বাণী

আমার ঘরের পাশ দিয়ে সে চলতো নিতুই সকাল-সাঁঝে।
আর এ পথে চলবে না সে, সেই ব্যথা হায় বক্ষে বাজে।।
আমার দ্বারের কাছটিতে তার ফুটতো লালী গালের টোলে,
টলতো চরণ, চাউনি বিবশ, কাঁপতো নয়ন-পাতার কোলে —
					কুঁড়ি যেমন খোলে গো!
কেউ কখনো কইনি কথা, কেবল নিবিড় নীরবতা
সুর বাজাতো অনাহতা গোপন মরম-বীণার মাঝে।।
মূক পথের আজ বুক ফেটে যায় স্মরি’
	তারি পায়ের পরশ বুক-খসা তার আঁচর-চুমু,
রঙিন ধুলো পাংশু হ’ল, ঘাস শুকোলো যেচে’
	বাচাল যোড়-পায়েলার রুমু-ঝুমু।
আজো আমার কাটবে গো দিন রোজই যেমন কাটতো বেলা,
একলা ব’সে শূন্য ঘরে — তেমনি ঘাটে ভাসবে ভেলা —
					অবহেলা হেলা-ফেলায় গো!
	শুধু সে আর তেমন ক’রে
	মন র’বে না নেশায় ভ’রে
আসার আশায় সে কার তরে সজাগ হ’য়ে সকল কাজে।
ডুকরে কাঁদে মন-কপোতী ‘কোথায় সাথির কূজন বাজে?
					সে-পার ভাষা কোথায় রাজে।।