বাণী

এসো বসন্তের রাজা হে আমার
এসো এ যৌবন-বাসর-সভাতে।।
ফুলের দরবারে পাখির জলসাতে
বুকের অঞ্চল-সিংহাসনে মম
বসো আমার চাঁদ চাঁদনি রাতে।।
রূপের দীপালি মোর জ্বলবে তোমায় ঘিরে বঁধূ,
পিয়াব তোমায় পিয়া কানে-কানে কথার মধু।
বন-কুসুমের মালা দিব বাহুর মালার সাথে
চরণে হব দাসী বন্ধু হব দুখ রাতে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ পিলু

তালঃ দাদ্‌রা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

পুরুষ	:	সোনার বরণ কন্যা গো, এসো আমার সোনার নায়ে
		চল আমার বাড়ি
স্ত্রী	:	ওরে অচিন দেশের বন্ধুরে,
		তুমি ভিন্ গেরামের নাইয়া আমি ভিন্ গেরামের নারী।
পুরুষ	:	গয়না দিব বৈচী খাড়ু শাড়ি ময়নামতীর।
স্ত্রী	:	গয়না দিয়ে মন পাওয়া যায় না কুলবতীর।
পুরুষ	:	শাপলা ফুলের মালা দেব রাঙা রেশমি চুড়ি।
স্ত্রী	:	ঐ মন-ভুলানো জিনিস নিয়ে (বন্ধু) মন কি দিতে পারি?
পুরুষ	:	(তুমি) কোন্-সে রতন চাও রে কন্যা, আমি কি তা জানি?
স্ত্রী	:	তোমার মনের রাজ্যে আমি হ’তে চাই রাজরানী।
দ্বৈত	:	হইও সাক্ষী তরুলতা পদ্মা নদীর পানি (আরে ও)
		(আজি) কূল ছাড়িয়া দু’টি প্রাণী অকূলে দিল পাড়ি॥

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ ফের্‌তা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

		উদার প্রাতে কে উদাসী এলে।
		প্রশান্ত দীঘল নয়ন মেলে’।।
		স্নিগ্ধ সকরুণ তোমার হাসি
		আঘাত করে যেন আমারে আসি’,
পাষাণ সম তব মৌন মূরতি মোর বুকে বিষাদের ছায়া কেন ফেলে।।
		উন্মন ভিখারি গো বল মোর কাছে
		শূন্য হৃদয় তব কোন মন যাচে,
অশ্রু তুষার ঘন বিগ্রহ তব গলিয়া পড়িবে প্রেমে কার মালা পেলে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ টোড়ি

তালঃ আদ্ধা-কাওয়ালি

বাণী

ছল্‌কে গাগরি গোরী ধীরে ধীরে যাও,
পলকে পরান নিতে বারেক ফিরে চাও।।
	যৌবন-ভার-নত
	ক্ষীণ তনু সহে কত,
পরানের বিনিময়ে তব ভার মোরে দাও।।
ঝলকে বিজলি-জ্বালা মদির নয়ন তলে
পতঙ্গ পোড়ে অনলে তবু সে পড়ে না জলে,
নয়নে চাহিয়া দহি, নয়ন ফিরায়ে দাও।।

রাগ ও তাল

রাগঃ পিলু-বারোয়াঁ

তালঃ

ভিডিও

বাণী

উঠাও ডেরা এবার দূরে যেতে হবে।
নিবিড় হলে মনের বাঁধন গভীর ব্যথা পেতে হবে।।
	কোথায় শূন্য মরুভূমি
	ডাকো মোদের ডাকো তুমি,
চিড়িয়াখানায় সিংহ গেলে নিঠুর চাবুক খেতে হবে।।
বেদের মেয়ের চোখের জল বনের ঝরা ফুল
বেদের মেয়ে কাঁদে ভাসে নদীর দু’কূল।

নাটিকা : ‘বনের বেদে’

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ

বাণী

আমার ঘরের পাশ দিয়ে সে চলতো নিতুই সকাল-সাঁঝে।
আর এ পথে চলবে না সে, সেই ব্যথা হায় বক্ষে বাজে।।
আমার দ্বারের কাছটিতে তার ফুটতো লালী গালের টোলে,
টলতো চরণ, চাউনি বিবশ, কাঁপতো নয়ন-পাতার কোলে —
					কুঁড়ি যেমন খোলে গো!
কেউ কখনো কইনি কথা, কেবল নিবিড় নীরবতা
সুর বাজাতো অনাহতা গোপন মরম-বীণার মাঝে।।
মূক পথের আজ বুক ফেটে যায় স্মরি’
	তারি পায়ের পরশ বুক-খসা তার আঁচর-চুমু,
রঙিন ধুলো পাংশু হ’ল, ঘাস শুকোলো যেচে’
	বাচাল যোড়-পায়েলার রুমু-ঝুমু।
আজো আমার কাটবে গো দিন রোজই যেমন কাটতো বেলা,
একলা ব’সে শূন্য ঘরে — তেমনি ঘাটে ভাসবে ভেলা —
					অবহেলা হেলা-ফেলায় গো!
	শুধু সে আর তেমন ক’রে
	মন র’বে না নেশায় ভ’রে
আসার আশায় সে কার তরে সজাগ হ’য়ে সকল কাজে।
ডুকরে কাঁদে মন-কপোতী ‘কোথায় সাথির কূজন বাজে?
					সে-পার ভাষা কোথায় রাজে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ