবে তাহারে চেয়েছি যবে॥
রুমু রুমু রুমু ঝুমু ঝুমু বাজে নূপুর
বাণী
রুমু রুমু রুমু ঝুমু ঝুমু বাজে নূপুর তালে তালে দোদুল দোলে নাচের নেশায় চুর।। চঞ্চল বায়ে আঁচল উড়ায়ে চপল পায়ে ও কে যায় নাটনী কল তটিনীর প্রায় চিনি বিদেশিনী চিনি গো তায় শুনি’ ছন্দ তারি এ হিয়া ভরপুর।। নাচন শিখালে ময়ুর মরালে মরিচী-মায়া মরুতে ছড়ালে বন-মৃগের মন হেসে ভুলালে ডাগর আঁখির নাচে সাগর দুলালে। গিরিদরি বনে গো দোল লাগে নাচনের শুনে তারি সুর।।
আল্লাহ রসুল বোল রে মন আল্লাহ রসুল বোল
বাণী
আল্লাহ রসুল বোল রে মন আল্লাহ রসুল বোল। দিনে দিনে দিন গেল তোর দুনিয়াদারি ভোল।। রোজ কেয়ামতের নিয়ামত এই আল্লাহ-রসুল বাণী তোর আখেরের ভুখের খোরাক পিয়াসের ঐ পানি তোর দিল দরিয়ায় আল্লাহ-রসুল জপের লহর তোল।। তোর স্ত্রী-পুত্র ভাই-বেরাদর কেউ হবে না সাথি আঁধার গোরে রইবি প’ড়ে জ্বালবে না কেউ বাতি। যে নামে হেসে পার হবি তুই পুল-সেরাতের পোল।। (ওরে) হাড়-ভাঙা খাটুনি খেটে ঘুরে ঘুরে পথে আনিস যা তুই লাগবে না তা তোর কাজে আকবতে। যে যে নাম জ’পে পাবি রে তুই মোস্তফারই কোল।।