জাগো বিরাট ভৈরব যোগ সমাধি মগ্ন

বাণী

জাগো বিরাট ভৈরব যোগ সমাধি মগ্ন।
ভুবনে আনো নব দিনের শুভ প্রভাত লগ্ন।।
	অনন্ত শয্যা ছাড়ি’ অলখ লোকে
	এসো জ্যোতির পথে,
দেব-লোকের তিমির-কারা-প্রাচীর কর ভগ্ন।।
ভয়হীন, দ্বিধাহীন উদার আনন্দে,
তোমার আবির্ভাব হোক প্রবল ছন্দে।
হোক মানব স্বপ্রাকশ আপন স্বরূপে
বিরাট রূপে, সফল কর আমার সোহং স্বপ্ন।।

সঙ্গীতালেখ্য : ‘ষট ভৈরব’

শঙ্কর অঙ্গলীনা যোগ মায়া

বাণী

শঙ্কর অঙ্গলীনা যোগ মায়া শঙ্করী শিবানী।
বালিকা-সম লীলাময়ী নীল-উৎপল-পাণি।।
	সজল-কাজল-ঝর্না
	মুকত বেণী অপর্ণা,
তিমির বিভাবরী স্নিগ্ধা শ্যামা কালিকা ভবানী।।
প্রলয় ছন্দময়ী চন্ডী শব্দ-নূপুর-চরণা,
শাম্ভবী শিব-সীমন্তিনী শঙ্করাভরণা।
	অম্বিকা দুঃখহারিণী
	শরণাগত-তারিণী,
জগদ্ধাত্রী শান্তিদাত্রী প্রসীদ মা ঈশানী।।

তরুণ অশান্ত কে বিরহী

বাণী

তরুণ অশান্ত কে বিরহী।
নিবিড় তমসায় ঘন ঘোর বরষায় —
দ্বারে হানিছ কর রহি রহি।।
ছিন্ন পাখা কাঁদে মেঘ-বলাকা
কাঁদে ঘোর অরণ্য আহত-শাখা
	চোখে আশা-বিদ্যুৎ
	এলে কোন মেঘদূত,
বিধূর বঁধূর মোর বারতা বহি’।।

পল্লু ছোড়ো সাজান ঘর যানা

বাণী

পল্লু ছোড়ো সাজান ঘর যানা রে
জারা ন্যায়নো সে ন্যায়না মিলানা রে।
মাটি পরে শরাবো সে পিনেসে গাগারিয়া
সুবাহ হো গ্যায়ি করুঁ কিয়া বাহানা রে।।
বড়া পেয়ার হ্যায় তু্নে পানঘাটসে আনে কা
জারা ধীরে সে বীণ বাজানা রে।।
সাড়ি তেরি হ্যায় পল রাঙ্গীন আঁখিয়া টুটেগা
জারা সিনে সে আঁচাল হাঠানা রে।।

ডেকে ডেকে কেন তারে ভাঙালি ঘুমের ঘোর

বাণী

ডেকে ডেকে কেন তারে ভাঙালি ঘুমের ঘোর
	কেন ভাঙালি
স্বপনে মোর এসেছিল, সখি, স্বপন কুমার মনচোর
	কেন ভাঙালি ঘুমের ঘোর।।
সে যেন লো পাশে ব'সে কহিল হেসে হেসে
‌‘যাব না আর পরদেশে’, সখি, মোছ মোছ আঁখিলোর’।।
দেখালো তার হৃদয় খুলি’, কহিল : ‌‘হের প্রিয়ে
তোমার অধিক ব্যথা হেথায় তোমারে ব্যথা দিয়ে।’
জানি না মোর হিয়ার চেয়েও অধিক ক্ষত তার হৃদয়
সে হৃদয়ে আমার ছবি, সকল হিয়া আমি-ময়।
তাহার জীবন-মালারি মাঝে, সখি, আমি যেন সোনার ডোর।।
আমি কহিনু, বুঝেছি সখা তোমার এ দুখ দেওয়ার ছল,
ভালোবাসার ফুল না শুকায় তুমি তাই চাহ মোর চোখেরই জল’।
জেগে দেখি কেঁদে কেঁদে, সখি, ভিজেছে বুকের আঁচল।।

কাণ্ডারি গো কর কর পার

বাণী

কাণ্ডারি গো কর কর পার এই অকূল ভব-পারাবার।
তোমার চরণ-তরী বিনা, প্রভু পারের আশা নাহি আর।।
	পাপের তাপের ঝড় তুফানে
	শান্তি নাহি আমার প্রাণে।
আমি যেদিকে চাই দেখি কেবল নিরাশারি অন্ধকার।।
	দিন থাকতে আমার মতো
		কেউ নাহি সম্ভাষে,
	হে প্রভু তোমায়
		কেউ নাহি সম্ভাষে
	দিন ফুরালে খাটে শুয়ে
		এই ঘাটে সবাই আসে।
	লয়ে তোমারি নামের কড়ি
	সাধু পেল চরন-তরী
সে কড়ি নাই যে কাঙ্গালের হও হে দীনবন্ধু তার॥