তোমার কবরে প্রিয় মোর তরে

বাণী

তোমার কবরে প্রিয় মোর তরে একটু রাখিও ঠাঁই।
মরণে যেন সে পরশ পাই গো জীবনে যা পাই নাই।।
	তোমারে চাহিয়া ওগো প্রিয়তম
	কাঁদিয়া আমার কাটিল জনম,
কেঁদেছি বিরহে এবার যেন গো মিলনে কাঁদিতে পাই।।
ঐ কবরের বাসর ঘরে গো তোমার বুকের কাছে
কাঁদিবে লায়লী, মজনু তোমার য’দিন ধরণী আছে।
	যে যাহারে চায় কেন নাহি পায়,
	কেন হেথা প্রেম-ফুল ঝ’রে যায় —
প্রেমের বিধাতা থাকে যদি কেউ শুধাইব তারে তাই।।

নাটিকা: ‌‘লায়লী মজনু’

ফিরে নাহি এলে প্রিয় ফিরে এলো বরষা

বাণী

ফিরে নাহি এলে প্রিয় ফিরে এলো বরষা।
মুঞ্জরিল বনে বিরহিণী লতিকা —
আমারি আশালতা হ'লো না গো সরসা।।

নিশি-পবন নিশি-পবন

বাণী

নিশি-পবন! নিশি-পবন! ফুলের দেশে যাও
ফুলের বনে ঘুমায় কন্যা তাহারে জাগাও — যাও যাও যাও।।
মৌ-টুস্‌টুস্‌ মুখখানি তার ঢেউ-খেলানো চুল
(ওরে) ভোমরার ঝাঁক-ঘেরা যেন ভোরের পদ্ম-ফুল
হাসিতে তার মাঠের সরল বাঁশির আভাস পাও
				যাও যাও যাও।।
চাঁপা ফুলের পুত্‌লি-ঘেরা চাঁপা রঙের শাড়ি
তারেই দেখতে আকাশ-গাঙে (ওরে) চাঁদ দেয় রে পাড়ি।
তার একটুখানি চোখের আদল বাদল-মেঘে পাও।
				যাও যাও যাও।।
	ধীরে ধীরে জাগাইয়ো তায়
	ঝরা-কুসুম ফেলিয়া গায়
জাগলে কন্যা যেন রে মোর পত্রখানি দাও —
				যাও যাও যাও।।

দিন গেল মোর মায়ায় ভুলে মাটির পৃথিবীতে

বাণী

দিন গেল মোর মায়ায় ভুলে মাটির পৃথিবীতে।
কে জানে কখন নিয়ে যাবে গোরে মাটি দিতে রে।।
	পাঁচ ভূতে আর চোরে মিলে
	রোজগার মোর কেড়ে নিলে;
এখন কেউ নাই রে পারে যাবার দুটো কড়ি দিতে রে।।
রাত্রি শুয়ে আবার যে ভাই উঠব সকাল বেলা,
বলতে কি কেউ পারি তবু খেলি মোহের খেলা।
	বাদ্‌শা আমির ফকির কত
	এলো আবার হল গত রে;
দেখেও বারেক আল্লার নাম জাগে নাকো চিতে।
এবার বসবি কবে ও ভোলা মন আল্লার তস্‌বিতে রে।।

জপ্ লে রে মন মেরা

বাণী

জপ্ লে রে মন মেরা প্রভুকে নামকে মালা।
সবের শামমে হর এক কামমে জপ লে উও নাম নিরালা।।
	বসন ভূষণ উওহি নামসে সাজাও
	উওহি নামসে ভুখ তৃষ্ণা মিটাও,
উও নাম লেকে ফিরো রোতে রোতে নামসে কর হৃদয় উজিয়ালা।।
উওহি নাম কি নামাবলী গ্রহতারা রবিশশী ঝুলে গগনমণ্ডল মে
ছোড় লোভ মোহ ক্রোধ কামকো
জপত রহো নদা মধুর উও নামকো,
			নামমে রহো সদা মাতোয়ালা।।
আদর ভাব মন উনহিসে,
প্রেম পীতি কর উনহিকে চরণ সে।
উওহি নাম ধ্যনমে উওহি নাম জ্ঞানমে
উওহি নাম জপত রহো মন প্রাণমে,
			উওহি হায় সবকে পালনওয়ালা।।

চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী

বাণী

চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী 
চারদিকে রঙ ছড়িয়ে বেড়ায় রঙ্গিলা কুরঙ্গী॥
যে সকলের মন মাতায় কলকাতার চৌমাথায়
ওপারে যে ফিল্মের ঝিল্‌মিল্‌ আলোর দেয়ালি।
এপারে যে পথের ভিখারিনী চোখের বালি।
গোরা কালো সাহেব মেমে মন্দ ভালো বি.এ. এম.এ.
				সবাই তাহার সঙ্গী।
যে দক্ষিণ হাত তুলি দক্ষিণা চায়
আলো দেয় রবি শশী, ফুল দেয় দখিনা বায়।
			ওকি গোলাপ ফুল নারঙ্গি।
নুয়ে প’ড়ে আকাশ দেখে তাহার নাচের ভঙ্গী॥

সিনেমাঃ ‘চৌরঙ্গী’