আজকে দোলের হিন্দোলায়

বাণী

আজকে দোলের হিন্দোলায়
	আয় তোরা কে দিবি দোল্‌।
ডাক দিয়ে যায় দ্বারে ঐ
	হেনার কুঁড়ি আমের বোল্।।
আগুন-রাঙা ফুলে ফাগুন লালে-লাল,
কৃষ্ণ-চূড়ার পাশে রঙন অশোক গালে-গাল,
লোল্ হয়ে পড়িল ঐ রাতের জোছনা-আঁচল।।
হতাশ পথিক পথ-বিভোল্,
	ভোল্ আজি বেদনা ভোল্, —
টোল খেয়ে যাক নীল আকাশ
	শুনে তোদের হাসির রোল
দ্বার খু’লে দেখ্ — ফুলেল রাত
	ফুলে ফুলে ডামাডোল্।।

ওরে ও-স্রোতের ফুল

বাণী

ওরে ও-স্রোতের ফুল!
ভেসে ভেসে হায় এলি অসহায় কোথায় পথ-বেভুল।।
	কোল্ খালি ক’রে কোন্ লতিকার
	নিভাইয়া নয়নের জ্যোতি কা’র,
বনের কুকুম অকূল পাথারে খুঁজিয়া ফিরিস্ কূল।।
ভবনের স্নেহ নারিল রাখিতে ঠেলে ফেলে দিল যা’রে,
সারা ভুবনের স্নেহ কি কখনো তাহারে ধরিতে পারে।
	জল নয়, তোর জননী যে ভুঁই
	অভিমানী! সেথা চল্ ফিরে তুই,
ধূলিতেও যদি ঝরিস্ সেথায় স্বর্গ সেই অতুল।।

তোর বিদায়-বেলার বন্ধুরে

বাণী

তোর বিদায়-বেলার বন্ধুরে দেখে নে নয়ন পুরে’।
সে যায় মিশে’ ঐ কোন্ দূরে দিন শেষের’ — শেষ সুরে।।
	ঘুমের মাঝে বন্ধু তোর
	ছিঁড়বে বাহুর বাঁধন-ডোর,
যাবে নয়ন, রবে নয়ন-লো — যায় রে বিহগ যায় উড়ে।।
	(তুই) বহাবি নদী কেঁদে
	পাষাণে হৃদয় বেঁধে,
তবু যেতে হবে তায় অসহায় অচিন্ পুরে।।

নাটক : ‘সাবিত্রী’

আমায় আঘাত যত হানবি শ্যামা

বাণী

আমায়		আঘাত যত হানবি শ্যামা ডাকব তত তোরে।
		মায়ের ভয়ে শিশু যেমন লুকায় মায়ের ক্রোড়ে।।
ওমা		চারধারে মোর দুখের পাথার
তুই		পরখ্ কত করবি মা আর,
আমি		জানি তবু পার হ’ব মা চরণতরী ধ’রে।।
আমি		ছাড়বো না তোর নামের ধেয়ান বিশ্বভুবন পেলে,
আমায়		দুঃখ দিয়ে নাম ভুলাবি, নই মা তেমন ছেলে।
		আমায় দুঃখ দেওয়ার ছলে
		তুই স্মরণ করিস পলে পলে,
আমি		সেই আনন্দে দুখের অসীম-সাগর যাব ত’রে।।

ওগো এলে কি শ্যামল পিয়া কাজল মেঘে

বাণী

ওগো	এলে কি শ্যামল পিয়া কাজল মেঘে
	চাঁচর চিকুর ওড়ে পবন বেগে॥
	তোমার লাবনি ঝ’রে পড়িছে অবনি-পরে
	কদম শিহরে কর-পরশ লেগে॥
	তড়িৎ ত্বরিত পায়ে বিরহী-আঁখিরে ছায়ে তরাসে লুকায়।
	চলিতে পথের মাঝে ঝুমুর ঝুমুর বাজে নূপুর দু’পায়।
	অশনি হানার ছলে প্রিয়ারে ধরাও গলে,
ওগো	রাতের মুকুল কাঁদে কুসুম জেগে॥

আল্লাহ থাকেন দূর আরশে

বাণী

আল্লাহ থাকেন দূর আরশে, নবীজী রয় প্রাণের কাছে।
প্রাণের কাছে রয় যে প্রিয়, সেই নবীরে পরান যাচে।।
	পয়গম্বরও পায় না খোদায়
	মোর নবীরে সকলে পায়,
নবীজী মোর তাবিজ হ’য়ে আমার বুকে জড়িয়ে আছে।।
খোদার নামে সেজ্‌দা করি, নবীরে মোর ভালোবাসি,
খোদা যেন নূরের সূরয, নবী যেন চাঁদের হাসি।
	নবীরে মোর কাছে পেতে
	হয় না পাহাড়-বনে যেতে,
বৃথা ফকির-দরবেশ মরে পু’ড়ে খোদার আগুন-আঁচে।।