বাণী
হে নট-ভৈরবী আশাবরি। ওঠো গো অরুণ গান বিসরি’।। চেয়ে আছ জলভরা নয়নে, তীব্র নিদাঘ তাপ কোমল করি’।। পঞ্চমে কোয়েলিয়া ক’য়ে যায় প্রথম প্রহর দিবা ব’য়ে যায়, গুরু গঞ্জনা দিতে আসে ঐ — মুখ ভার করি’ তব ননদিনী তোড়ি।।
রাগ ও তাল
রাগঃ আশাবরী
তালঃ ত্রিতাল
হে নট-ভৈরবী আশাবরি। ওঠো গো অরুণ গান বিসরি’।। চেয়ে আছ জলভরা নয়নে, তীব্র নিদাঘ তাপ কোমল করি’।। পঞ্চমে কোয়েলিয়া ক’য়ে যায় প্রথম প্রহর দিবা ব’য়ে যায়, গুরু গঞ্জনা দিতে আসে ঐ — মুখ ভার করি’ তব ননদিনী তোড়ি।।
রাগঃ আশাবরী
তালঃ ত্রিতাল
বেদিয়া বেদিনী ছুটে আয়,আয়,আয় ধাতিনা ধাতিনা তিনা ঢোলক মাদল বাজে বাঁশিতে পরান মাতায়।। দলে দলে নেচে নেচে আয় চলে আকাশের শামিয়ানা তলে বর্শা তীর ধনুক ফেলে আয় আয় রে হাড়ের নূপুর প'রে পায়।। বাঘ-ছাল প'রে আয় হৃদয়-বনের শিকারি ঘাগরা প'রে প'রে পলার মালা আয় বেদের নারী মহুয়ার মধু পিয়ে ধুতুরা ফুলের পিয়ালায়।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা

উঠেছে কি চাঁদ সাঁঝ গগনে আজিকে আমার বিদায় লগনে।। জানালা পাশে চাঁপার শাখে ‘বউ কথা কও’ পাখি কি ডাকে? ফুটেছে কি ফুল মালতী বকুল — আমার সাধের কুসুম বনে সাঁঝ গগনে।। তুলসী তলায় জ্বলেছে কি দীপ পরেছে আকাশ তারকার টিপ? হারিয়ে যাওয়া বঁধূ অবেলায় এলো কি ফিরে দেখিতে আমায়, ঝুরিছে বাঁশি পিলু বারোয়াঁয় — কেন গো আমার যাবার ক্ষণে।।
রাগঃ পিলু-বারোয়াঁ
তালঃ কাহার্বা

গানের শুরুতে নীচের কথাগুলি সাপুড়েদের মন্ত্র-পড়ার ঢংয়ে আবৃত্তি করা হয়েছে :-
[খা খা খা তোর বক্ষিলারে খা তারি দিব্যি ফণাতে তোর যে ঠাকুরের পা' বিষহরি শিবের আজ্ঞ্যে দোহাই মনসা, আমায় যদি কামড়াস খাস জরৎ-কারুর হাড় নাচ নাগিনী ফণা তুলে, নাচ রে হেলেদুলে মারলে ছোবল বিষ-দাঁত তোর অমনি নেব তুলে বাজ তুবরী বাজ ডমরু বাজ, নাচ রে নাগ-রাজা।।] সাপুড়িয়া রে — বাজাও বাজাও সাপ-খেলানোর বাঁশি। কালিদহে ঘোর উঠিল তরঙ্গ রে কালনাগিনী নাচে বাহিরে আসি।। ফণি-মনসার কাঁটা-কুঞ্জতলে গোখরা কেউটে এলো দলে দলে রে সুর শুনে ছুটে এলো পাতাল-তলের বিষধর বিষধরী রাশি রাশি।। শন-শন-শন-শন পুব হাওয়াতে তোমার বাঁশি বাজে বাদলা-রাতে মেঘের ডমরু বাজাও গুরু গুরু বাঁশির সাথে। অঙ্গ জর জর বিষে বাঁচাও বিষহরি এসে রে এ কি বাঁশি বাজালো কালা, সর্বনাশী।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা

ব্রজগোপাল শ্যাম সুন্দর যশোদা দুলাল শিশু নটবর॥ নন্দ নন্দন নয়নানন্দ চরণে মধুর সৃজন ছন্দ ভুবন মোহন কৃষ্ণচন্দ্র অপরূপ রূপ হেরে চরাচর॥ কোটি গ্রহতারা চরণে নূপুর ওঙ্কার ধ্বনি বাঁশরির সুর। বঙ্কিম আঁখি বাঁকা শিখীপাখা বাঁকা শ্রীচরণ ভঙ্গিমা বাঁকা কৃষ্ণময় শ্রীঅঙ্গ ডাকা করাল মধুর প্রভু গিরিধর॥
রাগঃ তিলং
তালঃ একতাল

স্ত্রী : তোমায় দেখি নিতুই চেয়ে চেয়ে ওগো অচেনা বিদেশি নেয়ে॥ পুরুষ : যেতে এই পথে তরী বেয়ে দেখি নদীর ধারে তোমায় বারে বারে সজল কাজল বরণী মেয়ে॥ স্ত্রী : তোমার তরণীর আসার আশায় বসে থাকি কূলে কলস ভেসে যায়। পুরুষ : তুমি পরো যে শাড়ি ভিন গাঁয়ের নারী আমি নাও বেয়ে যাই তারি সারি গান গেয়ে। স্ত্রী : গাগরির গলায় মালা জড়ায়ে দিই তোমার তরে বঁধু স্রোতে ভাসায়ে॥ পুরুষ : সেই মালা চাহি’, নিতি এই পথে গো আমি তরী বাহি। উভয়ে : মোরা এক তরীতে একই নদীর স্রোতে যাব অকূলে ধেয়ে॥
রাগঃ
তালঃ ফের্তা
