বাণী
অনেক জ্বালা দিয়েছ তার শাস্তি পাবে কালা। বেঁধেছি তাই গলায় তোমার জড়িয়ে মধুমালা।। আজ গায়ে পড়ে সাধতে হবে পায়ে ধরে কাঁদতে হবে শাপ্লা মধু পানের আগে দেখব বঁধু কেমন লাগে বাব্লা কাঁটার জ্বালা।।
নাটকঃ ‘মধুমালা’
রাগ ও তাল
রাগঃ
তালঃ
অনেক জ্বালা দিয়েছ তার শাস্তি পাবে কালা। বেঁধেছি তাই গলায় তোমার জড়িয়ে মধুমালা।। আজ গায়ে পড়ে সাধতে হবে পায়ে ধরে কাঁদতে হবে শাপ্লা মধু পানের আগে দেখব বঁধু কেমন লাগে বাব্লা কাঁটার জ্বালা।।
নাটকঃ ‘মধুমালা’
রাগঃ
তালঃ
বিরহের অশ্রু সায়রে বেদনার শতদল উদাসী অশান্ত বায়ে টলে টলমল টলমল।। তব রাঙা পদতলে, প্রিয় এই শতদলে রাখিয়ো, বাজাইও মধুকর বীণা অনুরাগ-চঞ্চল।। ঝড় এলো, এলো এলায়ে মেঘের কুন্তল তুমি কোথায়, হায়, নিরাশায় ঝরে কমল-দল। কেমনে কাটে তব বেলা কোথা কোন লোকে একেলা; দুই কূলে দুই জন কাঁদি, মাঝে নদী ছলছল।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা

ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবি রে জাগায়ো না জাগায়ো না, সারা জীবন যে আলো দিল ডেকে তার ঘুম ভাঙায়ো না।। যে সহস্র করে রূপরস দিয়া জননীর কোলে পড়িল ঢলিয়া তাঁহারে শান্তি-চন্দন দাও ক্রন্দনে রাঙায়ো না।। যে তেজ শৌর্য-শক্তি দিলেন, আপনারে করি ক্ষয় তাই হাত পেতে নাও। বিদেহ রবি ও ইন্দ্র মোদের নিত্য দেবেন জয় কবিরে ঘুমাতে দাও। অন্তরে হের হারানো রবির জ্যোতি সেইখানে তারে নিত্য কর প্রণতি আর কেঁদে তাঁরে কাঁদায়ো না।।
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা
শিল্পীঃ কাজী নজরুল ইসলাম

ব্যথার উপরে বঁধু ব্যথা দিও না দলিত এ হৃদি মম দ’লে যেয়ো না ॥ ল’য়ে কত সাধ আশা তোমার দুয়ারে আসা (বঁধু) দিলে যদি আলোবাসা ফিরে নিয়ো না॥ স্রোতের কুসুম প্রায় ভাসিতাম অসহায় তুলে নিয়ে বুকে তারে ফেলে দিলে পুনরায়। নিরদয় এ কি খেলা প্রাণ নিয়ে হেলাফেলা খেলার লাগিয়া ভালবাসিও না॥
রাগঃ পাহাড়ি
তালঃ দাদ্রা
করুণা তোর জানি মাগো আসবে শুভদিন। হোক না আমার চরম ক্ষতি থাক না অভাব ঋণ।। আমায় ব্যথা দেওয়ার ছলে টানিস্ মা তোর অভয় কোলে, সন্তানে মা দুঃখ দিয়ে রয় কি উদাসীন।। (তোর) কঠোরতার চেয়ে বেশি দয়া জানি ব’লে, ভয় যত মা দেখাস্ তত লুকাই তোরই কোলে। সন্তানে ক্লেশ দিস্ যে এমন হয়ত মা তার আছে কারণ, তুই কাঁদাস্ ব’লে বল্ব কি মা হ’লাম মাতৃহীন।।
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা

এই দেহেরই রঙমহলায় খেলিছেন লীলা-বিহারী। মিথ্যা মায়া নয় এ কায়া কায়ায় হেরি ছায়া তাঁরি।। রূপের রসিক রূপে রূপে খেলে বেড়ায় চুপে চুপে, মনের বনে বাজায় বাঁশি মন-উদাসী বন-চারী।। তার খেলা-ঘর তোর এ দেহ সে ত নহে অন্য কেহ সে যে রে তুই, — তবু মোহ ঘুচল না তোর হায় পূজারি।। খুঁজিস্ তারে ঠাকুর-পূজায় উপাসনায় নামাজ রোজায়, চাল কলা আর সিন্নি দিয়ে ধর্বি তারে হায় শিকারি! পালিয়ে বেড়ায় মন-আঙিনায় সে যে শিশু প্রেম-ভিখারি।।
রাগঃ ভৈরবী
তালঃ একতাল