মোর প্রথম মনের মুকুল
বাণী
মোর প্রথম মনের মুকুল ঝরে গেল হায় মনে মিলনের ক্ষণে। কপোতীর মিনতি কপোত শুনিল না, উড়ে গেল গহন-বনে।। দক্ষিণ সমীরণ কুসুম ফোটায় গো আমারি কাননে ফুল কেন ঝরে যায় গো জ্বলিল প্রদীপ সকলেরি ঘরে হায় নিভে গেল মোর দীপ গোধূলি লগনে।। বিফল অভিমানে কাঁদে ফুলমালা কণ্ঠ জড়ায়ে কাঁদি ধূলি-পথে একা ছিন্ন-লতার প্রায় লুটায়ে লুটায়ে। দারুণ তিয়াসে এসে সাগর-মুখে ঢলিয়া পড়িনু হায় বালুকারি বুকে ধোঁয়ারে মেঘ ভাবি’ ভুলিনু চাতকী জ্বলিয়া মরি গো বিরহ-দহনে।।
চম্’কে চম্’কে ধীর ভীরু পায়
বাণী
চম্’কে চম্’কে ধীর ভীরু পায়, পল্লী–বালিকা বন–পথে যায় একেলা বন–পথে যায়।। শাড়ি তার কাঁটা লতায়, জড়িয়ে জড়িয়ে যায়, পাগল হাওয়াতে অঞ্চল ল’য়ে মাতে — যেন তার তনুর পরশ চায়।। শিরীষের পাতায় নূপুর, বাজে তার ঝুমুর ঝুমুর, কুসুম ঝরিয়া মরিতে চাহে তার কবরীতে, পাখী গায় পাতার ঝরোকায়।। চাহি’ তা’র নীল নয়নে, হরিণী লুকায় বনে, হাতে তা’র কাঁকন হ’তে মাধবী লতা কাঁদে, ভ্রমরা কুন্তলে লুকায়।।
পরমাত্মা নহ তুমি মোর
বাণী
পরমাত্মা নহ তুমি মোর (তুমি) পরমাত্মীয় মোর। হে বিপুল বিরাট! মোর কাছে তুমি, প্রিয়তম চিতচোর॥ তোমারে যে ভয় করে হে বিশ্বত্রাতা তার কাছে তুমি রুদ্র দন্ডদাতা, প্রেমময় বলে তোমারে যে বাসে ভালো তার কাছে তুমি মধুর লীলা কিশোর॥ দ্যাখে ভীরু চোখ আষাঢ়ের মেঘে বজ্র তব বিপুল, মোর মালঞ্চে সেই মেঘে হেরি, ফোটায় নবমুকুল। আকাশের নীল অসীম পদ্ম পরে চরণ রেখেছ, হে মহান লীলা ভরে সেই অনন্ত জানি না কেমন ক’রে আমার হৃদয়ে খেল দিবানিশি ভোর॥
ঝুলন ঝুলায়ে ঝাউ ঝক্ ঝোরে
বাণী
ঝুলন ঝুলায়ে ঝাউ ঝক্ ঝোরে, দেখো সখি চম্পা লচ্কে বাদরা গরজে দামিনী দমকে আও বৃজকি কোঙারী ওড়ে নীল সাড়ি, নীল কমল-কলিকে পহনে ঝুমকে।। হায়রে ধান কি লও মে হো বালি ওড়নী রাঙাও সতরঙ্গী আলি, ঝুলা ঝুলো ডালি ডালি। আও প্রেম কোঙারী মন ভাও, প্যারে প্যারে সুরমে শাওনী সুনাও। রিমঝিম রিমঝিম পড়তে কোয়ারে সুন্ পিয়া পিয়া কহে মুরলী পুকারে, ওহি বোলী সে হিরদয় খটকে।।