বাণী
ঝঞ্ঝার ঝাঁঝর বাজে ঝনঝন বনানী-কুন্তল এলাইয়া ধরণী কাঁদিছে পড়ি চরণে শনশন শনশন।। দোলে ধূলি-গৈরিক পতাকা গগনে, ঝামর কেশে নাচে ধূর্জটি সঘনে। হর-তপোভঙ্গের ভুজঙ্গ নয়নে, সিন্ধুর মঞ্জীর চরণে বাজে রনরন রনরন।।
রাগ ও তাল
রাগঃ কেদারা-হাম্বীর
তালঃ কাওয়ালি
ঝঞ্ঝার ঝাঁঝর বাজে ঝনঝন বনানী-কুন্তল এলাইয়া ধরণী কাঁদিছে পড়ি চরণে শনশন শনশন।। দোলে ধূলি-গৈরিক পতাকা গগনে, ঝামর কেশে নাচে ধূর্জটি সঘনে। হর-তপোভঙ্গের ভুজঙ্গ নয়নে, সিন্ধুর মঞ্জীর চরণে বাজে রনরন রনরন।।
রাগঃ কেদারা-হাম্বীর
তালঃ কাওয়ালি
নাচিয়া নাচিয়া এসো নন্দদুলাল, মোর প্রাণে মোর মনে, এসো ব্রজগোপাল॥ এসো নূপুর রুনুঝুনু পায়ে, এসো প্রেম যমুনা নাচায়ে এসো বেণু বাজায়ে, এসো ধেনু চরায়ে এসো কানাই রাখাল॥ ঝুলনে হোরিতে রাসে, এসো কুরুক্ষেত্র রণে এসো প্রভাসে, (এসো) শিশু রূপে, এসো কিশোর বেশে এসো কংস, অরি, এসো মৃত্যুকরাল॥
রাগঃ বেহাগ মিশ্র
তালঃ কাহার্বা

শ্মশান-কালীর নাম শুনে রে ভয় কে পায়। মা যে আমার শবের মাঝে শিব জাগায়।। আনন্দেরই নন্দিনী সে শান্তি সুধা কণ্ঠ বিষে মায়ের চরণ শোভে অরুণ আলোর লাল জবায়।। চার হাতে মা'র চার যুগেরই খঞ্জনী, নৃত্য-তালে নিত্য ওঠে রনঝণি'। মা পায় না ধ্যানে যোগীন্দ্র সেই যোগমায়ায়।।
রাগঃ কৌশিকী কানাড়া মিশ্র
তালঃ তেওড়া

ও তুই উলটা বুঝলি রাম আমি আম চাহিতে জাম দিলে, আর জাম চাহিতে কি-না আম।। আমি চড়বার ঘোড়া চাইতে শেষে, ওগো ঘোড়াই ঘাড়ে চড়লো এসে, ও বাব্বা — আমি প্রিয়ার চিঠি চাইতে এলো কিনা ইনকামট্যাক্স-এর খাম।। আমি চেয়েছিলাম কোঠা বাড়ি, তাই পড়লো পিঠে লাঠির বাড়ি ভুলে আমি বলেছিলাম তোমার পায়ে শরণ নিলাম। তুমি ভুল বুঝিলে, ভিটেবাড়ি সব হ'লো নিলাম।। আমি চেয়েছিলম সুবোধ ভাইটি তা না হয়ে, বাবা গোঁয়ার সে ভাই উচায় লাঠি আমি শ্রী ব্রজধাম চাইতে ঠেলে দিলে শ্রীঘর হাজত ধাম।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
কেমনে কহি প্রিয় কি ব্যথা প্রাণে বাজে কহিতে গিয়ে কেন ফিরিয়া আসি লাজে।। শরমে মরমে ম'রে গেল বনফুল ঝ'রে ভীরু মোর ভালোবাসা শুকালো মনের মাঝে।। আজিকে ঝরার আগে, নিলাজ অনুরাগে ধরিতে যে সাধ জাগে হৃদয়ে হৃদয় রাজে।।
রাগঃ পিলু-খাম্বাজ
তালঃ কাহারবা

পরমাত্মা নহ তুমি মোর (তুমি) পরমাত্মীয় মোর। হে বিপুল বিরাট! মোর কাছে তুমি, প্রিয়তম চিতচোর॥ তোমারে যে ভয় করে হে বিশ্বত্রাতা তার কাছে তুমি রুদ্র দন্ডদাতা, প্রেমময় বলে তোমারে যে বাসে ভালো তার কাছে তুমি মধুর লীলা কিশোর॥ দ্যাখে ভীরু চোখ আষাঢ়ের মেঘে বজ্র তব বিপুল, মোর মালঞ্চে সেই মেঘে হেরি, ফোটায় নবমুকুল। আকাশের নীল অসীম পদ্ম পরে চরণ রেখেছ, হে মহান লীলা ভরে সেই অনন্ত জানি না কেমন ক’রে আমার হৃদয়ে খেল দিবানিশি ভোর॥
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা
