তুমি আমার সকাল বেলার সুর

বাণী

তুমি আমার সকাল বেলার সুর
হৃদয় অলস–উদাস–করা অশ্রু ভারাতুর।।
ভোরের তারার মত তোমার সজল চাওয়ায়,
ভালোবাসার চেয়ে সে যে কান্না পাওয়ায়
রাত্রি–শেষের চাঁদ তুমি গো বিদায়–বিধুর।।
তুমি আমার ভোরের ঝরা ফুল
শিশির–নাওয়া শুভ্র–শুচি পূজারিণীর তুল।
অরুণ তুমি, তরুণ তুমি, করুণ তারো চেয়ে
হাসির দেশে তুমি যেন বিষাদ–লোকের মেয়ে
তুমিইন্দ্র–সভার মৌন–বীণা নীরব নূপুর।।

ব্রজ-দুলাল ঘন শ‍্যাম

বাণী

ব্রজ-দুলাল ঘন শ‍্যাম
মোর হৃদে কর বিহার হে।।
নব অনুরাগের জ্বালায়ে বাতি
অঙ্গে অঙ্গে রাখি তব শেজ পাতি’
গাঁথি অশ্রু-মোতিহার হে।।
আরতি-প্রদীপ আঁখিতে জ্বালায়ে রাখি
পথ-পানে চাহি বার বার হে।।
নিবেদন করি নাথ তব চরণে
নিত্য পূজা-উপচার হে
বিরহ-গন্ধ ধূপ বেদনা চন্দন
পূজাঞ্জলি আঁখি-ধার হে
দেবতা এসো, খোল দ্বার হে।।

আয় রণজয়ী পাহাড়ি দল

বাণী

আয় রণজয়ী পাহাড়ি দল
শক্তি-মাতাল বুনো পাগল
থৈ থৈ তা তা থৈ থৈ
নেচে আয় রে দৃপ্ত পায়।
গিরি দরি বন ভাসায় যেমন পার্বতীয়া ঝর্নাজল।
আন তীর ধনু বর্শা হান্ বাজা রে শিঙ্গা বাজা মাদল।।

নাটিকাঃ ‘সুরথ উদ্ধার’

দোহাই তোদের এবার তোরা

বাণী

দোহাই তোদের! এবার তোরা সত্যি করে সত্য বল্।
ঢের দেখালি ঢাক ঢাক গুড় গুড় ঢের মিথ্যা ছল।।
পেটে এক আর মুখে আরেক — এই যে তোদের ভন্ডামি,
এতেই তোরা লোক হাসালি, বিশ্বে হলি কম্‌-দামি।
নিজের কাছেও ক্ষুদ্র হলি আপন ফাঁকির আফসোসে,
বাইরে ফাঁকা পাঁয়তারা তাই, নাই তলোয়ার খাপ-কোষে।
তাই হলি সব সেরেফ আজ কাপুরুষ আর ফেরেব-বাজ
সত্য কথা বলতে ডরাস তোরাই আবার করবি কাজ —
				ফোঁপরা ঢেঁকির নেইক লাজ।
ইলশেগুড়ি বৃষ্টি দেখেই ঘর ছুটিস্‌ সব রাম-ছাগল!
যুক্তি তোদের খুব বুঝেছি, দুধকে দুধ আর জলকে জল।।

এ কোন মায়ায় ফেলিলে আমায়

বাণী

এ কোন মায়ায় ফেলিলে আমায়
	চির জনমের স্বামী-
তোমার কারণে এ তিন ভুবনে
	শান্তি না পাই আমি।।
	অন্তরে যদি লুকাইতে চাই
এ আগুন আমি কেমনে লুকাই, ওগো অন্তর্যামী।।
মুখ থাকিতেও বলিতে পারে না বোবা স্বপনের কথা;
বলিতেও নারি লুকাতেও নারি; তেমনি আমার ব্যথা।
	যে দেখেছে প্রিয় বারেক তোমায়
	বর্ণিতে রূপ- ভাষা নাহি পায়
পাগলিনী-প্রায় কাঁদিয়া বেড়ায় অসহায়, দিবাযামী।।

নীপ-শাখে বাঁধো ঝুলনিয়া

বাণী

	নীপ-শাখে বাঁধো ঝুলনিয়া,
	কাজল-নয়না শ্যামলিয়া॥
	মেঘ-মৃদঙ্গ তালে শিখী নাচে ডালে-ডালে।
	মল্লার গান গাহিছে পবন পূরবিয়া॥
	কেতকী কেশরে কুন্তল করো সুরভি,
পরো	কদম মেখলা কটি-তটে রূপ-গরবী।
	নব-যৌবন জল-তরঙ্গে,
	পায়ে পাঁয়জোর বাজুক রঙ্গে
	কাজরি ছন্দে নেচে চল করতালি দিয়া॥