বাদলা রাতে চাঁদ উঠেছে

বাণী

বাদলা রাতে চাঁদ উঠেছে কৃষ্ণ মেঘের কোলে রে।
ব্রজ পুরে তমাল-ডালের ঝুলনাতে দোলে রে।।
	নীল চাঁদ আর সোনার চাঁদে
	বাঁধা বন-মালার ফাঁদে রে
এই চাঁদ হেসে আরেক চাঁদের অঙ্গে পড়ে ঢ’লে রে।।
যুগল শশী হেরি গোপী কহে, বাদলা রাতই ভালো রে,
গোকুল এলো ব্রজে নেমে ধরা হল আলো রে।
	দেব-দেবীরা চরণ-তলে
	বৃষ্টি হয়ে পড়ে গ’লে রে,
বেদ-গাথা সব নূপুর হয়ে রুনুঝুনু বোলে রে।।

নিশীথ রাতে ডাক্‌লে আমায়

বাণী

নিশীথ রাতে ডাক্‌লে আমায়, কে গো তুমি কে?
কাঁদিয়ে গেলে আমার মনের বনভূমিকে,
		কে গো তুমি কে।।
	তোমার আকুল করুণ স্বরে
	আজকে তা’রেই মনে পড়ে,
এম্‌নি রাতে হারিয়েছি যে হৃদয়-মণিকে।।
দুয়ার খু’লে চেয়ে আছি তারার পানে দূরে,
আর একটিবার ডাকো ডাকো তেম্‌নি করুণ সুরে।
	একটি কথা শুন্‌ব ব’লে
	রাত কেটে যায় চোখের জলে,
দাও সাড়া দাও, জাগিয়ে তোলো আঁধার পুরীকে।।

১. থাকি

এই সুন্দর ফুল সুন্দর ফল মিঠা নদীর পানি

বাণী

এই সুন্দর ফুল সুন্দর ফল মিঠা নদীর পানি
		খোদা তোমার মেহেরবানী।
শস্য-শ্যামল ফসল-ভরা মাঠের ডালিখানি
		খোদা তোমার মেহেরবানী।।
	তুমি কতই দিলে রতন
	ভাই বেরাদর পুত্র স্বজন
ক্ষুধা পেলেই অন্ন জোগাও মানি চাই না মানি।।
খোদা তোমার হুকুম তরক করি আমি প্রতি পায়
তবু আলো দিয়ে বাতাস দিয়ে বাঁচাও এ বান্দায়।
	শ্রেষ্ঠ নবী দিলে মোরে
	তরিয়ে নিতে রোজ-হাশরে
পথ না ভুলি তাইতো দিলে পাক কোরানের বাণী।।

যার মেয়ে ঘরে ফিরল না আজ

বাণী

যার মেয়ে ঘরে ফিরল না আজ তার ঘরে তুই যা মা উমা!
আজ ঘুম নাই যে মায়ের চোখে সেই মাকে তুই জড়িয়ে ঘুমা॥
(মা)	এমন আনন্দেরই হাটে
	কেঁদে যাহার দিবস কাটে
‘মা আমি এসেছি’ বলে, সেই জননীর খা মা চুমা॥
যে মা’র বুক শূন্য আজি, কাঁদে আয় রে গোপাল বলে,
মা! তোর দুই কুমার নিয়ে, তুলে দে সেই শূন্য কোলে।
	ওমা! এই কটি দিন বিপুল স্নেহে
	তুমি বিরাজ কর প্রতি গেহে;
সকল অভাব পূর্ণ ক’রে আনন্দ দে শান্তি দে মা॥

টলমল টলে হৃদয়-সরসী

বাণী

টলমল টলে হৃদয়-সরসী।
নীর ভরণে এলে কে ষোড়শী।।
এলে কি নাহিতে, পরশ চাহিতে
এলে কি অলস তরণী বাহিতে,
এলে কি ভুলিতে কমল তুলিতে —
	আমার স্বপন-মানসী।।

নিম ফুলের মউ পি’য়ে ঝিম হয়েছে ভোমরা

বাণী

নিম ফুলের মউ পি’য়ে ঝিম হয়েছে ভোমরা।
মিঠে হাসির নূপুর বাজাও ঝুমুর নাচো তোমরা।।
কভু কেয়া কাঁটায়, কভু বাব্‌লা-আঠায়
বারে বারে ভোমরার পাখা জড়ায়ে গো — পাখা জড়ায়
দেখে হেসে লুটিয়ে পড়ে ফুলের দেশের বউরা।।