ও বৌদি তোর কি হয়েছে চোখে কেন জল

বাণী

ও	বৌদি তোর কি হয়েছে চোখে কেন জল
	দাদার তরে মন বুঝি তোর হয়েছে উতল।।
তোর	দিব্যি দেখেছি স্বপনে
যেন	দাদা কথা কইতেছে তোর সনে
	দেখিস তোরা আমার স্বপন হবে না বিফল।।
তোর	কান্নার সাগরে যখন উঠেছে জোয়ার
	বৌদি লো তোর চাঁদ উঠিবার নাই রে দেরি আর।
ও	বৌদি তোর চোখের জলের টানে
	আমার দাদার সোনার তরী  আসতেছে উজানে
দেখ	বাটনা ফেলে হাসছে দিদি চল ও ঘরে চল।।

আমি কুল ছেড়ে চলিলাম ভেসে বলিস ননদীরে

বাণী

আমি	কুল ছেড়ে চলিলাম ভেসে বলিস ননদীরে সই, বলিস ননদীরে।
	শ্রীকৃষ্ণ নামের তরণীতে প্রেম-যমুনার তীরে বলিস ননদীরে
				সই, বলিস্‌ ননদীরে।।
	সংসারে মোর মন ছিল না, তবু মানের দায়ে
আমি	ঘর করেছি সংসারেরি শিকল বেঁধে পায়ে
	শিক্‌লি-কাটা পাখি কি আর পিঞ্জরে সই ফিরে।।
	বলিস গিয়ে কৃষ্ণ নামের কলসি বেঁধে গলে
	হডুবেছে রাই কলঙ্কিনী কালিদহের জলে।
	কলঙ্কেরই পাল তুলে সই, চললেম অকূল-পানে
	নদী কি সই, থাকতে পারে সাগর যখন টানে।
	রেখে গেলাম এই গোকুলে কুলের বৌ-ঝিরে।।

নহে নহে প্রিয় এ নয় আঁখি-জল

বাণী

নহে নহে প্রিয় এ নয় আঁখি-জল
মলিন হয়েছে ঘুমে চোখের কাজল।।
	হেরিয়া নিশি-প্রভাতে
	শিশির কমল-পাতে
ভাব বুঝি বেদনাতে ফুটেছে কমল।।
	এ শুধু শীতের মেঘে
	কপট কুয়াশা লেগে’
ছলনা উঠেছে জেগে’ এ নহে বাদল।।
	কেন কবি খালি খালি
	হ’লি রে চোখের বালি
কাঁদাতে গিয়া কাঁদালি নিজেরে কেবল।।

এসো মা ভারত-জননী আবার

বাণী

এসো	মা ভারত-জননী আবার জগৎ-তারিণী সাজে।
	রাজরানী মা’র ভিখারিনী বেশ দেখে প্রাণে বড় বাজে॥
		শিশু-জগতেরে মায়ের মতন,
		তুমি মা প্রথম করিলে পালন,
আজ	মাগো তোরই সন্তানগণ কাঁদিছে দৈন্য-লাজে॥
		আঁধার বিশ্বে তুমি কল্যাণী
		জ্বালিলে প্রথম জ্ঞান-দীপ আনি;
	হইলে বিশ্ব-নন্দিতা রানী নিখিল নর-সমাজে॥
		দেখা মা পুন সে অতীত মহিমা,
		মুছে দে ভীরুতা গ্লানির কালিমা,
	রাঙায়ে আবার দশদিক-সীমা দাঁড়া মা বিশ্ব-মাঝে॥

স্বাগতা কনক-চম্পক বর্ণা

বাণী

স্বাগতা কনক-চম্পক বর্ণা।
ছন্দিতা চপল নৃত্যের ঝর্না।।
মঞ্জুলা বিধুর যৌবন-কুঞ্জে
যেন ও-চরণ-নূপুর গুঞ্জে,
মন্দিরা মুরলী-শোভিত হাতে
এসো গো বিরহ-নীরস-রাতে,
হে প্রিয়া করিব প্রাণ অপর্ণা।।

আমি সন্ধ্যামালতী বনছায়া অঞ্চলে

বাণী

আমি	সন্ধ্যামালতী বনছায়া অঞ্চলে
	লুকাইয়া রই ঘন পল্লব তলে ॥
	বিহগের গীতি ভ্রমরের গুঞ্জন, নীরব হয় যখন –
আমি	চাঁদেরে তখন পূজা করি আঁখি-জলে ॥
আমি	লুকাইয়া কাঁদি বনের শকুন্তলা
	মনের কথা এ জনমে হ’ল না বলা।
গভীর নিশীথে বন-ঝিল্লির সুরে, ডাকি দূর বন্ধুরে –
আমি	ঝ’ড়ে পড়ি যবে প্রভাতে সবার হৃদয় মুকুল খোলে ॥