ঘুমায়েছে ফুল পথের ধূলায়
বাণী
ঘুমায়েছে ফুল পথের ধূলায় (ওগো) জাগিয়ো না উহারে ঘুমাইতে দাও। বনের পাখী ধীরে গাহ গান দখিনা হাওয়া ধীরে ধীরে বয়ে যাও।। এখনো শুকায়নি চোখে তারই জল এখনো আঁধারে হাসি ছলছল প্রভাত রবি শুকায়ো না তায় ধীরে কিরণে তাহারি নয়নে চাও।। সামলে পথিক ফেলিয়ো চরন ঝরেছে হেথায় ফুলেরও জীবন। ভুলিয়া দল না ঝরা পাতাগুলি ফুল সমাধি থাকিতে পারে হেথাও।।
খোদার হবিব হলেন নাজেল
বাণী
খোদার হবিব হলেন নাজেল খোদার ঘর ঐ কাবার পাশে। ঝুঁকে’ প’ড়ে আর্শ কুর্সি, চাঁদ সূরয তাঁয় দেখতে আসে।। ভেঙে পড়ে মূরত মন্দির, লা’ত মানাত, শয়তানী তখ্ত, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’র উঠিছে তক্বির আকাশে।। খুশির মউজ তুফান তোরা দেখে যা মরুভূমে, কোহ-ই-তূরের পাথরে আজ বেহেশ্তী ফুল ফুটে’ হাসে।। য়্যেতিম-তারণ য়্যেতিম হয়ে এলো রে এই দুনিয়ায়, য়্যেতিম মানুষ-জাতির ব্যথা নৈলে বুঝ্ত না সে।। সূর্য ওঠে, ওঠে রে চাঁদ, মনের আঁধার যায় না তায়, হৃদ-গগন যে কর্ল রওশন্, সেই মোহাম্মদ ঐ রে হাসে। আপন পুণ্যের বদ্লাতে যে মাগিল মুক্তি সবার, উম্মতি উম্মতি ক’য়ে দেখ্ আঁখি তাঁর জলে ভাসে।।
আজকে হোরি ও নাগরী
বাণী
[শোন গিন্নী শুন্ছ —] আজকে হোরি ও নাগরী, ওগো গিন্নী ও ললিতে। ফাগের রাঙা জল ভ’রে দাও, ফর্সি হুঁকোর পিচ্কিরিতে॥ গাজর বিট আর লাল বেগুনে, রাঁধবে শালগম তেলে নুনে, রাঙা দেখে লঙ্কা দিও, লাল নটে আর ফুলকারিতে॥ গাইব গান দোল পূর্ণিমাতে, মালোয়ারী জ্বর আসলে রাতে, তুমি দোহার ধ’রবে সাথে, গিঁটে বাতের গিঁটকিরিতে॥ (আর) আমি লাল গামছা প’রে যাবো, লাল বাজারে পায়চারিতে, তুমি যাবে চিড়িয়াখানায়, এই মুখেতে গন্ডার মারিতে॥ (না হয়) তুমি যাও বাপের বাড়ি, পাছুপাছু যাবো আমি ওগো শ্বশুর বাড়িতে পাছু পাছু যাবো তোমার, না হয় শ্বশুর বাড়িতে॥
আমার ভুবন কান পেতে রয়
বাণী
আমার ভুবন কান পেতে রয় প্রিয়তম তব লাগিয়া দীপ নিভে যায়, সকলে ঘুমায় মোর আঁখি রহে জাগিয়া।। তারারে শুধাই, ‘কত দেরি আর কখন আসিবে বিরহী আমার?’ ওরা বলে, ‘হের পথ চেয়ে তার নয়ন উঠেছে রাঙিয়া’।। আসিতেছে সে কি মোর অভিসারে কাঁদিয়া শুধাই চাঁদে মোর মুখপানে চেয়ে চেয়ে চাঁদ নীরবে শুধু কাঁদে। ফাগুন বাতাস করে হায় হায় বলে, বিরহিণী তোর নিশি যে পোহায় ফুল বলে, ‘আর জাগিতে নারি গো ঘুমে আঁখি আসে ভাঙিয়া’।।
ব্রজপুর-চন্দ্র পরমসুন্দর কিশোর লীলা-বিলাসী
বাণী
ব্রজপুর-চন্দ্র পরমসুন্দর, কিশোর লীলা-বিলাসী সখি গো, আমি তা’রই চিরদাসী। অমৃত-রস-ঘন শ্যামল শোভন, প্রেম-বৃন্দাবন-বাসী॥ চাঁচর চিকুরে শিখী-পাখা যার, গলে দোলে বন-কুসুম হার ললাটে তিলক, কপোলে অলক অধরে মৃদু মৃদু হাসি॥ মকর কুন্ডল দোলে শ্রবণে, বোলে মণি-মঞ্জরি রাতুল চরণে চির অশান্ত, চপল কান্ত বিশ্ব সে রূপ-পিয়াসি॥ বক্ষে শ্রীবৎস কৌস্তুভ শোভে, করে মুরলী ভোলে মধুর রবে, পীত বসনধারী সেই মাধবে যেন যুগে যুগে ভালবাসি॥