তোর রূপে সই গাহন ক’রে জুড়িয়ে গেল গা

বাণী

তোর রূপে সই গাহন ক’রে জুড়িয়ে গেল গা
তোর গাঁয়েরি নদীর ঘাটে বাঁধলাম এ মোর না।।
	তোর চরণের আলতা লেগে
	পরান আমার উঠল রেঙে (রে)
ও তোর বাউরি কেশের বিনুনীতে জড়িয়ে গেল পা।
তোর বাঁকা ভুরু বাঁকা আঁখি বাঁকা চলন, সই,
দেখে পটে আঁকা ছবির মতন দাঁড়িয়ে পথে রই।
	উড়ে এলি’ দেশান্তরী
	তুই কি ডানা-কাটা পরী (রে)
তুই শুকতারারি সতিনী সই সন্ধ্যাতারার জা’।।

কিছু নাহি যার তোমারে দিবার

বাণী

কিছু নাহি যার তোমারে দিবার কি তার ভিক্ষা লবে!
তুমি কেঁদে গেলে আমারে শুধুই নীরবে কাঁদিতে হবে।।
	হেথা একদিন কিশোর বেলায়
	বেঁধেছিনু ঘর পুতুল-খেলায়,
সে সাথি আমার ফিরিবে না আর নব বসন্ত-উৎসবে।।
একদা হেথায় ফুটেছিল হেনা,
সে-ফুল আবার ফুটিবে হেথায় সে তো আর আসিবে না
	ওগো ভিখারি কি দিব তোমায়
	শূন্য দেউলে কুসুম শুকায়,
ক্ষমিও আমার শত অপরাধ, ভিখারিনী আমি ভবে।।

দেশে দেশে গেয়ে বেড়াই তোমার নামের গান

বাণী

দেশে দেশে গেয়ে বেড়াই তোমার নামের গান
হে খোদা, এ যে তোমারই হুকুম, তোমারই ফরমান।।
এমনি তোমার নামের আছর –
নামাজ রোজার নাই অবসর,
তোমার নামের নেশায় সদা মশগুল মোর প্রাণ।।
তকদিরে মোর এই লিখেছ হাজার গানের সুরে
নিত্য দিব তোমার আজান আঁধার মিনার-চূড়ে।
কাজের মাঝে হাটের পথে
রণ-ভূমে এবাদতে
আমি তোমার নাম শোনাব, করব শক্তি দান।।

যেদিন রোজ হাশরে করতে বিচার

বাণী

যেদিন		রোজ হাশরে করতে বিচার তুমি হবে কাজী
		সেদিন তোমার দিদার আমি পাব কি আল্লাজী।।
		সেদিন নাকি তোমার ভীষণ কাহ্‌হার রূপ দেখে
		পীর পয়গম্বর কাঁদবে ভয়ে ‘ইয়া নফসী’ ডেকে;
		সেই সুদিনের আশায় আমি নাচি এখন থেকে।
আমি		তোমায় দেখে হাজারো বার দোজখ যেতে রাজী।
আল্লাহ 		তোমায় দেখে হাজারো বার দোজখ যেতে রাজি।।
		যেরূপে হোক বারেক যদি দেখে তোমায় কেহ
		দোজখ্‌ কি আর ছুঁতে পারে পবিত্র তাঁর দেহ।
সে 		হোক না কেন হাজার পাপী হোক না বে-নামাজী।।
		ইয়া আল্লাহ, তোমার দয়া কত তাই দেখাবে ব’লে
		রোজ-হাশরে দেখা দেবে বিচার করার ছলে, —
		প্রেমিক বিনে কে বুঝিবে তোমার এ কারসাজি।।

আমি কৃষ্ণচূড়া হতাম যদি

বাণী

আমি		কৃষ্ণচূড়া হতাম যদি হতাম ময়ূর-পাখা, (সখা হে)!
তোমার		বাঁকা চূড়ায় শোভা পেতাম ওগো শ্যামল বাঁকা।।
		আমি হলে গোপীচন্দন, শ্যাম, অলকা-তিলকা হতাম;
		শ্যাম, ও-চাঁদমুখে অলকা-তিলকা হতাম।
		শ্রীঅঙ্গের পরশ পেতাম হ’লে কদম-শাখা।।
		আমি বৃন্দাবনে বন-কুসুম হতাম যদি কালা,
		কণ্ঠ ধ’রে ঝ’রে যেতাম হয়ে বনমালা।
			আমি নূপুর যদি হতাম হরি
			কাঁদতাম শ্রীচরণ ধরি’
		ব্রজবুলি হলে রেইত বুকে চরণ-চিহ্ন আঁকা।।

ইরানের বুলবুলি কি এলে

বাণী

ইরানের বুলবুলি কি এলে পথ ভুলে
গোলাপের স্বপ্ন ল’য়ে সিন্ধু নদী-কূলে।
চন্দনের গন্ধে কবি মিশালে হেনার সুরভি
তোমার গানে মরুভূমির দীর্ঘশ্বাস দুলে।।
কোন সাকির আঁখির করুণা নাহি পেয়ে
মরুচারী হে বিরহী, এলে মেঘের দেশে ধেয়ে।
	হেথা 	কাজল আঁখি নিরখি’
		তৃষ্ণা তব জুড়াল কি,
লালা ফুলের বেদনা ভুলিবে কি পলাশ ফুলে।।