খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে

বাণী

খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে।
প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলা নিরজনে প্রভু নিরজনে।।
	শূন্যে মহা আকাশে
	মগ্ন লীলা বিলাসে,
ভাঙিছ গড়িছ নিতি ক্ষণে ক্ষণে।।
তারকা রবি শশী খেলনা তব, হে উদাসী,
পড়িয়া আছে রাঙা পায়ের কাছে রাশি রাশি।
	নিত্য তুমি, হে উদার
	সুখে দুখে অবিকার,
হাসিছ খেলিছ তুমি আপন মনে।।

আমি কুল ছেড়ে চলিলাম ভেসে বলিস ননদীরে

বাণী

আমি	কুল ছেড়ে চলিলাম ভেসে বলিস ননদীরে সই, বলিস ননদীরে।
	শ্রীকৃষ্ণ নামের তরণীতে প্রেম-যমুনার তীরে বলিস ননদীরে
				সই, বলিস্‌ ননদীরে।।
	সংসারে মোর মন ছিল না, তবু মানের দায়ে
আমি	ঘর করেছি সংসারেরি শিকল বেঁধে পায়ে
	শিক্‌লি-কাটা পাখি কি আর পিঞ্জরে সই ফিরে।।
	বলিস গিয়ে কৃষ্ণ নামের কলসি বেঁধে গলে
	হডুবেছে রাই কলঙ্কিনী কালিদহের জলে।
	কলঙ্কেরই পাল তুলে সই, চললেম অকূল-পানে
	নদী কি সই, থাকতে পারে সাগর যখন টানে।
	রেখে গেলাম এই গোকুলে কুলের বৌ-ঝিরে।।

মরম-কথা গেল সই মরমে ম’রে

বাণী

মরম-কথা গেল সই মরমে ম’রে।
শরম বারণ যেন করিল চরণ ধ’রে।।
ছল ক’রে কত শত সে মম রুধিত পথ
লাজ ভয়ে পলায়েছি সে ফিরেছে ব্যথাহত
অনাদরে প্রেম-কুসুম গিয়াছে ম’রে।।
কত যুগ মোর আশে ব’সে ছিল পথ-পাশে
কত কথা কত গান জানায়েছে ভালোবেসে
শেষে অভিমানে নিরাশে গিয়াছে স’রে।।

হায় গো ভালোবেসে অবশেষে

বাণী

(হায় গো) 	ভালোবেসে অবশেষে কেঁদে দিন গেল।
		ফুল-শয্যা বাসি হল, বঁধূ না এলো।।
		শুকাইল পানের খিলি বাঁটাতে ভরা,
		এ পান আমি কারে দিব সে বঁধূ ছাড়া।
(হায় গো) 	নীলাম্বরী শাড়ি ছি ছি পরলেম মিছে লো।।
		এবার ধ’রে দিস্ যদি তায়
		রাখ্‌ব বেঁধে বিনোদ খোঁপায়,
		কাঙালে পাইলে রতন রাখে যেমন লো।।
		সোঁদা-মাখা নিস্‌নে কেশে, গন্ধে যে লো তার
		মনে আনে চন্দন-গন্ধ সোনার বঁধূয়ার।
		এত দুঃখ ছিল আমার এই বয়সে লো।।

বাউল

আমার দেওয়া ব্যথা ভোলো

বাণী

আমার দেওয়া ব্যথা ভোলো।
আজ যে যাবার সময় হলো।।
নিব্‌বে যখন আমার বাতি 
আসবে তোমার নূতন সাথি, 
আমার কথা তা'রে বলো।।
ব্যথা দেওয়ার কী যে ব্যথা 
জানি আমি, জানে দেবতা।
জানিলে না কী অভিমান 
করেছে হায় আমায় পাষাণ, 
দাও যেতে দাও, দুয়ার খোলো।।

বনে বনে দোলা লাগে

বাণী

বনে বনে দোলা লাগে।
মনে মনে দোলা লাগে
	দখিনা-সমীর জাগে।।
একি এ বেদনা লয়ে
ফুটিল কুসুম হৃদয়ে
আবেশে পুলকে ভয়ে
	না-জানা পরশ মাগে।।
কিশোর হৃদয় পুটে
অশোক রঙিন ফোটে
কপোল রাঙিয়া ওঠে
	অতনুর অনুরাগে।।