আন্ গোলাপ-পানি

বাণী

আন্ গোলাপ-পানি, আন্ আতরদানি গুলবাগে।
সহেলি গো কিছু নাহি ভালো লাগে
বেদুঈন ছেলের বাঁশি কারে ডাকে
			কেঁদে’ কেঁদে’ অনুরাগে।।
	মরুযাত্রীদের উটের সারি
	যেমন চাহে তৃষার বারি
তেমনি মম পিয়াসি পরান যেন কার —
			প্রেম-অমৃত বারি মাগে।।
চাঁদের পিয়ালাতে জোছনা-শিরাজি ঝ’রে যায়
আমারি হৃদয় কেন গো সে-মধু নাহি পায়,
হায়, হায়, বাদাম গাছের আঁধার বনে
নিঃশ্বাস ওঠে যেন বুল্‌বুলির শিসের সনে,
বিরহী মোর কোথায় কাঁদে কোন্ মদিনাতে —
ফোরাত নদীর রোদন সম বুকে ঢেউ জাগে।।

১. স্রোতের

সঙ্গীতালেখ্য : ‌‘কাফেলা’ (মরুদেশের সঙ্গীত)

ভেঙো না ভেঙো না ধ্যান

বাণী

ভেঙো না ভেঙো না ধ্যান হে আমার ধ্যানের দেবতা।
পূজা লহ, অর্ঘ্য লহ ক’য়ো না ক’য়ো না কথা।।
পাষাণ মূরতি তুমি পাষাণ হইয়া থাকো,
মন্দির-বেদী হতে ধরার ধূলায় নেমো নাকো।
তুমিও মাটির মানুষ বুঝায়ে দিও না ব্যথা।।
সহিবে সকলি স্বামী হেনো হেলা ব্যথা দিও,
সহিবে না অপমান ভালোবাসার আমার হে প্রিয়,
থাক তুমি হিয়ার মাঝে তোমার মন্দির যথা।।

উঠেছে কি চাঁদ সাঁঝ গগনে

বাণী

উঠেছে কি চাঁদ সাঁঝ গগনে
আজিকে আমার বিদায় লগনে।।
জানালা পাশে চাঁপার শাখে
‘বউ কথা কও’ পাখি কি ডাকে?
ফুটেছে কি ফুল মালতী বকুল —
আমার সাধের কুসুম বনে সাঁঝ গগনে।।
তুলসী তলায় জ্বলেছে কি দীপ
পরেছে আকাশ তারকার টিপ?
হারিয়ে যাওয়া বঁধূ অবেলায়
এলো কি ফিরে দেখিতে আমায়,
ঝুরিছে বাঁশি পিলু বারোয়াঁয় —
কেন গো আমার যাবার ক্ষণে।।

ওমা যা কিছু তুই দিয়েছিলি

বাণী

ওমা	যা কিছু তুই দিয়েছিলি ফিরিয়ে দিলাম তোকে।
	তুই ছাড়া আর বলতে আপন (কেউ) রইল না ত্রিলোকে।।
	তুই	কোলে নেবার দায় এড়িয়ে
		রেখেছিলি মন ভুলিয়ে খেলনা দিয়ে,
তুই	পালিয়েছিলি ঘুম পাড়িয়ে (মায়ার) কাজল দিয়ে চোখে।।
	কোটি জনম কাট্ল কেঁদে মাগো তোকে ভুলে,
(মা)	তোরে মনে পড়েছে আজ, (এবার) নে মা কোলে তু’লে।
	এই	পুত্র জায়া মায়ার ছবি
		তুই ছাড়া মা মিথ্যা সবই,
	ভুলব না আর এবার আমি জড়াব না দুঃখ-শোকে।।

শ্রীকৃষ্ণ নামের তরীতে কে হবি পার

বাণী

শ্রীকৃষ্ণ নামের তরীতে কে হবি পার কৃষ্ণ নামের তরীতে!
তরাইতে পাপী পতিত মানবে এলো তরী ভব-নদীতে।।
ডাকিছে আর্তজনে বাঁশির সুরে নাইয়া কানাইয়া ‘আয় আয়’ ব’লে
মধুর নামের তরী টলমল দোলে আশ্রিতে পারে নিতে।।
ঘন দুর্দিন-ঘেরা আঁধার সংসার নাম প্রদীপ আশার;
জপ প্রেম-ভরে তাঁহারই প্রিয় নাম (তরঙ্গে) তরী ডুবিবে না আর।
তাঁর নাম পারের তরী, কান্ডারি শ্রীচরণ শরণ নে রে তোরা তাঁরই
নামের আলোকে যাবি রে গোলকে নাম গাহিতে গাহিতে।।

কেন আন ফুল-ডোর আজি বিদায় বেলা

বাণী

কেন	আন ফুল-ডোর আজি বিদয়-বেলা,
মোছ	মোছ আঁখি-লোর যদি ভাঙিল মেলা॥
কেন	মেঘের স্বপন আন মরুর চোখে,
ভু’লে	দিয়ো না কুসুম যারে দিয়েছ হেলা॥
যবে	শুকাল কানন এলে বিধুর পাখি,
ল’য়ে	কাঁটা-ভরা প্রাণ এ কি নিঠুর খেলা।
যদি	আকাশ-কুসুম পেলি চকিতে কবি,
চল	চল মুসাফির, ডাকে পারের ভেলা॥