এসো ফিরে প্রিয়তম এসো ফিরে

বাণী

এসো ফিরে’ প্রিয়তম, এসো ফিরে’।
আঁখির আলোক হায় জীবনের সন্ধ্যায়
ডুবে যায় নিরাশা-তিমিরে।।
আসে যে-পথে প্রভাতী আলোর ধারা
যে-পথে আসে চাঁদ, রাতের তারা,
নিতি সেই পথে চাই
যদি তব দেখা পাই —
শুধাই তোমার কথা দক্ষিণ সমীরে।।
খুঁজে’ ফিরি ঝরা ফুলে নদীর স্রোতে
ঘর-ছাড়া পথিক ধায় যে-পথে,
তব পথ, হে সুদূর
কত দূর, কত দূর —
কোথা পাব তব দেখা (কোন্) কালের তীরে।।

আনো সাকি শিরাজি আনো আঁখি-পিয়ালায়

বাণী

আনো সাকি শিরাজি আনো আঁখি-পিয়ালায়
অধীর করো মোরে নয়ন-মদিরায়।।
পান্‌সে জোছনাতে ঝিম্‌ হয়ে আসে মন
শরাব বিনে, হের গুল্‌বন উচাটন,
মদালসা আঁখি কেন ঘোম্‌টা ঢাকা এমন
			বিষাদিত নিরালায়।।
তরুণ চোখে আনো অরুণ রাগ-ছোঁওয়া
আঁখির করুণা তব যাচে ভোরের হাওয়া।
জীবন ভরা কাঁটা-রি জ্বালা
ভুলিতে চাহি শরাব পিয়ালা
তোমার হাতে ঢালা —
দুলাইয়া দাও মোরে আনন্দের হিন্দোলায়
			ভুলাইয়া বেদনায়।।

কুসুম-সুকুমার শ্যামল তনু

বাণী

কুসুম-সুকুমার শ্যামল তনু হে ফুল-দেবতা লহ প্রণাম।
বিটপী লতায় চিকন পাতায় ছিটাও হাসি কিশোর শ্যাম।।
পূজার থালা এ অর্ঘ্য-ডালা এনেছি দিতে তোমার পায়
দেহ শুভ বর কুসুম-সুন্দর হোক নিখিল নয়নাভিরাম
এ বিশ্ব বিপুল কুসুম-দেউল হোক তোমার ফুল কিশোর
মুরলী করে এসো গোলক-বিহারী হোক ভূ-লোক আনন্দ-ধাম।।

নাটকঃ‘সাবিত্রী’

পূবালী পবনে বাঁশি বাজে রহি' রহি'

বাণী

পূবালী পবনে বাঁশি বাজে রহি' রহি'।
ভবনের বধূরে ডাকে বনের বিরহী।।
রতন হিন্দোলা নীপ ডালে বাঁধা',
দোলে দোলে, বলে যেন 'রাধা রাধা',
দুরু দুরু বুকে বাজে গুরু গুরু দেয়া
কেয়া ফুল আনে সোম-সুগন্ধ বহি'।।
চোখে মাখি সজল কাজলের ছলনা
অভিসারিকার সাজে সাজে গোপ-ললনা।
বৃষ্টির টিপ ফেলে ননদীর নয়নে
কদম-কুঞ্জে চলে গোপন চরণে,
মিলন বিরহ শোক তার বুকে
কাঁদে 'রাধা-শ্যাম রাধা-শ্যাম' কহি।।

ঝরঝর অঝোর ধারায় ঝুরছে

বাণী

ঝরঝর অঝোর ধারায় ঝুরছে মনে রঙের ঝুরি।
দোলন-খোঁপায় দোল্ দিয়ে যায় দুলাল-চাঁপার তরুণ কুঁড়ি।।
চঞ্চলতার আবেশ লেগে আঁচল আমার রয় না গায়ে,
জরীন্ ফিতার বাঁধন টু’টে ব্যাকুল বেণী লুটায় পায়ে।
খেল্‌ছে চোখে মন্মথ আজ রতির সাথে লুকোচুরি,
নাচের তালে আপনি বাজে চপল হাতে কাঁকন চুড়ি।।

ওরে বনের ময়ূর কোথায় পেলি এমন চিত্রপাখা

বাণী

ওরে বনের ময়ূর কোথায় পেলি এমন চিত্রপাখা
তোর পাখাতে হরির স্মৃতি পাখার শ্রী কি আঁকা॥
		তারই মতন হেলে দুলে
		নাচিস্ রে তুই পেখম খুলে
তনুতে তোর ওরে শ্যামের আঁখির নীলাঞ্জন মাখা॥
হারিয়ে নব কিশোরে, দিবা-নিশি ঘুরি
তাই কি শ্যামের বিভূতি তুই আনলি ক’রে চুরি।
		সান্ত্বনা কি দিতে মোরে 
		শ্যামল রেখে গেছে তোরে
তাইতো তোরে হেরি ওরে যায় না কাঁদন্ রাখা॥