বাণী

এসো এসো পাহাড়ি ঝর্ণা মেঘ সজল কাজল বর্ণা
এসো জল ছিটিয়ে ফুল ফুটিয়ে এসো।।
উপল নুড়িতে কাঁকন চুড়িতে
রিনি ঠিনি ছন্দে বন্য আনন্দে এসো
এসো ছলছল ঝলমল আঁচল লুটিয়ে এসো।।
তৃষ্ণায় ডাকে কূলে কূলে হরিণী
আনো কৃষ্ণার জল নির্ঝরিণী।
ফুলবনে ভ্রমর দল জুটিয়ে এসো।।
এসো তপ্ত ধরার বক্ষে, শান্তি ধারা আনো চক্ষে
শীতল হোক খরতর বায়ু, নির্জীব প্রান্তরে আনো পরমায়ু
এসো পাষাণ-কারারঘুম টুটিয়ে এসো।।

নাটকঃ‘মদিনা’

বাণী

মরম-কথা গেল সই মরমে ম’রে।
শরম বারণ যেন করিল চরণ ধ’রে।।
ছল ক’রে কত শত সে মম রুধিত পথ
লাজ ভয়ে পলায়েছি সে ফিরেছে ব্যথাহত
অনাদরে প্রেম-কুসুম গিয়াছে ম’রে।।
কত যুগ মোর আশে ব’সে ছিল পথ-পাশে
কত কথা কত গান জানায়েছে ভালোবেসে
শেষে অভিমানে নিরাশে গিয়াছে স’রে।।

বাণী

আমি প্রভাতী তারা পূর্বাচলে
আশা-প্রদীপ আমি নিশির শীশ-মহলে।।
রাতের কপোলে আমি ছলছল অশ্রুর জল,
আমি ধরণীতে হিম-কণা টলমল, নব দুর্বাদলে।।
নব অরুণোদয়ের আমি ইঙ্গিত
বিহগ-কণ্ঠে আমি জাগাই শুভ-সঙ্গীত।
আমিকনক-কদম তিমির নীপ শাখায়
আমিমধ্যমণি মালিকায়, শ্যাম গগন-গলে।।

বাণী

উতল হ'ল শান্ত আকাশ তোমার কলগীতে
বাদল ধারা ঝরে বুঝি তাই আজ নিশীথে।।
সুর যে তোমার নেশার মত, মনকে দোলায় অবিরত,
ফুলকে শেখায় ফুটতে গো, পাখিকে শিস দিতে।।
কেন তুমি গানের ছলে বঁধু, বেড়াও কেঁদে?
তীরের চেয়েও সুর যে তোমার প্রাণে অধিক বেঁধে।
তোমার সুরে কোন সে ব্যথা, দিলো এতো বিহ্বলতা
আমি জানি (ওগো) সে বারতা তাই কাদিঁ নিভৃতে।।

বাণী

‘দেশপ্রিয় নাই’ শুনি ক্রন্দন সহসা প্রভাতে জাগি’।
আকাশে ললাট হানিয়া কাঁদিছে ভারত চির-অভাগী।।
বহুদিন পরে আপনার ঘরে মা’র কোলে মাথা রাখি’,
ঘুমাতে এসেছে শ্রান্ত সেননী, জাগায়ো না তারে ডাকি’।
দেশের লাগিয়া দিয়াছে সকলি, দেয়নি নিজেরে ফাঁকি —
তাহারি শুভ্র শান্ত হাসিটি অধরে রয়েছে লাগি’।।
স্বার্থ অর্থ বিলাস বিভব গৌরব সম্মান
মায়ের চরণে দিয়াছে সে-বীর অকাতরে বলিদান,
রাজ-ভিখারির ছিল সম্বল শুধু দেহ আর প্রাণ
তাই দিয়ে দিল শেষ অঞ্জলি দানবীর বৈরাগী।।

প্রথম খন্ড

বাণী

	হে প্রিয় আমারে দিব না ভুলিতে
মোর	স্মৃতি তাই রেখে' যাই শত গীতে।।
	বিষাদিত সন্ধ্যায় শুনিবে দূরে
	বিরহী বাঁশি ঝুরে আমারি সুরে
	আমারি করুণ গাথা গাহিবে কে কোথা
	সজল মেঘ-ঘেরা নিশীথে।।
	গোধূলি-ধূসর ম্লান আকাশে
	হেরিবে আমার মূরতি ভাসে
	তব পদদলিত ফুলের বাসে
	পড়িবে মনে আমারে চকিতে।।