চীন ও ভারতে মিলেছি আবার মোরা

বাণী

কোরাস্	:	চীন ও ভারতে মিলেছি আবার মোরা শত কোটি লোক।
			চীন ভারতের জয় হোক! ঐক্যের জয় হোক! সাম্যের জয় হোক।
			ধরার অর্ধ নরনারী মোরা রহি এই দুই দেশে,
			কেন আমাদের এত দুর্ভোগ নিত্য দৈন্য ক্লেশে।
পুরুষ কন্ঠ	:	সহিব না আজ এই অবিচার —
কোরাস্	:	খুলিয়াছে আজি চোখ॥
			প্রাচীন চীনের প্রাচীর মহাভারতের হিমালয়
			আজি এই কথা যেন কয় —
			মোরা সভ্যতা শিখায়েছি পৃথিবীরে-ইহা কি সত্য নয় ?
			হইব সর্বজয়ী আমরাই সর্বহারার দল,
			সুন্দর হবে শান্তি লভিবে নিপীড়িতা ধরাতল।
পুরুষ কন্ঠ	:	আমরা আনিব অভেদ ধর্ম —
কোরাস্	:	নব বেদ-গাঁথা-শ্লোক॥

আজি নাহি কিছু মোর মান-অপমান ব’লে

বাণী

আজি নাহি কিছু মোর মান-অপমান ব’লে।
সকলি দিয়াছি মোর ঠাকুরের রাঙা চরণের তলে॥
		মোর দেহ-প্রাণ, জাতি কুল মান,
		লজ্জা ও গ্লানি আর অভিমান;
(আমি) দিছি চিরতরে জলাঞ্জলি গো কালো যমুনার জলে॥
মোরে যদি কেহ ভালোবাসে আজ জল আসে আঁখি ভ’রে।
মোর ছল ক’রে সে যে ভালোবাসে মোর শ্যামসুন্দরে।
মোরে		না বুঝিয়া কেহ করিলে আঘাত
		কেঁদে বলি, ওরে ক্ষমা করো নাথ্
বৃন্দাবনে যে প্রেম মধুর হয় আঘাত নিন্দাছলে॥

ব্রজগোপাল শ্যাম সুন্দর

বাণী

ব্রজগোপাল শ্যাম সুন্দর
যশোদা দুলাল শিশু নটবর॥
নন্দ নন্দন নয়নানন্দ
চরণে মধুর সৃজন ছন্দ
ভুবন মোহন কৃষ্ণচন্দ্র
অপরূপ রূপ হেরে চরাচর॥
কোটি গ্রহতারা চরণে নূপুর
ওঙ্কার ধ্বনি বাঁশরির সুর।
বঙ্কিম আঁখি বাঁকা শিখীপাখা
বাঁকা শ্রীচরণ ভঙ্গিমা বাঁকা
কৃষ্ণময় শ্রীঅঙ্গ ডাকা
করাল মধুর প্রভু গিরিধর॥

ডাকতে তোমায় পারি যদি

বাণী

ডাকতে তোমায় পারি যদি আড়াল থাকতে পারবে না
এখন আমি ডাকি তোমায় তখন তুমি ছাড়বে না।।
	যদি দেখা না পাই কভু —
	সে দোষ তোমার নহে প্রভু
সে সাধনায় আমারি হার জানি তুমি ছাড়বে না।।
বহু লোকের চিন্তাতে মোর বহু দিকে মন যে ধায়,
জানি জানি, অভিমানী পাইনে আজ তাই তোমায়।
	বিশ্ব, ভুবন ভুলে যেদিন
	তোমার ধ্যানে হব বিলীন,
সেদিন আমার বক্ষ হতে চরণ তোমার কাড়বে না।।

ফুলে পুছিনু বল বল ওরে ফুল

বাণী

ফুলে পুছিনু, বল, বল ওরে ফুল!
কোথা পেলি এ সুরভি, রূপ এ অতুল?
‌'যার রূপে উজালা দুনিয়া, কহে গুল,
দিল সেই মোরে এই রূপ এই খোশবু।
		আল্লাহু আল্লাহু।।
'ওরে কোকিল, কে তোরে দিল এ সুর,
কোথা পেলি পাপিয়া এ কন্ঠ মধুর?
কহে কোকিল পাপিয়া, আল্লাহ গফুর,
তাঁরি নাম গাহি 'পিউ পিউ' কুহু কুহু —
		আল্লাহু আল্লাহু।।
'ওরে রবি-শশী, ওরে গ্রহ-তারা
কোথা পেলি এ রওশনী জ্যোতি ধারা?'
কহে, আমরা তাহারি রূপের ইশারা
মুসা, বেহুঁশ হলো হেরি' যে খুবরু
		আল্লাহু আল্লাহু।।
যারে আউলিয়া আম্বিয়া ধ্যানে না পায়
কূল-মখলুক যাঁহার মহিমা গায়,
যে নাম নিয়ে এসেছি এইদুনিয়ায়,
নাম নিতে নিতে মরি এই আরজু
		আল্লাহু আল্লাহু।।

ওগো মুর্শিদ পীর বলো বলো

বাণী

ওগো মুর্শিদ পীর! বলো বলো রসুল কোথায় থাকে।
কোথায় গেলে কেমন ক’রে দেখতে পাব তাঁকে।।
	বেহেশ্‌ত — ’পারে দূর আকাশে
	তাঁহার আসন খোদার পাশে,
সে এতই প্রিয়, আপনি খোদা লুকিয়ে তারে রাখে।।
কোরান পড়ি হাদিস শুনি, সাধ মেটে না তাহে,
আতর পেয়ে মন যে আমার ফুল দেখতে চাহে।
	সবাই খুশি ঈদের চাঁদে
	আমার কেন পরান কাঁদে,
দেখ্‌ব কখন আমার ঈদের চাঁদ — মোস্তফাকে।।