বাণী
বাসনার সরসীতে ফুটিয়াছে ফুল। মধু-লোভী মদালস এসো অলিকুল।। ভোগের পাত্রে মধু প্রাণ ভরে পিও বঁধু, আনন্দে হয় যদি হোক দিক ভুল।।
রেকর্ড-নাটিকাঃ সুরথ উদ্ধার
রাগ ও তাল
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
ভিডিও
স্বরলিপি

বাসনার সরসীতে ফুটিয়াছে ফুল। মধু-লোভী মদালস এসো অলিকুল।। ভোগের পাত্রে মধু প্রাণ ভরে পিও বঁধু, আনন্দে হয় যদি হোক দিক ভুল।।
রেকর্ড-নাটিকাঃ সুরথ উদ্ধার
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা

বাদল-মেঘের মাদল-তালে ময়ূর নাচে দু’লে দু’লে। আকাশে নাচে মেঘের পরী বিজ্লি-জরীন্ ফিতা পড়ে খুলে’।। কদম্ব-ডালে ঝুলনিয়া ঝুলায়ে বনের বেণী কেয়াফুল দুলায়ে, তাল তমাল বনে কাজল বুলায়ে — বর্ষারানী নাচে এলোচুলে।। তরঙ্গ-রঙ্গ নাচে নটিনী ভরা-যৌবন ভাদর-তটিনী, পরি’ ফুলমালা নাচে বনমালা — সবুজ সুধার লহর তু’লে।।
রাগঃ সারং মিশ্র
তালঃ কাওয়ালি
যখন আমার কুসুম ঝরার বেলা তখন তুমি এলে ভাটির স্রোতে ভাসলো যখন ভেলা পারের পথিক এলে।। আঁধার যখন ছাইল বনতল পথ হারিয়ে এলে হে চঞ্চল দীপ নিভাতে এলে হে বাদল ঝড়ের পাখা মেলে।। শূন্য যখন নিবেদনের থালা তখন তুমি এলে শুকিয়ে যখন ঝরল বরণ-মালা তখন তুমি এলে। নিরশ্রু এই নয়ন পাতে শেষ পূজা মোর আজকে রাতে নিবু নিবু প্রাণ শিখাতে আরতি দীপ জ্বেলে।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা

ব্রজের দুলাল ব্রজে আবার আসবে ফিরে কবে? জাগবে কি আর ব্রজবাসী ব্যাকুল বেণুর রবে? বাজবে নূপুর তমাল-ছায়ায় বইবে উজান হৃদ্-যমুনায়, অভাগিনী রাধার কি আর তেমন সুদিন হবে? সখী গো! গোঠে নাহি যায় রাখালেরা আর লুটায়ে কাঁদে পথের ধূলায়, ধেনু ছুটে যায় মথুরা পানে না হেরি গোঠে রাখাল-রাজায়। উড়িয়া গিয়াছে শুক-সারি পাখি শুনি না কৃষ্ণ-কথা (আর), শ্যাম-সহকার তরুরে না-হেরি শুকালো মাধবী-লতা। শ্যাম বিনে নাই সে শ্যাম-কান্তি, শুকায়েছে সব। কদম তমাল তরু পল্লব হাসি উৎসব শুকায়েছে সব। সখি গো — চির-বসন্ত ছিল যথা আজ সেথা শূন্যতা হাহাকার রবে কাঁদে শ্যাম (হে) ললিতা বিশাখা নাই, নাই চন্দ্রাবলী নাই ব্রজে শ্রীদাম সুদাম। (সখী গো)
রাগঃ
তালঃ ফের্তা (দাদ্রা ও কাহার্বা)

আরক্ত কিংশুক কাঁপে, মালতীর বক্ষ ভরি’ চন্দ্রের অমৃত স্পর্শে উঠিতেছে শিহরি’ শিহরি’।। নীরব কোকিলের গুঞ্জন চৈত্র পূর্ণিমা রাত্রি, বাড়িয়াছে বক্ষের স্পন্দন, মোদের নাচের নূপুরের ছন্দ কভু চপল কভু মৃদুমন্দ, বসন্ত-উৎসব সজ্জা অন্তরাল হতে মৃদু ভাষে সুন্দর গুঞ্জন ধ্বনি কেন ভেসে আসে। মমতার মধু-বিন্দু ক্ষরিল মোরা মধু খেয়ে বলিলাম — আহা মরি।। ধরণীর অঙ্গ হতে বাসরের সজ্জা পড়ে খুলি’ গভীর আনন্দে মোরা চাহি দুটি আঁখি তুলি, চৈত্রের পূর্ণিমা রাত্রি এলো ফিরি প্রিয় তুমি কেন চ’লে গেলে ধীরি ধীরি। তুমি ফিরে এলে মোরা লভিতাম অমৃতের স্বাদ চন্দ্রের অমিয়া পান করি।।
নাটক : ‘মদিনা’
রাগঃ
তালঃ
বেদনার বেদীতলে পেতেছি আসন, হে দেবতা! সেথা আর কেহ নাই আমরা দু’জন, কহিব কথা।। বাহির ভুবনে তব কত পূজারি সেথায় মনের কথা কহিতে নারি, তাই হৃদয় দেউলে রেখে’ দিয়েছি আগল — সেথা তোমার চরণ-তলে জানাব গোপন প্রাণের ব্যথা।। পূজা-মন্দির হ’তে এসে চুপে চুপে হে দেবতা! সাজায়েছি প্রিয় রূপে! সবার সমুখে তাই মালা দিতে লাজ পাই — প্রেমের বাসর ঘরে পরাব বরণ-মালা, হব প্রণতা।।
রাগঃ খাম্বাজ মিশ্র
তালঃ কাহার্বা