বাণী

মোহাম্মদ মোর নয়ন-মণি মোহাম্মদ নাম জপমালা।
ঐ নামে মিটাই পিয়াসা ও নাম কওসারের পিয়ালা।।
	মোহাম্মদ নাম শিরে ধরি,
	মোহাম্মদ নাম গলায় পরি,
ঐ নামের রওশনীতে আঁধার এ মন রয় উজালা।।
	আমার হৃদয়-মদিনাতে
	শুনি ও নাম দিনে-রাতে,
ও নাম আমার তস্‌বি হাতে, মন-মরুতে গুলে-লালা।।
	মোহাম্মদ মোর অশ্রু চোখের
	ব্যথার সাথী শান্তি শোকের,
চাইনে বেহেশ্‌ত যদি ও নাম জপ্‌তে সদা পাই নিরালা।।

বাণী

গভীর নিশীথে জাগি’ খুঁজি তোমারে।
দূর গগনে প্রিয় তিমির-‘পারে।।
জেগে যবে দেখি হায় তুমি নাই কাছে
আঙিনাতে ফুটে’ ফুল ঝ’রে পড়ে আছে,
বাণ-বেঁধা পাখি সম আহত এ প্রাণ মম —
লুটায়ে লুটায়ে কাঁদে অন্ধকারে।।
মৌন নিঝুম ধরা, ঘুমায়েছে সবে,
এসো প্রিয়, এই বেলা বক্ষে নীরবে।
কত কথা কাঁটা হ’য়ে বুকে আছে বিঁধে
কত আভিমান কত জ্বালা এই হৃদে,
দেখে যাও এসো প্রিয় কত সাধ ঝ’রে গেল —
কত আশা ম’রে গেল হাহাকারে।।

বাণী

কেন তুমি কাঁদাও মোরে, হে মদিনাওয়ালা!
অবরোধবাসিনী আমি কুলের কুলবালা।।
ঈদের চাঁদের ইশারাতে কেন ডাক নিঝুম রাতে,
হাসিন ইউসুফ! জুলেখারে কত দিবে জ্বালা।।
একি লিপি পাঠালে নাথ কোরানের আয়াতে —
পড়তে গিয়ে অশ্রু-বাদল নামে আঁখি-পাতে।
বাজিয়ে শাহাদতের বাঁশি কেন ডাক নিত্য আসি';
হাজার বছর আগে তোমায় দিয়েছি তো মালা।।

বাণী

চ্যল চ্যল চ্যল ন্যওয্যওয়ান চ্যল্।
ফ্যত্‌হেকি হো ফৌজ তুম্
ব্যহর্ কি হো মৌজ তুম্
ব্যখত্‌কে হো অওজ তুম্
		তুম্‌মে হ্যায় জোর ব্যল্।।
চাক হ্যায় শ্যব কি ন্যকাব
ছোড় দো গ্যফল্যত কা খবাব,
নিকলা ওহ লো আফতাব —
		তুম্‌ভি হো গ্যরমে অ্যস্যল।।
ফ্যয়লনে কো বেকরার
সুরতে নূর অ্যওর নার,
জ্যল জ্যলা আফজা পুকার —
		জলমকি ব্যনফ্যর অ্যম্যল।।
চ্যল মচাকে শোর সাফে দুশম্যন কো তোড় ফোড়
উঠ খ্যড়ে হো সুব্ আজাঁ গ্যফিলিয়ত্ কো ছোড়,
হিম্মত না হারানা আযায়ে গ্যর অ্যয্যল।।

বাণী

ওমা	ফিরে এলে কানাই মোদের এবার ছেড়ে দিস্‌নে তায়।
	তোর সাথে সব রাখাল মিলে বাঁধ্‌ব সে-ননী চোরায়।।
	তা’রে	তুই যখন মা রাখতিস্ বেঁধে
		ছাড়ায়েছি কেঁদে কেঁদে’,
তখন	জান্‌তো কে, যে খুললে বাঁধন পালিয়ে যাবে মথুরায়।।
এবার	আমরা এসে ডাকলে শ্যামে গোঠে যেতে দিস্‌নে তায়,
	ঐ পথে অক্রুর মুনির সাথে পালিয়ে যাবে শ্যামরায়।।
মোরা	কেউ যাব না বনে মা আর খেল্‌ব তার এই আঙিনায়,
শুধু	খেলব লুকোচুরি লো আগ্‌লাতে চোরের রাজায়।।

বাণী

আহ্‌মদের ঐ মিমের পর্দা উঠিয়ে দেখ্ মন।
(আহা) আহাদ সেথা বিরাজ করেন হেরে গুণীজন।।
যে চিন্‌তে পারে রয় না ঘরে হয় সে উদাসী,
সে সকল ত্যজে ভজে শুধু নবীজীর চরণ।।
ঐ রূপ দেখে পাগল হ’ল মনসুর হল্লাজ,
সে ‌‘আনল্ হক্‌’ ‌‘আনল্ হক্‌’ ব’লে ত্যজিল জীবন।।
তুই খোদ্‌কে যদি চিন্‌তে পারিস্‌ চিন্‌বি খোদাকে,
তুই দেখ্‌রে তাই তোরই চোখে সেই নূরী রওশন।।