দেবতা গো দ্বার খোলো

বাণী

দেবতা গো, দ্বার খোলো।
অভিসার নিশি বাহির দুয়ারে দাঁড়ায়ে প্রভাত হ’ল॥
	পাষাণের আবরণে তুমি যদি
	এমনি গোপন রবে নিরবধি,
বেণুকার সুরে হৃদি যমুনায় কেন এ লহর তোলো॥
আর	সহিতে পারি না একা,
প্রাণে	কেন দিয়ে আশা এত ভালোবাসা
যদি	নাহি দিবে দেখা।
	বহিতে পারি না আর এই ভার,
	এই ফুল সাজ পূজা-সম্ভার
তুমি	দেখা দেও একবার দেখা দেও —
দেখা	দিয়ে চিরতরে মোরে ভোলো॥

গম্ভীর আরতি নৃত্যের ছন্দে

বাণী

গম্ভীর আরতি নৃত্যের ছন্দে।
হে প্রভু! তোমারে প্রকৃতি বন্দে।।
	চন্দ্র সূর্য কত শত গ্রহ তারা
	তোমারে ঘিরি’ নাচে প্রেমে মাতোয়ারা,
অনন্ত কাল ঘোরে ধূমকেতু উল্কা আগুন জ্বালায়ে বুকে উগ্র আনন্দে
লীলায়িত সিন্ধু অবোধ উল্লাসে,
মেঘ হ’য়ে উড়ে যেতে চায় তব পাশে।
	নব নব সৃষ্টি বৃষ্টিধারার প্রায়
	সেই ছন্দের তালে অবিরাম ঝ’রে যায়,
ধরণীর গোপন অনুরাগ ভক্তি ফুটে ওঠে নীরব পুষ্প-সুগন্ধে।।

১. প্রেম ২. ভাব উল্লাসে

কিশোরী বাসন্তী ডাকিছে

বাণী

পুরুষ	:	কিশোরী বাসন্তী ডাকিছে তোমায় ফুলবন।
স্ত্রী	:	ডাকে হে শ্যাম, তোমায় তাল ও তমাল বন শন্ শন্।।
পুরুষ	:	তুমি ফুলের বারতা
স্ত্রী	:	তুমি বন-দেবতা,
উভয়ে	:	আমরা আভাস ফাল্গুনের, দূর স্বর্গের পরশন।।
পুরুষ	:	কল্প-লোকের তুমি রূপ-রানী গো প্রিয়া,
		অপাঙ্গে ফোটাও যুঁই-চম্পা-টগর-মোতিয়া।
স্ত্রী	:	নিঠুর পরশ তব (হায়) যাচিয়া জাগে বনভূমি
		ফুলদল পড়ে ঝরি’ তব চারু পদ চুমি’,
উভয়ে	:	আমরা ফুলশর-ঊর্বশী দেব-সভার মোরা হরষণ।।

বেয়ান বলি ও বেয়ান ঠাকরুন

বাণী

পুরুষ	:	(বেয়ান, বলি ও বেয়ান ঠাকরুন)
		বেয়ান তোমার আলু চেরা চোখে আমি মরে আছি
স্ত্রী	:	বেয়াই আমি তাইতো তোমার গোদা পায়ে শরণ যাচি।
		ও তোমার গোদা পায়ে শরণ যাচি।
পুরুষ	:	(বলি ও বয়ান তোমার)
		দাঁতে ছাতা গালে ছুলি গলায় পেটে কোলাকুলি
		আমি দেখেই ছুটি কাছা খুলি
		(আমি) দেখেই ছুটি ও আমার কাছা খুলে গো
		দেখেই ছুটি হরিবোল বোলে রে
		দেখেই ছুটি ও হরিবোল বোলে রে
		আমি কাছা খুলে বাহু তুলে দেখেই ছুটি।
স্ত্রী	:	(বলি ও বেয়াই, ও কাছা তো নয়) এ যে লেজুড়েরি কাছাকাছি।
পুরুষ	:	(বলি ও বেয়ান ঠাকরুন তোমার)
		ফোকলা দাঁতে প্রেমের বুলি শুনেই কাঁধে নিলেম ঝুলি।
স্ত্রী	:	(বুঝি গৌর নামের ঝুলি, বলি ও বেয়াই উঁ)
		বেয়াই নিয়ে এবার যাবে রাঁচি
		যাবে রাঁচি গৌর হে ওহে গৌর (যাবে রাঁচি)
		কাছা খুলে বাহু তুলে যাবে রাঁচি (তুমি)।
পুরুষ	:	(বলি ও বেয়ান)
		ভাগলপুরি বিবির মতন নাদুস নুদুস কি সে গঠন
স্ত্রী	:	(বলি ও হামদো বুড়ো) তুমি মাম্‌দো ভূত যে চামড়া খেকো
		ও আমায় করতে এলে আমড়া গাছি।

হে মোহাম্মদ এসো এসো

বাণী

হে মোহাম্মদ এসো এসো আমার প্রাণে আমার মনে।
এসো সুখে এসো দুখে আমার বুকে মোর নয়নে।।
আমার দিনের সকল কাজে
যেন তোমার স্মৃতি বাজে,
এসো আমার ঘুমের মাঝে —
	এসো আমার জাগরণে।।
কোরান দিলে, দিলে ঈমান, বেহেশ্‌তের দিশা দিলে,
পাপে তাপে মগ্ন আমায় খোদার রাহে ডেকে নিলে।
	তোমায় আমি ভুলব কিসে
	আছ আমার রুহে মিশে,
আমি তোমার প্রেমের পাগল রেখো আমায় ঐ চরণে।।

চল জয়যাত্রায় চল

বাণী

চল জয়যাত্রায় চল বাসন্তী-বাহিনী
চল রচিতে বুকে বুকে নব প্রেম-কাহিনী।।
যথা উদাসীন পুরুষ তপস্যা-মগ্ন
জাগো সেথা সুরত রতি অতি লগ্ন —
যার বাসনা ফুরায় মনে — চলো তার তপোবনে
		চল কামনার কামিনী।।

নাটক : ‘হরপার্বতী’