মদির আবেশে কে চলে ঢুলুঢুলু আঁখি

বাণী

মদির আবেশে কে চলে ঢুলুঢুলু আঁখি।
			মদির কার আঁখি
হেরিয়া পাপিয়া উঠিছে পিউ পিউ ডাকি’।।
আল্‌তা-রাঙা পায়ে আল্পনা আঁকে,
পথের যত ধূলি তাই বুক পেতে থাকে,
দু’ধারে তরুলতা দেয় চরণ ফুলে ফুলে ঢাকি’।।
তা’রি চোখের চাওয়ায় গো দেলা লাগে হাওয়ায়,
তালীবন তাল দিয়ে যায় তাল-ফের্‌তায় দোলা লাগে হাওয়ায়।
আকুল তানে গাহে বকুল-বনের পাখি।।
তারি মুখ-মদের ছিটে যোগায় ফুলে মধু মিঠে
চাঁদের জৌলুসে তাহারি রওশন্‌ মাখি’।।

ও তুই উলটা বুঝলি রাম

বাণী

ও তুই উলটা বুঝলি রাম
আমি আম চাহিতে জাম দিলে, আর জাম চাহিতে কি-না আম।।
আমি চড়বার ঘোড়া চাইতে শেষে, ওগো ঘোড়াই ঘাড়ে চড়লো এসে,
ও বাব্বা —
আমি প্রিয়ার চিঠি চাইতে এলো কিনা ইনকামট্যাক্স-এর খাম।।
আমি চেয়েছিলাম কোঠা বাড়ি, তাই পড়লো পিঠে লাঠির বাড়ি
	ভুলে আমি বলেছিলাম তোমার পায়ে শরণ নিলাম।
	তুমি ভুল বুঝিলে, ভিটেবাড়ি সব হ'লো নিলাম।।
আমি চেয়েছিলম সুবোধ ভাইটি
তা না হয়ে, বাবা গোঁয়ার সে ভাই উচায় লাঠি
আমি শ্রী ব্রজধাম চাইতে ঠেলে দিলে শ্রীঘর হাজত ধাম।।

ব্রজবাসী মোরা এসেছি মথুরা

বাণী

ব্রজবাসী মোরা এসেছি মথুরা, দ্বার ছেড়ে দাও দ্বারী।
মথুরার রাজা হ’য়েছে মোদের কানাই গোঠ বিহারী।।
[মথুরার রাজা হয়েছে হায় তোমাদের রাজা হয়েছে ভাই —
কানাই গোঠ বিহারী, দ্বার ছেড়ে দাও দ্বারী।]*
রাজ-দণ্ড কেমন মানায় শোভিত যে হাতে বাঁশি
[শোভিত যে হাতে বাঁশি]*
মুকুট মাথায় কেমন দেখায় শিরে শিখী-পাখা ধারী।।
[সে শিরে শিখী-পাখা ধারী
দ্বার ছেড়ে দাও দ্বারী।]*
শ্যামলী ধেনুর দুগ্ধের ক্ষীর এনেছি কানুর লাগিয়া
পাঠায়েছে তারে মথিয়া নবনী, যশোদা-নিশীথ জাগিয়া,
বনমালী লাগি নব-নীপ-মালা আনিয়াছি হের [মোরা] গাঁথিয়া,
কুড়ায়ে এনেছি ফেলে এসেছিল যে বাঁশরি বনচারী।।
ব্রজের দুলাল রাখাল ব’সেছে রাজার আসন ’পরে,
সারা গোকুলের এনেছি আশিস তাই রে তাহার তরে।
পাঠায়েছে গোপী-চন্দন তাই রাই অনুরাগ ভরে
(পাঠায়েছে রাই অনুরাগ ভরা গোপী চন্দন,
পাঠায়েছে রাই [তাই] হরির লাগিয়া হরি চন্দন।)
নয়ন-যমুনা ছানিয়া এনেছি আকুল অশ্রুবারি।।
[দ্বার ছেড়ে দাও দ্বারী।।]*

* রেকর্ডে গীত

বল্লরি-ভুজ-বন্ধন খোলো

বাণী

	বল্লরি-ভুজ-বন্ধন খোলো।
	অভিসার-নিশি অবসান হ’ল।।
	পান্ডুর চাঁদ হের অস্তাচলে
	জাগিয়া শ্রান্ত-তনু পড়েছে ঢ’লে,
তার 	মল্লিকা মালা ম্লান বক্ষতলে — 
	অভিমান-অবনত আঁখি তোলো।।
	উতল সমীর আমি নিমেষের ভুল,
	কুসুম ঝরাই কভু ফোটাই মুকুল।
	আলোকে শুকায় মোর প্রেমের শিশির
	দিনের বিরহ আমি মিলন নিশির,
	হে প্রিয়, ভীরু এ স্বপন-বিলাসীর — 
	অকরুণ প্রণয় ভোলো ভোলো।।

১. মিলনের, ২. ক্ষণিকের, ৩. আমি

ঝড় এসেছে ঝড় এসেছে কাহারা যেন ডাকে

বাণী

ঝড় এসেছে ঝড় এসেছে কাহারা যেন ডাকে।
বেরিয়ে এলো নতুন পাতা পল্লবহীন শাখে।।
	ক্ষুদ্র আমার শুকনো ডালে
	দুঃসাহসের রুদ্র ভালে
কচি পাতার লাগলো নাচন ভীষণ ঘূর্ণিপাকে।
স্তবির আমার ভয় টুটেছে গভীর শঙ্খ-রবে,
মন মেতেছে আজ  নতুনের ঝড়ের মহোৎসবে।
	কিশলয়ের জয়-পতাকা
	অন্তরে আজ মেললো পাখা
প্রণাম জানাই ভয়-ভাঙানো অভয়-মহাত্মাকে।।

মা আমি তোর অন্ধ ছেলে

বাণী

মা! আমি তোর অন্ধ ছেলে হাত ধ’রে মোর নিয়ে যা মা।
পথ নাহি পাই যেদিকে চাই দেখি আঁধার ঘোর ত্রিযামা।।
	আমি নিজে পথ চলিতে যাই
	বারে বারে পথ ভুলি মা তাই
মায়া-কূপে পড়ে কাঁদি কোথায় দয়াময়ী শ্যামা।।
মা তুই যবে হাত ধ’রে চলিস্ রয় না পতন-ভয়,
তুই যবে পথ দেখাস্ মা গো সে পথ জ্যোতির্ময়।
	কি হবে জ্ঞান-প্রদীপ নিয়ে সাথে
	বৃথা এ দীপ জন্মান্ধের হাতে
তুই যদি হ’স নির্ভর মোর পথের ভয় আর রবে না মা।।